১১ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । বিকাল ৪:৫১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
সিলেট প্রতিনিধি ॥
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় একটি মসজিদের মোতায়াল্লিকে নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ চেষ্টার সঙ্গে দুই পুলিশ কনস্টেবল জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। বাদীর দায়ের করা সিআর মামলা তদন্ত করে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে সিলেটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।শুধু তাই নয়, ওই প্রতিবেদনে আরও দুইজনকে আসামি করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
গত ১১ আগস্ট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৩ এর কাছে তেমনি এক অনুসন্ধান প্রতিবেদন প্রেরণ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ ফজলে আজিম পাটোয়ারী।
অপহরণ চেষ্ঠার ঘটনায় গত ১ মার্চ আদালতে বাদী হয়ে এই মামলা করেন বেতসুন্দি ফকিরেরগাঁও গ্রামের মসজিদের মোতায়াল্লি নিজাম উদ্দিন (৬৫)।
আর এই অপহরণের চেষ্ঠার সঙ্গে জড়িত দুই পুলিশ কনস্টেবল হচ্ছেন- ব্রাম্মনবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার ব্রম্মণহাতা গ্রামের হেফজুল বারীর ছেলে শরীফ রানা (৩৭) ও সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর থানার কাছিরগাতি গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩০)। তার মধ্যে কনস্টেবল শরীফ রানা ২০১৫ সালের ৭ ডিসেম্বর কোতোয়ালী মডেল থানায় ৩৯২ ধারায় দায়ের করা ১১নং একটি মামলার আসামি হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে পিবিআইয়ের এই প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও দুজন আসামি রয়েছেন। তারা হলেন মোগলাবাজার থানার গঙ্গারচক আলমপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে নিজামুল হক লিটন (৩৭)। মামলা দায়েরের পর তিনি মৃত্যুবরণ করায় তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। বাকি একজন হচ্ছেন অপহরণের চেষ্ঠার মুল পরিকল্পনাকারী দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বেতসুন্দি ফকিরের গাঁও গ্রামের মৃত সোনাফর আলীর ছেলে আব্দুস শহিদ (৩৬)।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বেতসুন্দি ফকিরের গাঁও নামক স্থানে থাকা শাহ আব্দুর রহিম (র,) মাজারের আধিপত্য নিয়ে আসামি আব্দুস শহীদ ও মোতায়াল্লি নিজাম উদ্দিন (৬৫) এর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই জের ধরে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একটি নোহা গাড়ি দিয়ে নিজ বাড়ি থেকে মোতায়াল্লি নিজাম উদ্দিনকে অপহরণের চেষ্ঠা করা হয়। যা নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে থাকা সিসিটিভির ফুটেজে তিনজনকে দেখা যায়। আর এ ঘটনায় নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে আদালতে ওই সিআর মামলাটি দায়ের করেন।
জানতে চাইলে পিবিআইয়ের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ ফজলে আজিম পাটোয়ারী বলেন, বাদী তার মামলায় একজনের নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু আমরা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ও তদন্তপূর্বক গাড়ির চালকের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে বাকি আসামিদের শনাক্ত করেছি। এছাড়াও মামলার বাদী আসামিদের শনাক্ত করেছেন বলে তিনি জানান।
Leave a Reply