বন্যায় বিধস্ত ঘর মেরামতে সহযোগিতা করল দূর্বার তারুণ্য

স্টাফ রিপোর্টার:

চট্টগ্রাম সাতকানিয়ায় এ বছর বন্যায় ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্তের শিকার হয় লাখ লাখ পরিবার। বন্যার শুরু থেকেই বাংলাদেশের জনপ্রিয় সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন দূর্বার তারুণ্য বিভিন্ন সহযোগিতা করে যাচ্ছিল সেখানে। বন্যার পানি যখন চারিদিকে, তখন শতাধিক পরিবারকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়। এরপর পানি নেমে গেলে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু আবিদ সাতকানিয়া পরিদর্শন করে ভিডিও বার্তায় ঘর-বাড়ি মেরামতে সহযোগিতা করবেন জানান।

আজ ১৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ২৭ টি পরিবারের হাতে ঘর-বাড়ি মেরামতের জন্য নগদ অর্থ তুলে দেয়া হয়।

এ সম্পর্কে মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, আমাদের ভিডিও দেখে চট্টগ্রাম মহানগরের আওয়ামী লীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ভাই আমার থেকে সাতকানিয়ার অবস্থা জানতে চান। তিনি তখন ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন। সব শুনে তিনি বলেন, তুমি তাড়াতাড়ি সাতকানিয়া ছুটে যাও। আমি যতদূর পারি,করব। সাতকানিয়ায় এসে তার সহযোগিতাটুকু পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছি। দেরীতে হলেও আমরা যে নিজেদের কথা রাখতে পেরেছি এটাই আমাদের শান্তি।

তিনি আরও বলেন, সাতকানিয়ায় আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদের সংখ্যাটাও কম নয়। তাদের পরিবারও এই বিপদে আক্রান্ত। আমাদের সামর্থ্য নেই সকলকে সহযোগিতা করার। তবে চেষ্টা করেছি মধ্যবিত্ত পরিবারদের সাহায্য করার। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের তুলনায় তা খুবই নগন্য। কিন্তু যদি সবাই আমরা এগিয়ে আসি, তাহলেই এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন অন্যান্য সামাজিক কাজের আইডিয়া ও তা বাস্তবায়ন করে ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ ইয়ুথ ভলেন্টিয়ার এওয়ার্ড অর্জন করেছে। এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে কাজের জন্য “কোভিড-১৯ যোদ্ধা” সম্মাননায় ভূষিত হন তারুণ্য নির্ভর সামাজিক সংগঠন দূর্বার তারুণ্য।

ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগদুদকে মামলা

কুমিল্লা প্রতিনিধি॥
ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগপ্রায় আড়াই কোটি টাকা তিনজন মিলে আত্মসাতের অভিযোগে ভিক্টোরিয়া কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার সাহা ও কলেজের দুই স্টাফের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক। মামলাটির বাদী কুমিল্লা দুর্নীতি দমন কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফি মোঃ নাজমুস সাদাত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদক কুমিল্লা অঞ্চলের উপ-পরিচালক ফজলুল হক।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন কলেজের সাবেক হিসাব রক্ষক ও বর্তমানে প্রধান সহকারী মোহাম্মদ আবদুল হান্নান এবং অফিস সহকারি কাজে জাহাঙ্গীর আলম।
প্রফেসর রতন কুমার সাহা ২০১৮ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের ৩০ মে পর্যন্ত কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি একই বছরের জুন মাসের ১১ তারিখ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন বিয়ার নিকট দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।
মামলার বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন,অনুসন্ধান কালে দেখা যায়, প্রফেসর রতন কুমার সাহা, আব্দুল হান্নান ও কাজী জাহাঙ্গীর আলম কলেজের ৪৪টি খাতের অন্যতম বিভিন্ন পরীক্ষা, উন্নয়ন, ল্যাবরেটরি, মিলাদ, পূজা, ব্যবহারিক, ম্যাগাজিন, শিক্ষা সফর, অত্যাবশ্যকীয় কর্মচারী তহবিল ও বিভিন্ন খাত থেকে ভুয়া চাহিদা পত্র বিল ভাউচার ও অনিয়ম করে বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
আরো উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে মোড় ৪৪টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে ভিন্ন বিষয় বা খাত ভিত্তিক আর্থিক আয় ব্যয় নির্বাহ করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে সোনালী ব্যাংক লিমিটেড এর তিনটি হিসাব কুমিল্লা কর্পোরেট শাখা ও একটি হিসাব কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড শাখায় এবং অবশিষ্ট ৪০টি হিসাব পূবালী ব্যাংক লিমিটেড ভিক্টোরিয়া কলেজ শাখার মাধ্যমে পরিচালিত। অনুসন্ধানে প্রাপ্তর রেকর্ড অনুযায়ী, প্রফেসর রতন কুমার সাহা ২০১৮ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ পদে যোগদান কালে ৪৪টি ব্যাংক হিসাবে স্থিতি ছিল সাত কোটি ১৫ লক্ষ ২৯ হাজার ৭২৮ টাকা এবং পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১১ই জুন পরবর্তী অধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রুহুল আমিন ভুঁইয়ার নিকট দায়িত্ব অর্পণ কালে ওই স্থিতির পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৫৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫৪৬ টাকা। এই তথ্য পেয়ে কলেজের অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ায় অধ্যক্ষ প্রফেসর রুহুল আমিন ভূঁইয়া দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যাপক সহযোগী অধ্যাপক সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের পাঁচ জন শিক্ষক সমন্বয়ে একটি অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি গঠন করেন। কমিটি তাদের প্রতিবাদনে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বিভিন্ন তহবিল, ২২টি খাতের আয় ব্যয় পর্যালোচনা শেষে এগুলোতে বিল ভাউচার নেই, এমনকি ব্যয়ের অস্তিত্ব নেই, সংশ্লিষ্ট বিভাগের বা কমিটির রিকুইজিশন নেই, মালামাল গ্রহণ বা বিতরণের প্রমাণ নেই কিংবা বিধিমতাবেক ক্রয় অর্থ ব্যয় হয়নি বলে উল্লেখ করেন। তারা প্রফেসর রতন কুমার সাহা কর্মকালীন বিভিন্ন আর্থিক অনিয়ম ও আত্মসাৎ এর তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করেন।
এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটির করা করা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যয় ভাউচার সমূহ এবং খরচের চাহিদা পত্র যাচাইসহ সেগুলোতে স্বাক্ষরকারী এবং চাহিদা প্রদানকারী কর্মচারী ও শিক্ষকগণের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করে প্রতিবেদন উল্লেখ করা হয় – ভাউচারে রিকোজেশনের স্বাক্ষর তাদের নয়। প্রকৃতপক্ষে না হলেও বা ব্যয়ের ভিত্তি না থাকা সত্ত্বেও ভাউচারগুলো পাস করে ব্যয় দেখানোর মাধ্যমে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রতন কুমার সাহা, হিসাব রক্ষক আব্দুল হান্নান এবং ক্যাশিয়ার কাজী জাহাঙ্গীর আলমের পরস্পর যোগ সাজশে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা ২কোটি ৪০ লাখ ৯২ হাজার ৯৬০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে প্রতীমান হয়।
দুদকের উপ-পরিচালক ফজলুল হক জানান, মামলাটি তদন্ত করতে এখন একজন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। তিনি মামলার তদন্তে প্রয়োজনীয় যেসব পদক্ষেপ নেয়ার সেগুলো পর্যায়ক্রমে করে যাবেন। আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যা যা করণীয় তার কোন ব্যতয় ঘটবে না।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম