আইজিপি কর্তৃক পুরস্কার পেলেন ওসি আবুল খায়ের

তারাকান্দা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের তারাকান্দা থানায় একাধিক চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও অভিন্ন মানদণ্ডে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করায় ওসি আবুল খায়ের ও এসআই রায়হানুর রহমানকে ময়মনসিংহ জেলা আইজিপি’র পক্ষ থেকে পূরস্কার প্রদান করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) ময়মনসিংহ জেলায় বিশেষ কল্যাণ সেবায় আইজিপি ও পুলিশ সুপার এ পুরস্কার প্রদান করেন। ময়মনসিংহ জেলার দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হওয়ায় ময়মনসিংহ রেঞ্জের নবনিযুক্ত ডিআইজি মোঃ শাহ আবিদ হোসেন বিপিএম (বার) এসআই রায়হানুর রহমানকে এ পুরস্কার তুলে দেন।

থানা সুত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ৩০ আগষ্ট তারাকান্দার নলদিঘি গ্রামের লাল মিয়া নামে একজন ব্যাক্তিকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে রাসেল মিয়া তারাকান্দা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওসি আবুল খায়ের এর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রায়হানুর রহমান ঘটনার রহস্য উদঘাটন, লাশ উদ্ধার ও ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করেন।

২৪ আগষ্ট ময়মনসিংহের তারাকান্দায় পরোকিয়ার জেরে অপহরণ করে হত্যার ঘটনা সংগঠিত হয়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিম বাবুল মিয়ার ছেলে সোহেল রানা তারাকান্দা থানায় মামলা দায়ের করেন। ওসি আবুল খায়ের এর নেতৃত্বে এসআই রায়হানুর রহমান, এ এসআই রুবেল মিয়াসহ একটি অভিযান টিম ঘটনার সাথে জড়িত আসামীদের ঢাকার তুরাগ থানা এলাকা হইতে গ্রেফতার করে এছাড়াও ওসি আবুল খায়ের নিজে অভিযান পরিচালনা করে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার সিধলং বিল থেকে ভিকটিমের পূতে রাখা লাশ উদ্ধার করেন। উল্লিখিত চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করে জনমনে পুলিশের প্রতি আস্থা ও পুলিশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করায় মাননীয় আইজিপি মহোদয় ও পুলিশ সুপার তাদেরকে পুরস্কৃত করেন। এছাড়াও গ্রেফতারী তামিলসহ অন্যান্য কাজে অভিন্ন মানদণ্ডে ময়মনসিংহ জেলার দ্বিতীয় শ্রেষ্ঠ এসআই নির্বাচিত হন তারাকান্দা থানার এসআই রায়হানুর রহমান।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিপিএম-সেবা অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ), মোঃ সাজ্জাদুর রহমান, বিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম এন্ড অপস্) সৈয়দ আবু সায়েম, পিপিএম (বার), পুলিশ সুপার (অপারেশন্স),খোন্দকার নজমুল হাসান, পুলিশ সুপার (ক্রাইম ম্যানেজমেন্ট) মোঃ ফারুক হোসেন, মাছুম আহাম্মদ ভূঞা পিপিএম,ময়মনসিংহ পুলিশ সুপার, মাছুম আহাম্মদ ভূঁঞা, কমান্ড্যান্ট (পুলিশ সুপার) খালিদ বিন নূর, ময়মনসিংহের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার, মহোদয়সহ অত্র রেঞ্জ অফিসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাবৃন্দ।

চৌহালীতে এলজিইডি’র অধিনে RERMP-৩ প্রকল্পে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ সিও আঃ রশিদের বিরুদ্ধে

চৌহালী প্রতিনিধিঃ

পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষনাবেক্ষেন কর্মসুচি-৩ এর আওতায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের পাকা সড়ক রক্ষনাবেক্ষেনের জন্য ১০ জন মহিলা কর্মী নিয়োগ প্রাপ্ত হন এলজিইডি অধীনে। উপজেলার খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের পাকা সড়ক রক্ষনাবেক্ষেনের জন্য ১০ জন নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মী প্রতিদিন বিভিন্ন সড়কে রক্ষনাবেক্ষেনের কাজ করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা ভিন্ন।

জানা যায়, ২০২০ সালে ৪ বছরের জন্য তারা নিয়োগ প্রাপ্ত হন। মোছাঃ মাজদা খাতুন, মোছাঃ সবুরা খাতুন, মোছাঃ আমেনা খাতুন, মোছাঃ জয়নব খাতুন ও মোছাঃ কুলসুম খাতুন খাতা কলমে ও নামে মাত্রই এরা কিন্তু সরোজিনে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। চৌহালী উপজেলা এলজিইডি অফিসের সিও আঃ রশিদ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে নিয়োগ প্রাপ্ত ৫জনকে বাদ দিয়ে নিজের ইচ্ছামত বদলী অন্য ৫ জনকে দিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত কাজ চালাচ্ছে। এর আগেও একই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে মুজিবনগর উপজেলা থেকে বিভাগীয় মামলা খেয়ে চৌহালী উপজেলায় তাকে বদলি করে দেওয়া হয়।

খাষকাউলিয়া টিমের অফিসিয়াল সভাপতি মোছাঃ মাদেজা খাতুন, তিনি নামেই মাত্র নিয়োগ পান তার বেতন ভাতা ভোগ করছেন মোছাঃ শাহানাজ খাতুন নামে আরেকজন। এমনকি স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনও করেন তিনি। শুধু তাই নয় খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের নিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্যে মোছাঃ সবুরা খাতুন এর পরিবর্তন মোছাঃ জানু খাতুন, মোছাঃ আমেনা খাতুন এর পরিবর্তে সূর্য বানু, মোছাঃ জয়নাব এর পরিবর্তে মোছাঃ খোদেজা খাতুন এবং মোছাঃ কুলছুম এর পরিবর্তে মোছাঃ শহিতন খাতুন বদলি কাজ করছেন, যা সরেজমিনে প্রমাণ পাওয়া যায়।

এই ১০ জন নারী কর্মীর বেতন ভাতা হয় সভাপতি ও সেক্রেটারির স্বাক্ষরে । কিন্তু সভাপতির হয়ে দীর্ঘদিন যাবত স্বাক্ষর করেন মাজেদার পরিবর্তে বদলিকৃত নারী সাহানাজ খাতুন। যাহা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি সিও আঃ রশিদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলেন, আপনারা যে যা পারেন করতে থাকেন আমি কোন পরোয়া করি না আমি আমার ইচ্ছামতই কাজ চালাবো। আর আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে সব কিছুই জানেন।

ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বিদ্যুৎ বলেন, বদলি কাজ করার বিধান রয়েছে তবে সর্বোচ্চ তিন দিন করতে পারবে কিন্তু সিও আঃ রশিদ দীর্ঘদিন যাবত বদলি কাজ কি ভাবে করাচ্ছে তা আমার জানা নেই।

উপজেলা প্রকাশলী সিরাজুল ইসলাম বলেন, বদলির ব্যাপারটা আমি আপনাদের কাছ থেকেই জানতে পারলাম, কি ভাবে সিও আঃ রশিদ দীর্ঘদিন যাবত ৫ জন নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মী বাদ দিয়ে অন্য কর্মী দিয়ে কাজ করাচ্ছেন কোন আইনে করাচ্ছেন সেটা আমার জানা নেই। তবে আমি এর সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনত ব্যবস্থা নিবো।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম