রাজু খান :
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানাধীন কাজলা নয়া নগর এলাকার আল ফালাহ মসজিদ থেকে মাত্র ১০০ গজ দূরত্বে, সেলিম ও তার স্ত্রী পান্না বেগমের দেহ ব্যবসা পরিচালনার অভিযোগ। প্রশাসনের জ্ঞাতসারেই এই অবৈধ কারবার চললেও নেই কোন পদক্ষেপ। ফলে দিনে দিনে এর মাত্রা বেড়েই চলেছে। এতে পরিবেশ বিনষ্ট হওয়ার পাশাপাশি উঠতি বয়সী কিশোর যুবকরাও জড়িয়ে পড়ায় উচ্ছনে যাচ্ছে তাদের ভবিষ্যৎ। জানা যায়, সেলিম এবং তার স্ত্রী পান্না বেগম দীর্ঘদিন যাবত নিজেদের বাসায় বিভিন্ন মেয়েদের এনে আগে থেকে ঠিক করে রাখা খদ্দের এর সাথে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হতে সহযোগীতা করেন। বিনিময়ে মোটা অংকের অর্থ নিয়ে থাকেন কাস্টমারের থেকে। এসকল টাকা থেকে কিছু টাকা কাস্টমারের সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া মেয়েকে দিলেও সিংহ ভাগ থেকে যায় তাদের কাছেই। বিভিন্ন সময় এলাকার স্থানীয় সাধারন মানুষ এবং যুবকদের কাছে হাতে নাতে ধরা পরলেও থেমে নেই কার্যক্রম। এসকল সমস্যার সম্মুখীন হলে অর্থের মাধ্যমে সমাধান, নতুবা বাসা ছেড়ে দিয়ে নতুন বাসা ভাড়া নিয়ে পুনরায় অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করেন। অনেকটা ওপেন সিক্রেট বিষয় হয়ে পড়েছে বাসা বাড়ীতে এসকল অনৈতিক কর্মকান্ড। এলাকার সচেতন মহল এ ব্যাপারে উদ্যোগী হলেও প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা না পাওয়ায় বন্ধ করতে পারছে না প্রকাশ্যে চলা অসামাজিক কার্যক্রম। সেলিম ও তার স্ত্রী পান্না বেগমের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রভাবে নানা অপরাধের প্রবণতাও বেড়েছে কাজলা নয়া নগর এলাকায়।
উক্ত দম্পত্তি নিজ বাসায় যাত্রাবাড়ীর কিছু চিহ্নিত দেহ ব্যবসায়ী নারী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মেয়েদের এনে অসামাজিক কার্যকলাপে নিয়োজিত করেন। টাকা দিলেই পাওয়া যায় কাঙ্ক্ষিত বয়সের নারী এবং শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার জন্য ঝামেলা বিহীন সুরক্ষিত রুম । অনুসন্ধানে জানা যায়, একটি সংঘবদ্ধ চক্র এই কারবার চালানোর ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সেল্টার দিয়ে আর্থিক সুবিধা ভোগ করছে। তাদের নেতৃত্বে নয়া নগর এলাকার স্থানীয় দাপুটে ও বখাটে যুবকদের সহযোগিতায় চলছে ব্যবসা। আবাসিক এলাকায় বাসা ভাড়া নেওয়ায় সহজে কারো সন্দেহের চোখে পরে না, পরলেও অর্থে মুখ বন্ধ।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, উক্ত দম্পত্তি বিভিন্ন জায়গা থেকে অসামাজিক কার্যকলাপে আগ্রহীদের সাথে কন্টাক্টের পর নিজের আত্মীয়, বন্ধু বা পরিচিতজন পরিচয়ে নিজেদের বাসায় নিয়ে কাজ শেষে, নিরাপদে সরিয়ে দেয়। অতঃপর মেয়েকে তার অর্থ বুঝিয়ে দিয়ে কিছু সময় বাসায় রেখে নিরাপদ মনে হলেই বের করে দেন। আবার অনেক কাস্টমার রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যেও এসে থাকেন, তবে সেক্ষেত্রে গুনতে হয় তাদের চাহিদা অনুযায়ী অর্থ।
অত্র এলাকায় সমানতালে চলছে এহেন কার্যকলাপ। এসব বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসনের বিট কর্মকর্তারা অবগত থাকলেও তারা প্রতিরোধে কোন পদক্ষেপ নেন না। সূত্রের অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করেই কাজ চলছে দেদারছে। বিষয়টি এলাকার কিশোর যুবকসহ পাড়া মহল্লার প্রায় সকলের মাঝেই জানা শোনা ব্যাপার। এতে তরুন কিশোররাও কৌতুহল বশত জড়িয়ে পড়ছে। উক্ত বিষয়ে অভিভাবকদের মাঝে চরম অস্থিরতা কাজ করে, ফলে সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তা গ্রস্থ নয়া নগর এলাকার বাসিন্দারা।
প্রকাশ্যে অনৈতিক কারবার চলায় মাদকসহ অন্যান্য অপরাধের প্রবণতাও বেড়ে গেছে। কারণ এসব মিনি পতিতালয়ে আসা বহিরাগত ব্যক্তিদের মধ্যে অভিজাত শ্রেনীর লোকজনের পাশাপাশি মাদকাসক্ত ও বিভিন্ন বে-আইনী কাজে জড়িতরাও রয়েছে। ফলে তাদের আগমনে এলাকায় বিভিন্ন অপরাধের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে কিশোর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের জনসাধারণের মধ্যে। এলাকার পরিবেশগত ভারসাম্য অক্ষুন্ন রাখার স্বার্থে এবং সেলিম ও তার স্ত্রীর কঠোর শাস্তি দাবী করে, প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ মাসুদ || বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২১/১ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০ || মোবাইল : ০১৫১১৯৬৩২৯৪,০১৬১১৯৬৩২৯৪ || ই- মেইল: dailysobujbangladesh@gmail.com || ওয়েব : www.dailysobujbangladesh.com
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ. All rights reserved.