সিলেটের বিশ্বনাথ কলেজ টু নাজির বাজারের সড়ক – এখন লাইফ সাপোর্টে !

আরকুম আলী বিশ্বনাথ(সিলেট)প্রতিনিধি:

দীর্ঘদিন ধরে হচ্ছে না সংস্কার। আর সংস্কারের অভাবে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে দক্ষিণ বিশ্বনাথ, ভেগশাইল থেকে কুরুয়া বাজার পর্যন্ত সড়ক।

বিশ্বনাথের মরণ ফাঁদে ও দুর্ভোগের চরমে নাকাল যেমন সমগ্র উপজেলাবাসী ঠিক এমনি এক ভাঙ্গনের ভয়ংকর চিত্র ফুটে উঠেছে ভেগশাইল কুরুয়া সড়ক।

বালাগঞ্জ উপজেলা ও
উসমানীনগর উপজেলার সাথে বিশ্বনাথ উপজেলার
দ্রুত যোগাযোগ ও যাতায়তের
এক সংক্ষিত সড়ক এটি।

খানা-খন্দ ও গর্তের বিশালকার থাকায় সড়কের পার্শে থাকা গাছ গুলো হেলে থাকায় মানুষের দুর্ভোগ বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।

পরিবহণ শ্রমিকসংগঠনের
৭০৭ রেজিনং এর “নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক “এক মেম্বারের সাথে এবিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, “সাবেক এমপি এম.ইলিয়াস আলীর পর বিশ্বনাথবাসীর কপালে উন্নয়ন নেই ” এবার আমরা একজন প্রতিমন্ত্রী ও একজন পূর্ন মন্ত্রী পেয়েছি,আশাবাদী কাজ হবে কিছু।

এ প্রতিবেদক, বিশ্বনাথ শ্রমিকসংগঠনের ২০৯৭ রেজিনং এর সদস্য মাসুম আহমদকে “ভাঙ্গা গর্তে ভরা রাস্তায় গাড়ি চালানো অবস্থায় ” রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান “বর্তমান এমপি ও প্রতিমন্ত্রী মহোদয় আশ্বাস দিয়েছেন ” কাজ হবে শীর্ঘই।

বর্ষায় বৃষ্টি হলে ছোট বড় অসংখ্য গর্তের কারনে উপজেলার অন্যান রাস্তার মতো ভেগশাইল কুরুয়া সড়টি মিনি পুকুরে পরিণত হয়।

রাস্তার বেহাল দশার কারণে গাড়ি ভাড়া বেড়ে গেছে তিন গুন, পিচ ঢালাই উঠে যাওয়ায় রাস্তায় গাড়িচলাচলে
ভয়ংকর দুর্ঘটনার ঝুকি বিদ্যমান।

স্কুল, কলেজ,বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা, একাডেমী পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা, সাধারণ জনগণ,
বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ, রোগী চলাচলে চরম বিগ্ন হচ্ছে রাস্তার দুর্গতির কারণে।

অন্যদিকে এলজিইডি, সড়ক জনপদ বিভাগ (সওজ)’র আওতাধীন প্রধান সড়ক, জাতীয় সড়ক ও বিশ্বরোডের
সাথে যুক্ত এ ভেগশাইল টু কুরুয়া সড়কটি নিয়ে সাধারণ জনগনের অভিযোগের শেষ নেই। বিগত ১৫ বছর ধরে কোন উন্নয়ন হয়নি বলে অনেকে আক্ষেপ করেন।

মাজে কিছু লেপ-কসমেষ্টিক্স মেরামত হলেও নিম্মমানের কাজের কারণে তা টিকেনি।

সরজোমিনে ঘুরে দেখা যায়
২০২২ সালে ভয়ংকর বন্যার
থাকায় কিছু কিছু বাঁকে প্রচন্ড
ঢালু পিচ উঠে নরকে পরিণত হয়েছে সড়কটি।

এই প্রতিবেদক – বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
শাহীনা আক্তারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, শীর্ঘই
অন্যান রাস্তার মতো এ রাস্তার কাজ শুরু হবে।

বিশ্বনাথ উপজেলা প্রকৌশলী আবু সাঈদ জানান :- এ বিষয়ে পরে কথা বলছি, এর পর তাঁর মোবাইল নং : ০১৭০৮১৬১৬৮৭ ও ফোন (অফিস) : ০১৭০৮১৬১৬৮৭
ই-মেইল :ue.biswanath@lged.gov.bd একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কাজটি প্রক্রিয়াধীন আছে

নবীনগরের গর্ব একজন মতিন ভূইয়ার মানবিকতার গল্প

বিপ্লব নিয়োগী তন্ময়,নবীনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

প্রচারের আড়ালে থাকা এমন মানবতার ফেরিওয়ালা ক’জন আছে?ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় গরিব অসহায় মানুষের আস্থা বিশ্বাসের নাম মতিন ভূঁইয়া সিপিএ। যিনি প্রতিনিয়ত নবীনগরের অতিদরিদ্র মানুষের কল্যানে নিবেদিত ভাবে প্রায় দেড় যুগেরও অধিক সময় ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতি বছরই এই মানুষটি পুরো উপজেলার জুড়ে অসহায় কর্মহীন দরিদ্র মানুষের মধ্যে পবিত্র মাহে রমজানের সময় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে থাকেন।

এ ছাড়াও নিজ জন্মভূমি নবীনগরে মানুষের জন্য একের পর এক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন এই মানবতার ফেরিওয়ালা খ্যাত মতিন ভুঁইয়া সিপিএ। বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা দেওয়া,গরিব অসহায় মানুষের বিশুদ্ধ পানির সেবা নিশ্চিত করতে গভীর নলকূপ স্থাপন করে দেয়া, দরিদ্র মানুষকে স্বাবলম্বী করে তুলতে তাদেরকে গবাদিপশু দেয়া,দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে নিজের প্রয়াত বাবার নামে আব্দুল হাই ভূঁইয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেন।

ইতোমধ্যে তিনি পুরো উপজেলা জুড়ে হাজার হাজার গরু উপহার দিয়ে এলাকার বহু মানুষকে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা করেছেন।হাজার হাজার পরিবারের মাঝে গভীর নলকূপ স্থাপন করে দিয়েছেন,নিজের প্রয়াত বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে শতশত যুবককে কর্মমুখী করে তুলছেন।

তবে প্রতি বছর রমজান উপলক্ষ্যে ব্যাপক পরিমাণে তিনি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে থাকেন।গত করোনাকালিন সময়ে দুই দফায় প্রায় দশ হাজার মানুষের মাঝে প্রায় ২০০ শত মেট্রিকটন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে গেছেন। এইবার তিনি প্রতিটি পরিবারের নিকট ২৫ কেজি চাল,৪কেজি ডাল ও ৪টি করে সাবান বিতরণ ও ২কেজি সয়াবিন তেল বিতরণ করেন।
২১শে মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে আব্দুল হাই ভুইয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে ভাবে এসব খাদ্য সামগ্রী উপজেলার রছুল্লাবাদ ও ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের কয়েকশ পরিবারের মধ্যে বিতরণের মধ্য দিয়ে উদ্বোধন করা হয়। এ বছর পুরো উপজেলায় ৭৫ মেট্রিকটন চাল,১৫ মেট্রিকটন মশুর ডাল,১৫ হাজার পিস কাপড় কাচার ও সুগন্ধি সাবান এবং ৬ মেট্রিকটন সয়াবিন তেল দেওয়া হচ্ছে।

বছরের পর বছর ধরে সুদূর আমেরিকায় বসবাস করার কারণে মতিন ভুইয়ার এ সকল নান্দনিক মহৎ কাজটি নিরলসভাবে সামাল দিয়ে যাচ্ছেন তাহার অত্যন্ত বিশ্বস্ত ও পরিশ্রমী মাঝিকাড়া ইসলামী হাফিজিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ মুহাম্মদ সানাউল্লাহ।
বরাবরের মতো বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি স্বশরীরে হাজির হয়ে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করার সময় তিনি জানান একজন মানবিক গুন সমৃদ্ধ মানুষের মধ্যে যে সমস্ত গুণাবলী থাকা দরকার মতিন ভুইয়া ভাইয়ের মধ্যে তা রয়েছে। তিনি নবীনগর পুরো উপজেলার সামাজিক অবক্ষয় দূর করে সত্যিকারে একটি সমৃদ্ধ নবীনগর গঠনের লক্ষ্যে কোন রকম রাজনৈতিক আকাংখা ছাড়া আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বিগত দেড় যুগ ধরে সেটি করা হচ্ছে,ভবিষ্যতেও হবে ইনশাআল্লাহ।

সবাই এই মানবতার সেবকের জন্য দোয়া করবেন, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা যেন ভালো থাকে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের