যৌতুকের জন্য স্বামী সুমনের নির্যাতনে ঘরছাড়া গৃহবধূ

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
রাজথানীার পুরান ঢাকার মেয়ে যৌতুকের জন্য স্বামীর নির্যাতনে ঘরছাড়া স্বপ্না নামের এক গৃহবধূ। ১ বছরের সংসার টিকেনী বিচার চেয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সংসার টিকাতে পারেননি। অবশেষে সংসার ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।
সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর সুমনের সাথে স্বপ্নার বিয়ে হয় কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার মোজাম্মেল হকের ছেলে সুমনের সাথে সুমন পেশায় একজন ড্রাইভার যাত্রাবাড়ী আসনের বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের ভাইয়ের গাড়ী চালায় সে, বিএনপি ক্ষমতায় নেই বলে সে সুবিধা করতে পারেনী তাই এই বিয়ে করে মেয়ের বাবার কাছ থেকে যৌতুক নিয়ে ব্যবসা করবে এটাই তার পেশা মানে বিয়ে বানিজ্য আগেও সে একটি বিয়ে করেছে যা ৮ বছর সংসার করেছে। এখন সে নিশি নামের এক মেয়ের সাথে পরকিয়া করছে তাকে নাকি বিয়ে করবে।
দাম্পত্য জীবনের শুরুতে ভালো চললেও মাস না পেরোতেই সংসারে অভাব অনটন থাকায় স্বপ্না তার বাবার বাড়ি থেকে ৩ লাখ টাকা টাকা ব্যবসার জন্য স্বামীকে এনে দেয়। ১মাস সংসার ভালো চললেও গত ১ বছর দাম্পত্য জীবন ভালো চলেনী যৌতুকের দাবিতে স্বামীর অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে ওই গৃহবধূ।

তারপর দিন যত যেতে থাকে যৌতুকের দাবিতে তার ওপর বাড়তে থাকে অত্যাচারের মাত্রা। এক পর্যায়ে স্বামী বাড্ডা এলাকাকায় বাজারে তার ব্যবসাকে আরও সম্প্রসারণ করার জন্য শ্বশুরের কাছ থেকে আরও তিন লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এই টাকা দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করায় তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন আরও বেড়ে যায়।

সম্প্রতি সে প্রকাশ্যে হুমকি দেয় তিন লাখ টাকা না এনে দিলে স্বপ্নাকে আর সংসারে তুলবেনা এবং বেধড়ক মারপিট করতে থাকে প্রতিনিয়ত। এ ঘটনায় অসহ্য হয়ে অন্যত্র প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নেন স্বপ্না। যৌতুকের দাবিতে স্বামী কর্তৃক অত্যাচার নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে পাড়া প্রতিবেশীর দ্বারস্থ হলে সে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সামাজিক বিচার সালিশে যৌতুক ছাড়া তাকে আবারও স্বামীর সংসারে নিয়ে যেতে চাপ দেওয়া হলেও স্বামী তার পরিবারের লোকজন স্বপ্নাকে সংসারে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এদিকে স্বামীর কথামতো যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্বপ্নাকে ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকেই গত প্রায় ৬মাস যাবত বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন স্বপ্না । উল্টো যৌতুক লোভী স্বামী সুমন জনৈক ব্যবসায়িক পার্টনারকে দিয়ে স্বপ্না আত্মীয়স্বজনকে জড়িয়ে হয়রানি করার চেষ্টা করছে।

বর্তমানে বাবার বাড়িতে অসহায়ের মতো সংসার ছাড়া কেঁদে কেঁদে স্বপ্না দিনরাত কাটছে। জানতে চাইলে সংসার ছাড়া স্বপ্না বলেন, আমার একবার বিয়ে হয়েছে। আমি বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সংসার করতে চেয়েছি। কিন্তু যৌতুক লোভী স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের অত্যাচারে সংসার ছেড়ে বাবার বাড়িতে আসতে বাধ্য হয়েছি। আমি স্বামীর সংসারে ফিরতে চাই এবং অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাঁচতে চাই। কিন্তু সে নারী লোভি সে কতটি বিয়ে করেছে তার কোন হিসেব নেই তার পুরো পরিবারটাই এমন যৌ্তুকের জন্য বিয়ে করে করে অসহায় মেয়েদের জীবন নষ্ট করে।

 

মাগুরার জগদল ইউপির চেয়ারম্যান রফিকের বিরুদ্ধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমি দখলের অভিযোগ!

 

মাগুরা প্রতিনিধি:

স্থানীয় থানা প্রশাসনের নির্দেশ উপেক্ষা করে এবং উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে প্রায় ৪০ বছরের ভোগদখলীয় ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে মাগুরা সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম রফিকের বিরুদ্ধে। তিনি বিরোধীয় জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে ১২/১৩ টি টংঘর দোকান উচ্ছেদ করে জমি নিজ দখলে নিয়ে মাটি ভরাটের কাজ করছেন বলে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়াগেছে।
এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায, মাগুরা সদর উপজেলার ২০৯ নং ও ১৮২ নং জগদল মৌজার বর্তমান হাল রেকর্ডের আরএস দাগ নং ২৯৯ এর ২০ শতক এবং হাল আর এস দাগ নং ২৯৮ এর ৭১ শতকের মধ্যে ১১ শতক মোট ৩১ শতক জমি সিএস মালিক রূপবান নেছার নিকট থেকে কবলা দলিলমূলে মালেক বিশ^াস গং ক্রয় করেন। সেমুলে এসএ রেকর্ডও জারি হয়। কিন্তু হাল রেকর্ডে ভুল বশত উক্ত জমি জগদল ইউনিয়ন পরিষদের নামে রেকর্ড হয়ে যায়। বিষয়যটি জানতে পেরে জমির প্রকৃত মালিক ও দখলদার গোলাম ছরোয়ার গং রেকর্ড সংশোধন চেয়ে মাগুরা যুগ্ম জেলা জজ ২য় আদালতে দেং ২২/০৫ নং মামলা দায়ের করেন। এই মামলার শুনানী শেষে গত ০৭/০৫/২০১২ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালতে বাদী গোলাম ছারোয়ার গং এর পক্ষে রায় বা ডিগ্রী প্রদান করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে জগদল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম রফিক ৯৩/১২নং টাইটেল আপীল মামলা দায়ের করেন। সেই টাইটেল আপীল মামলাটিতেও তিনি হেরে যান। গত ২৬/০৮/২০২১ ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত দোতরফাসুত্রে আপীলটির রায় দেন । বর্তমান এসএ রেকর্ড মালিকগনের শরিকানা আপোষে উক্ত বিষয় নিয়ে এলএসটি মামলা নং ৭৮/২০১৮ দায়ের হয় যার বাদী ফছিয়ার বিবাদী জগদল ইউপি চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম রফিক। এই এলএসটি মামলাটিতেও গত ৩১/১০/২০১৮ইং তারিখে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে রায় ঘোষিত হয়।
কিন্তু তিনি আইন আদালতকে উপেক্ষা করে গায়ের জোরে নিজস্ব বাহিনী নিয়ে গত ২৫/০৪/২০২৩ ইং তারিখে বিকাল ৫ টার সময় অনধিকারে উক্ত জমিতে প্রবেশ করে রাত্র ২ টা পর্যন্ত অবস্থান করেন এবং জমিতে খাকা ১০/১২টি টং দোকান ঘর ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে মাটি ভরাট কাজ শুরু করেন। জমিতে থাকা একটি পুকুরও দখল করে মাটি ভরাট করেন। বাদী পক্ষ নিরীহ হওয়ায় এবং বাধা দিলে খুন জখমের সম্ভাবনা থাকায় তারা নিরব থাকেন এবং ঘটনার ভিডিও ধারণ করে রাখেন। পরদিন তারা এ বিষয়ে মাগুরা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আদালতে চেয়ারম্যান রফিকসহ ৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। যার নং পি- ৪০/২৩। মামলাটি বর্তমানে পিবিআইয়ের তদন্তাধীন আছে।
অন্য দিকে এ বিষয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজি: মাগুরার আদালতে ২৫৭/২০২৩ নং পিটিশন মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত জমির স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার জন্য মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দেন । ওই আদেশের প্রেক্ষিতে মাগুরা থানার এস আই মো: আলমগীর হোসেন বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত করে গত ২৬/০৫/২০২৩ইং তারিখে ২য়পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন যে, ১মপক্ষের নিন্ম তফশীলভূক্ত সম্পত্তিতে আপনারা ২য় পক্ষ লোভের বশবর্তী হয়ে জোরপুর্ব্বক নিজেদের দখলে নেওয়ার জন্য গভীর ষড়যন্ত্র করছেন….। অতএব আদালতের আদেশ মোতাবেক যে যে অবস্থায় আছেন সেই অবস্থায় শান্তি বজায় রাখবেন। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এখানেই শেষ নয়, বিরোধী জমিতে বিবাদী চেয়ারম্যান গংদের বিরুদ্ধে ইংজাংশন বা চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মহামান্য হাইকোর্টে ১৫৮৩/২০২২ নং সিভিল রিভিশন মামলা দায়ের করা হলে বিজ্ঞ বিচারপতি মো: জাকির হোসেন গত ৩১/০৫/২০২৩ ইং তারিখে উক্ত জমির ওপর ইংজাংশন ( নিষেধাজ্ঞা) জারির আদেশ দিয়েছেন।
উচ্চ আদালতের এই নিষেধাজ্ঞা আদেশের পরও সেটি ভংগ করে জগদল ইউপি চেয়ারম্যান মো: রফিকুল ইসলাম রফিক নালিশী জমি জবর দখলে রেখে পুকুর ও খালি জমিতে মাটি ভরাট করে সেখানে মাকের্ট নির্মাণের ঘোষণা দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে ৮/১০ লাখ টাকায় পজেশন বিক্রি করছেন মর্মে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
প্রশ্ন হচ্ছে ,আইন,আদালতকে তোয়াক্কা না করা এই ইউপি চেয়ারম্যানের ক্ষমতার উতস কোথায়? তিনি কি সকল আইন কানুনের উর্ধে ? ভুক্তভোগিরা এ বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতি,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মহামান্য প্রধান বিচারপতি, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী,সচিব, বিভাগীয় কমিশনার খুলনা ও মাগুরা জেলা প্রশাসকের পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম