তারিখ লোড হচ্ছে...

মোতায়াল্লি অপহরণ চেষ্ঠায় জড়িত দুই পুলিশ সদস্য!

সিলেট প্রতিনিধি ॥
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় একটি মসজিদের মোতায়াল্লিকে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ চেষ্টার সঙ্গে দুই পুলিশ কনস্টেবল জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। বাদীর দায়ের করা সিআর মামলা তদন্ত করে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।শুধু তাই নয়, ওই প্রতিবেদনে আরও দুইজনকে আসামি করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

গত ১১ আগস্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৩ এর কাছে তেমনি এক অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ ফজলে আজিম পাটোয়ারী।

অপহরণ চেষ্ঠার ঘটনায় গত ১ মার্চ আদালতে বাদী হয়ে এই মামলা করেন বেতসুন্দি ফকিরেরগাঁও গ্রামের মসজিদের মোতায়াল্লি নিজাম উদ্দিন (৬৫)।

আর এই অপহরণের চেষ্ঠার সঙ্গে জড়িত দুই পুলিশ কনস্টেবল হচ্ছেন- ব্রাম্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার ব্রম্মণহাতা গ্রামের হেফজুল বারীর ছেলে শরীফ রানা (৩৭) ও সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানার কাছিরগাতি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩০)। তার মধ্যে কনস্টেবল শরীফ রানা ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর কোতোয়ালী মডেল থানায় ৩৯২ ধারায় দায়ের করা ১১নং একটি মামলার আসামি হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে পিবিআইয়ের এই প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও দুজন আসামি রয়েছেন। তারা হলেন মোগলাবাজার থানার গঙ্গারচক আলমপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নিজামুল হক লিটন (৩৭)। মামলা দায়েরের পর তিনি মৃত্যুবরণ করায় তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বাকি একজন হচ্ছেন অপহরণের চেষ্ঠার মুল পরিকল্পনাকারী দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বেতসুন্দি ফকিরের গাঁও গ্রামের মৃত সোনাফর আলীর ছেলে আব্দুস শহিদ (৩৬)।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বেতসুন্দি ফকিরের গাঁও নামক স্থানে থাকা শাহ আব্দুর রহিম (র,) মাজারের আধিপত্য নিয়ে আসামি আব্দুস শহীদ ও মোতায়াল্লি নিজাম উদ্দিন (৬৫) এর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই জের ধরে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একটি নোহা গাড়ি দিয়ে নিজ বাড়ি থেকে মোতায়াল্লি নিজাম উদ্দিনকে অপহরণের চেষ্ঠা করা হয়। যা নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে থাকা সিসিটিভির ফুটেজে তিনজনকে দেখা যায়। আর এ ঘটনায় নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে আদালতে ওই সিআর মামলাটি দায়ের করেন।

জানতে চাইলে পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ ফজলে আজিম পাটোয়ারী বলেন, বাদী তার মামলায় একজনের নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু আমরা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ও তদন্তপূর্বক গাড়ির চালকের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে বাকি আসামিদের শনাক্ত করেছি। এছাড়াও মামলার বাদী আসামিদের শনাক্ত করেছেন বলে তিনি জানান।

 

নবীনগরের গর্ব একজন মতিন ভূইয়ার মানবিকতার গল্প

বিপ্লব নিয়োগী তন্ময়,নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

প্রচারের আড়ালে থাকা এমন মানবতার ফেরিওয়ালা ক’জন আছে?ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় গরিব অসহায় মানুষের আস্থা বিশ্বাসের নাম মতিন ভূঁইয়া সিপিএ। যিনি প্রতিনিয়ত নবীনগরের অতিদরিদ্র মানুষের কল্যানে নিবেদিত ভাবে প্রায় দেড় যুগেরও অধিক সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতি বছরই এই মানুষটি পুরো উপজেলার জুড়ে অসহায় কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মধ্যে পবিত্র মাহে রমজানের সময় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে থাকেন।

এ ছাড়াও নিজ জন্মভূমি নবীনগরে মানুষের জন্য একের পর এক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন এই মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত মতিন ভুঁইয়া সিপিএ। বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা দেওয়া,গরিব অসহায় মানুষের বিশুদ্ধ পানির সেবা নিশ্চিত করতে গভীর নলকূপ স্থাপন করে দেয়া, দরিদ্র মানুষকে স্বাবলম্বী করে তুলতে তাদেরকে গবাদিপশু দেয়া,দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে নিজের প্রয়াত বাবার নামে আব্দুল হাই ভূঁইয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন।

ইতোমধ্যে তিনি পুরো উপজেলা জুড়ে হাজার হাজার গরু উপহার দিয়ে এলাকার বহু মানুষকে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করেছেন।হাজার হাজার পরিবারের মাঝে গভীর নলকূপ স্থাপন করে দিয়েছেন,নিজের প্রয়াত বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে শতশত যুবককে কর্মমুখী করে তুলছেন।

তবে প্রতি বছর রমজান উপলক্ষ্যে ব্যাপক পরিমাণে তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে থাকেন।গত করোনাকালিন সময়ে দুই দফায় প্রায় দশ হাজার মানুষের মাঝে প্রায় ২০০ শত মেট্রিকটন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে গেছেন। এইবার তিনি প্রতিটি পরিবারের নিকট ২৫ কেজি চাল,৪কেজি ডাল ও ৪টি করে সাবান বিতরণ ও ২কেজি সয়াবিন তেল বিতরণ করেন।
২১শে মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুল হাই ভুইয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ভাবে এসব খাদ্য সামগ্রী উপজেলার রছুল্লাবাদ ও ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের কয়েকশ পরিবারের মধ্যে বিতরণের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয়। এ বছর পুরো উপজেলায় ৭৫ মেট্রিকটন চাল,১৫ মেট্রিকটন মশুর ডাল,১৫ হাজার পিস কাপড় কাচার ও সুগন্ধি সাবান এবং ৬ মেট্রিকটন সয়াবিন তেল দেওয়া হচ্ছে।

বছরের পর বছর ধরে সুদূর আমেরিকায় বসবাস করার কারণে মতিন ভুইয়ার এ সকল নান্দনিক মহৎ কাজটি নিরলসভাবে সামাল দিয়ে যাচ্ছেন তাহার অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও পরিশ্রমী মাঝিকাড়া ইসলামী হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মুহাম্মদ সানাউল্লাহ।
বরাবরের মতো বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি স্বশরীরে হাজির হয়ে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার সময় তিনি জানান একজন মানবিক গুন সমৃদ্ধ মানুষের মধ্যে যে সমস্ত গুণাবলী থাকা দরকার মতিন ভুইয়া ভাইয়ের মধ্যে তা রয়েছে। তিনি নবীনগর পুরো উপজেলার সামাজিক অবক্ষয় দূর করে সত্যিকারে একটি সমৃদ্ধ নবীনগর গঠনের লক্ষ্যে কোন রকম রাজনৈতিক আকাংখা ছাড়া আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত দেড় যুগ ধরে সেটি করা হচ্ছে,ভবিষ্যতেও হবে ইনশাআল্লাহ।

সবাই এই মানবতার সেবকের জন্য দোয়া করবেন, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা যেন ভালো থাকে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম