পরিবর্তনের জোয়ার উঠেছে- শওকত মাহমুদ

বুড়িচং প্রতিনিধি:
বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সাংবাদিক শওকত মাহমুদ বলেছেন, এলাকার মানুষ এবার ভোট দিতে চায়। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ থাকলে সাধারণ ভোটাররা ভোট কেন্দ্রে যেতে আগ্রহী। কারণ তারা পরিবর্তন চায়। তাদের ভিতরে পরিবর্তনের জোয়ার উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সতর্ক আশাবাদী। আর সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জয়ী হব ইনশা আল্লাহ। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিপরীতে আরও চারজন স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন আমার নির্বাচনী এলাকায়। তাদের আচার-আচরণ অনেকটাই ‘ডেসপারেট’ ধরনের।

তাদের ভাব-সাব ২০১৮ সালের মতোই রয়ে গেছে। সে হিসেবে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু না হওয়ার কিছুটা আশঙ্কা এখনো রয়েই গেছে। গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে দেওয়া এক (ভার্চুয়াল) সাক্ষাৎকারে তিনি এ শঙ্কা ব্যক্ত করেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ বলেন, তাঁর নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা-৫।

সেই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হয়েছেন অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম খান এমপি। তিনি ছাড়াও সেখানে আওয়ামী লীগের আরও চারজন নেতা স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী) হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তারা সবাই সংশ্লিষ্ট জেলার বিভিন্ন উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এবং সবাই নির্বাচনে জয়লাভের ব্যাপারে আশাবাদী। এদের মধ্যে রয়েছেন- সাজ্জাদ হোসেন স্বপন, আবু জাহেদ ও জাহাঙ্গীর চৌধুরী। এ ছাড়াও আরেকজনের প্রার্থিতা নিয়ে আপিল প্রক্রিয়াধীন।

সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদ বলেন, কুমিল্লা-৫ এলাকার নির্বাচনী পরিবেশ এখন পর্যন্ত শান্ত ও স্থিতিশীল। এলাকায় গণসংযোগ ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে বোঝা গেছে, সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় থাকলে তারা দীর্ঘদিন পরে এবার ভোট দিতে চায়। ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার ব্যাপারে তারা ব্যাপকভাবে আগ্রহী। তবে পরিবেশ বিঘ্নিত হলে তারা সেই আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন। এক প্রশ্নের জবাবে শওকত বলেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভাব-সাব ভালো মনে হচ্ছে না। তাদের সমর্থক-কর্মীদের মধ্যে আলাদা একটা উগ্র-ভাব বিরাজ করছে। তারা ভাবছেন ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতোই একতরফা (কেন্দ্র দখল করে) ভোটের মাধ্যমেই তারা জয়লাভ করবেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো পর্যন্ত সে রকম কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। এখন পর্যন্ত তাদের কার্যকলাপে মনে হয়েছে যে, তারা অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনই করতে চায়। এ ব্যাপারে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে এলাকার সাধারণ জনগণকে।

ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ

স্টাফ রিপোর্টার॥
রাজধানীর মহাখালী, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী ও ডেমরা এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা সড়ক অবরোধ করেছেন। এতে এসব এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে এসব এলাকায় রিকশাচালকরা জড়ো হন। পুলিশ তাদের সরে যেতে বললেও তারা সড়ক ছাড়েননি।
সকাল ১০টার দিকে ট্রাফিক গুলশান ডিভিশনের ফেসবুক পেজে বলা হয়েছে, এই মুহূর্তে জনস্বাস্থ্যের সামনে/আমতলীতে/মহাখালী রেল ক্রসিংয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা সব রাস্তা বন্ধ করে অবস্থান করছেন। যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশ উপস্থিত থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য।

ট্রাফিক মিরপুর ডিভিশনের ফেসবুক পেজে জানানো হয়েছে, রিকশাচালকদের আন্দোলনের জন্য মাজার রোড এলাকায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে।
এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর এলাকায় তিনদিনের মধ্যে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত বিষয়ে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মাহমুদুর রাজীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে এ বিষয়ে ব্যবস্থা না নেওয়া কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। স্বরাষ্ট্র সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের আদালতের এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
মিরপুরে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনে যান চলাচল ব্যাহত এই আদেশের পর গতকাল বুধবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জ, মিরপুর, কল্যাণপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করেন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকরা। বর্তমানে প্রায় ১৩ লাখ রিকশা চলাচল করছে রাজধানীতে। যার বড় একটি অংশ ব্যাটারিচালিত। পুরাতন প্যাডেলচালিত অনেক রিকশায় ব্যাটারি লাগিয়ে যান্ত্রিক করা হচ্ছে।
রাজধানীর মূল সড়কের চেয়ে অলিগলিতে ব্যাটারিচালিত রিকশার চলাচল বেশি। সুযোগ পেলে মূল সড়কও দাপিয়ে বেড়ায় এসব রিকশা। রাজধানীর খিলগাঁও, মান্ডা, বাসাবো, মানিকনগর, রামপুরা, বাড্ডা, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, সবুজবাগ, শ্যামপুর, ডেমরা, মোহাম্মদপুর, বছিলা, উত্তরা, ভাটারা, দক্ষিণখান, উত্তরখান, ময়নারটেক, মিরপুর, পল্লবী এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশার সংখ্যা বেশি।
এসব এলাকা ছাড়াও রাজধানীর প্রায় সর্বত্র ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল রয়েছে। ফলে নিয়মিত ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেকে আহত হচ্ছেন, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন কয়েক দফা অভিযান চালালেও থেমে নেই অবৈধ এসব বাহনের দৌরাত্ম্য।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম