জবি ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে আউপলিফট ইউর ক্যারিয়ার ৩.০ অনুষ্ঠিত

 

উম্মে রাহনুমা, জবি প্রতিনিধি:
জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার ক্লাব কর্তৃক অনুষ্ঠিত হলো আউপলিফট ইউর ক্যারিয়ার ৩.০। ১৮ নভেম্বর রোজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত হয়।

আউপলিফট ইউর ক্যারিয়ার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব (জেএনইউসিসি) এর একটি বিশেষ ইভেন্ট। গত দুই বছর ধরে জবি ক্যারিয়ার ক্লাব এই ইভেন্টটির আয়োজন করে আসছে। এবছর তৃতীয় বারের মতো এই ইভেন্টটির আয়োজন করেছে জেএনইউসিসি। বর্তমান সময়ে একজন শিক্ষার্থীর নিজ ক্যারিয়ারকে সকলের চেয়ে এগিয়ে রাখার দিকনির্দেশনা ও দক্ষতার বিকাশের লক্ষে এই ইভেন্টটি আয়োজিত হয়েছে। ইভেন্টিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পর্কিত সেশনের আয়োজন করা হয়। ইভেন্টটি সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল।

উক্ত ইভেন্টটিতে The Art and Science of Resume,  Your First Interview, Employability Skills for 21st Century Job Market, Soft Skills That Bring Competitive Advantage, Career Choice BCS এবং Procurement and Supply Chain Management as a Career Choice সেশনগুলো অনুষ্ঠিত হয়।

ইভেন্টটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল। এছাড়াও ইভেন্টটিতে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার ক্লাব এর চেয়ারপারসন ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও মডারেটর মো. মোজাম্মেল হক।

উক্ত ইভেন্টটিতে উপস্থিত স্পিকার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, এই ধরনের ইভেন্ট একাডেমিক পড়াশোনার বাইরে একজন শিক্ষার্থীর তার ক্যারিয়ার সম্পর্কে সচেতন করে তোলে, তাকে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে এবং ভবিষ্যতে এমন আরো সময়োপযোগী ইভেন্ট এর আয়োজনের আশা ব্যক্ত করে তিনি।

জেএনইউসিসি এর সাধারণ সম্পাদক রানা ইসলাম জানান, আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো শিক্ষার্থীদের তার ক্যারিয়ারের প্রতিটি ধাপ সম্পর্কে অবগত রাখা এবং তাকে বর্তমান সময়ের প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো শিখতে সহায়তা করা। এবং এই কারণটিকে বিবেচনা করে আমরা এই ইভেন্টটির আয়োজন করে আসছি। এবং শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত এই অংশগ্রহণ আমাদের পরবর্তীতে এ ধরনের ইভেন্ট আয়োজনে উৎসাহ প্রদান করছে।

জগন্নাথ ইউনিভার্সিটি ক্যারিয়ার ক্লাবের সভাপতি তাসপিয়া ইসলাম বলেন, একজন শিক্ষার্থীর ক্যারিয়ার গঠনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা। আর আমাদের এই ইভেন্টটির প্রতিটি সেশন এই বিষয়টি বিবেচনায় করা। এই সেশনগুলো একজন শিক্ষার্থীকে বর্তমান সময়ে অনেক বেশি এগিয়ে রাখবে।

দেশজুড়ে সেন্টমার্টিন যেতে লাগবে ট্রাভেল পাস

স্টাফ রিপোর্টার: 

সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এখন থেকে প্রবাল দ্বীপটিতে যাওয়ার জন্য জাহাজ ছাড়ার/এন্ট্রি পয়েন্টে ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করা হবে। সেই সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দ্রব্যাদি পণ্য পরিবহন না করার মতো নির্দেশনা মানতে হবে।

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি বিষয়টি জানানো হয়েছে।

ওই অফিস আদেশে বলা হয়েছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক থাকবেন কক্সবাজার সদর এবং টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সদস্য সচিব থাকবেন কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক। সদস্য থাকবেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, কক্সবাজারের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ কক্সবাজারের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড কক্সবাজারের একজন প্রতিনিধি ও ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজারের একজন প্রতিনিধি।

কমিটির কর্মপরিধিতে বলা হয়েছে, জাহাজ ছাড়ার/এন্ট্রি পয়েন্টে শুধু বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক প্রস্তুতকৃত অ্যাপস থেকে সংগ্রহকৃত ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিতকরণ। পর্যটক এবং অনুমোদিত জাহাজ কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন ব্যাগ এবং একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক দ্রব্যাদি পণ্য (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী) পরিবহন না করার বিষয়টি নিশ্চিতকরণ। পর্যটকরা কোন হোটেলে অবস্থান করবেন তা লিপিবদ্ধকরণ এবং রেজিস্টার সংরক্ষণ। জাহাজ ছাড়ার পয়েন্টে এবং সেন্টমার্টিনে এন্ট্রি পয়েন্টে পর্যটকদের জন্য করণীয় এবং বর্জনীয় বিষয়ে বিলবোর্ড স্থাপন। পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা অফিস সার্বিক যোগাযোগ ও সমন্বয় করবে। এবং কমিটি প্রয়োজনে সদস্য কো-অপ্ট করতে পারবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত ২২ অক্টোবর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভায় সেন্টমার্টিনের বিষয়ে নানা বিধি নিষেধ আরোপ করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৮ অক্টোবর একই মন্ত্রণালয়ের উপসচিব অসমা শাহীন স্বাক্ষরিত একটি পরিপত্র জারি করে। যে পরিপত্রে পাঁচটি বিষয় উল্লেখ্য আছে। যেখানে বলা হয়েছে- সেন্টমার্টিনে নৌ যান চলাচলের বিষয়টি বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ কর্তৃপক্ষ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সম্মতি গ্রহণ করে অনুমতি প্রদান করবে। নভেম্বর মাসে দ্বীপে পর্যটক গেলেও দিনে ফিরে আসতে হবে। রাত্রিযাপন করতে পারবেন না। ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে রাত্রিযাপন করা যাবে। পর্যটকের সংখ্যা গড়ে প্রতিদিন ২ হাজারের বেশি হবে না। দ্বীপে রাতে আলো জ্বালানো যাবে না, শব্দ দূষণ সৃষ্টি করা যাবে না। বার বি কিউ পার্টি করা যাবে না।

এমন সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক মন্তব্য করে কর্মসূচিতে দ্বীপবাসীর পাশাপাশি হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ ও ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশনসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহস্রাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও কর্মীরা ধারাবাহিক আন্দোলন করে যাচ্ছেন। এর মধ্যে কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণ ও সেন্টামর্টিনগামী জাহাজ ছাড়ার পয়েন্ট নির্ধারণ সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে আছেন কক্সবাজার সদর এবং টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তাদের আদেশ মতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

 

সবা:স:জু-১৫০/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম