পঞ্চগড়ের সব কটি আসন শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চাই: সাদ্দাম হোসেন

এনামুল,পঞ্চগড়,প্রতিনিধি:
‘আগামী নির্বাচনে পঞ্চগড় জেলার সব কটি আসন শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে চাই। আর সে জন্য ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত হতে হবে। নিজের দলে কোনো কোন্দল থাকবে না, ঐক্যবদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করতে হবে।

আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ২ টার দিকে পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ চৌরাস্তা ট্রাফিক মোরে এক পথসভায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নবনিযুক্ত কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন।

এর আগে ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ঢাকা থেকে বিমানযোগে সৈয়দপুরে আসেন। পরে সড়ক পথে নিজ গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ের বোদায় যাওয়ার পথে নীলফামারী,সোনাহার, দেবীগঞ্জ সহ বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগের আয়োজনে ওই পথসভায় বক্তব্য দেন।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা তরুণদের উদ্যোক্তা হওয়ার সুযোগ দেওয়ায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এখন দেশের তরুণ সমাজ স্বীকৃতি পাচ্ছেন। এসব তরুণ প্রযুক্তির দুয়ার উন্মোচন করার ফলে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। এতে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত হয়েছে,দেশের চাকরির বাজার দক্ষতা এবং মেধাভিত্তিক হয়েছে।

ছাত্রলীগের সভাপতি আরও বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শেখ হাসিনার নির্দেশেই কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছিল, যাতে শ্রমিক সংকটের কোনো ঘটনা না ঘটে। প্রতিটি ইউনিট ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছিল। গণমানুষের প্রতি দায়বদ্ধতায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ছাত্রলীগ এ কাজ করেছে। ফলে আজ কৃষক ও তরুণদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধ তৈরি হয়েছে।

এই পথসভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দেবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাসনাৎ জামান চৌধুরী জজ,বাংলাদেশ কৃষক লীগ দেবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম এমু,আওয়ামী যুবলীগ দেবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ মিঠু,দেবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামিনুর ইসলাম শাওন সহ জেলা,উপজেলা,পৌরসভা ও ইউনিয়ন কমিটির হাজার হাজার নেতা ও কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের পর ৫ শতাধিক মাইক্রোবাস ও ২ হাজার এর বেশি মোটরসাইকেল যোগে নেতা-কর্মীরা সাদ্দামকে নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

ঠিকাদারের হস্তান্তরের আগেই মধুমতীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস

ঠিকাদারের হস্তান্তরের আগেই মধুমতীর তীর সংরক্ষণ বাঁধে ধস

ফরিদপুর সংবাদদাতা:

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মধুমতি নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধের ৩০ মিটার অংশ ধসে পড়েছে। সোমবার (৪ আগষ্ট) ভোর থেকে গোপালপুর ও টগরবন্দ ইউনিয়নের সংযোগস্থল চর আজমপুর এলাকায় বাঁধের ব্লক খসে পড়তে শুরু করে। ধসে যাওয়া বাঁধটি এখনো পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে হস্তান্তর হয়নি। মঙ্গলবার সকাল থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লিটন মল্লিক বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার মাধ্যমে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সম্প্রতি নির্মাণকাজ শেষ হওয়া ৩০০ মিটার বাঁধের নির্মাণে তদারকির অভাব ও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের কারণে এই ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে নদীতীরবর্তী শতাধিক পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। চর আজমপুরের বাসিন্দা হান্নান শরীফ বলেন বাঁধের কাজ দেখে আমরা ভরসা পেয়েছিলাম। এখনো পুরো কাজ শেষ হয়নি, তার আগেই ধসে পড়ল। এই কাজ ভালো হয়নি বলেই এমন হচ্ছে।’ অন্য এক বাসিন্দা শেফালী বেগম জানান, ‘স্থায়ী বাঁধ দেখে ধার করে ঘর তুলেছিলাম, এখন সেটাও ভাঙনের হুমকিতে।

২০২৩ সালের জুনে একনেক সভায় অনুমোদিত মধুমতি নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুর ও মাগুরা জেলার কিছু এলাকায় মোট ৭.৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে চর আজমপুর অংশের কাজ বাস্তবায়ন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এই প্যাকেজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা। এলাকাবাসীর অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ফরিদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন বলেন আমাদের অন্য প্যাকেজগুলোর তুলনায় এই কাজটি ভালো হয়েছে। ঢালাওভাবে তদারকির অভাব বলাটা সঠিক নয়। ধসের কারণ নদীর স্রোতধারার পরিবর্তন। তিনি আরও জানান, বাঁধ ধসের খবর পেয়ে প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে এবং ঠিকাদারকে দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান বলেন, নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। আপাতত জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে, পানি কমলে ব্লক বসিয়ে মেরামত করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম