বাবার হত্যার বিচার চায় শিশু আরিয়ান ও রাইয়ান

 

স্টাফ রিপোর্টার:
সমুদ্রে মাছ ধরতে চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় পতেঙ্গা’র বহু-মামলার আসামি ইলিয়াস বাহিনী’র হাতে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে পতেঙ্গা’র ব্যাবসায়ী “রফিক “।
নিহত রফিক নগরীর দক্ষিণ পতেঙ্গাস্থ দক্ষিণ পাড়া নাগর আলীর নতুন বাড়ির মৃত বদিউর রহমানের ছেলে ছোট ছেলে।

গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে নগরী’র পতেঙ্গায় ব্যাবসায়ী রফিক এর নিকট
সমুদ্রে জাল ফেলাকে কেন্দ্র করে
দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন পতেঙ্গা থানা’র
কথিত সৈনিক লীগের থানা সভাপতি
ইলিয়াস প্রকাশ গাভী ইলিয়াস,
চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে
ইলিয়াসের নির্দেশে তার ভাই রুস্তম ও আলাউদ্দিন, ভাইয়ের ছেলে তুষার এবং ইলিয়াসের ব্যবসায়িক অংশীদার মো. ফারুকসহ অন্তত ১৫ থেকে ১৯ জনের একটি দল রফিককে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন নিহত রফিকের বড় ভাই মামলার বাদী আবদুর নুর।

আবদুর নুর বলেন- গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার ঠিক পরে রফিক বিজয়নগর থেকে চা খেয়ে বাচ্চাদের জন্য হাত ঘড়ি কিনে বাড়ির দিকে আসছিল। ভিআইপি রোডে টি কে গ্রুপের মাঠের কাছাকাছি আসলে, তাকে ঘিরে ধরে মাঠের ভেতরে নিয়ে যায় ইলিয়াসের লোকজন।
সেখানে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়। খবর পেয়ে সেখান থেকে অাহত অবস্থায় উদ্ধার করে মেডিকেল নেওয়া হলে পথে তার মৃত্যু হয়।

আব্দুর নুর আরো বলেন – প্রতিনিয়ত মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি দিচ্ছে ইলিয়াস অন্যথায় নাকি আমার পরিবারের সদস্য’র ক্ষতি করবে এ বিষয়ে আমি জিডি করেছি জিডির প্রতিবেদনেও সত্যতা মিলেছে।

নিহত রফিকের স্ত্রী আরজুন নাহার নিশা
বলেন, আমার সন্তানের বাবাকে যারা হত্যা করেছে তারা এখনও জামিনে এসে মানলা তুলে নেবার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে আমার ভাসুর আব্দুর নুর ও আমাদের কে প্রতিনিয়র হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে আমরা থানায় জিডিও করেছি আমার প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিনিত আবেদন, আমার স্বামী কে যারা হত্যা করেছে তাদের যেন ফাঁসি হয়।

রফিকের বড় ছেলে জুনায়েদ তাজবিদ রাইয়ান বলেন আমার বাবার খুনি ইলিয়াস এর ছেলে আমাকে বলেছে আমাকেও নাকি আমার বাবার কাছে পাঠিয়ে দেবে।

কে এই ইলিয়াস?

ইলিয়াস চট্টগ্রামের পতেঙ্গার দক্ষিণ পাড়া কোনার দোকান এলাকার নাগর আলীর নতুন বাড়ির মৃত হোসেন আহম্মদের ছেলে। পতেঙ্গা থানা সৈনিক লীগের থানা সভাপতি হিসেবে নিজের পরিচয় দেন।

তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, নির্যাতন ও মাদকের মামলাসহ ডজনখানেক মামলা রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে লাইটার জাহাজ থেকে তেল চুরির অভিযোগ ও স্ট্যাম্পে লিখে সমুদ্র বিক্রি, তার এসব অপকর্মের নানা অভিযোগ রয়েছে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি), র‌্যাব-৭ ও কোস্টগার্ড দপ্তরে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার জয়ী

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্কঃ

বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগে শূন্য হওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া ৪৪ হাজার ৮১১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি জাতীয় পার্টির আবদুল হামিদ ভাসানী পেয়েছেন ৯৫৮০ ভোট। পুলিশ সূত্র এই ফলাফল নিশ্চিত করেছে।

এছাড়া ৩২৩৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন মোটর গাড়ি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদ। চতুর্থ জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম জুয়েল গোলাপফুল প্রতীকে পেয়েছেন ১৪২৭ ভোট। জেলা

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ইভিএমের মাধ্যমে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে মোট ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আব্দুস সাত্তার (কলারছড়ি), জাতীয় পার্টির আব্দুল হামিদ ভাসানী (লাঙ্গল), জাকের পার্টির জহিরুল হক জুয়েল (গোলাপ ফুল) ও বিএনপির বহিষ্কৃত আরেক নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটরগাড়ি) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

দুই উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে এ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৩১৯ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫০৩ ও নারী ভোটারের সংখ্যা ১ লাখ ৭৫ হাজার ৮১৫ জন। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের একজন ভোটার রয়েছেন।

নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ১৭টি ইউনিয়নে ১৭ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন।

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষায় ১১০০ পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি ৪ প্লাটুন বিজিবির সদস্য মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়াও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছে র‌্যাবের ৯টি টিম, পুলিশের ৯টি মোবাইল টিম ও ৪টি স্ট্রাইকিং টিম।

সূত্রঃ যমুনা টেলিভিশন

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম