খিলক্ষেত এলাকার সাধারণ জনগনের আস্থাভাজন ওসি হুমায়ুন কবির

শাহ রফিকুজ্জামান মিথুন:

খিলক্ষেত থানার সাবেক অপারেশন ইনচার্জ হুমায়ুন কবির পুনরায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে খিলক্ষেত থানাতে যোগদান করায় এলাকার সাধারণ জনগনের আস্থা ফিরে এসেছে। মানবিক এবং জনপ্রিয় এই পুলিশ অফিসারের কাছে সাক্ষাৎকার নিতে গেলে উনি বলেন, মাদক, অস্ত্র, সন্ত্রাস এবং বিভিন্ন অন্যায়ের বিরুদ্ধে সার্বক্ষনিক সহযোগিতা করবে খিলক্ষেত থানা পুলিশ।
পবিত্র মাহে রমজান, সিয়াম সাধনের মাস। কয়েকদিন পর পবিত্র ঈদুল ফিতর(ঈদ)। ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে পড়েছে রাজধানীর বিভিন্ন অপরাধী চক্র ।

সাম্প্রতিক সময়ে ডিএমপি খিলক্ষেত থানায় সদ্য যোগদানকৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)হুমায়ুন কবীর খিলক্ষেত থানা এলাকায় জনদূর্ভোগ ও অপরাধ দমনে জিরো ট্রলারেন্স নীতিমালা ঘোষনা করেছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)গুলশান বিভাগের আওতাধীন খিলক্ষেত থানা। উক্ত থানা এলাকাটি জনবহুল ও আবাসীক এলাকা।

রাজধানীর অন্য এলাকার জননিরাপত্তা চেয়ে এই এলাকার জননিরাপত্তা সর্বোচ্চ জোরদার করা হয় । ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এর আদেশ ক্রমে রমজান মাসে জনদূর্ভোগ কমাতে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ ও কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

তারাই ধারাবাহিকতায় যোগদানের পর থেকে খিলক্ষেত থানা এলাকায় জনদূর্ভোগ ও যানজট নিরসন ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি প্রতিনিয়ত কাজ করছেন ওসি হুমায়ুন কবীর।খিলক্ষেত থানা এলাকায় রয়েছে বেশ কয়েকটি ফাইভ স্টার মানের হোটেল,তার মধ্য অন্যতম হলো বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় হোটেলের লা-মেরিডিয়ান,রেজেন্সী ইন্টারন্যাশনাল,রাজউক কমপ্লেক্সসহ বেশকয়েকটি সরকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ।তাই এই এলাকায় জননিরাপত্তা ও জনদূর্ভোগ কমাতে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা জোরদার করেছেন বলে জানান ডিএমপি খিলক্ষেত থানার সদ্য যোগদানকৃত সুযোগ্য অফিসার ইনচার্জ(ওসি)হুমায়ুন কবীর।

খিলক্ষেত থানা এলাকার আশপাশের সড়কের জনদূর্ভোগ কমিয়ে আনতে ফুটপাত দখলমুক্ত রাখতে ও প্রতিনিয়ত কাজ করেছেন বলে জানান ডিএমপি খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)হুমায়ুন কবীর।

তারাই ধারাবাহিকতায় ডিএমপি খিলক্ষেত থানার সুযোগ্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)হুমায়ুন কবীর এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় পবিত্র মাহে রমজান যোগদানের প্রথম দিনে থানার প্রতিটি অফিসার ফোর্সদের কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পবিত্র রমজান মাসে থানা এলাকার জনগনের হাঁটার রাস্তায় কোনো রকম হকার থাকতে পারবেনা, হকারমু্ক্ত নগরী গড়তে নিরলস পরিশ্রম করে যাবেন বলে জানান ডিএমপি খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)হুমায়ুন কবীর।

এই বিষয়ে ডিএমপি খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)হুমায়ুন কবীর এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,রমজানকে বলা হয় সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস। রমজান মাসের শুরু থেকে রাজধানীতে যানজট সংকট প্রকট হয়ে ওঠে।বিশেষ করে রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকাটি একটি আবাসিক এলাকা বলা চলে,থানা এলাকাটি খুব ছোট এলাকা হলেও জনবহুল এলাকা। আমি যোগদানের পর থেকে চেষ্টা করছি আপনাদের সকলের সার্বিক সহযোগিতায় আমার থানা এলাকায় চাঁদাবাজি,টেন্ডারবাজী,কিশোর গ্যাং,ইফটিজিং কারী,মাদকসেবন ও মাদক বিক্রির সাথে জড়িত,চুরি-ছিনতাই,ফুটপাত দখলসহ সকল ধরনের অপরাদ নির্মূলে কাজ করে যাবেন বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন রমজানে যানজট নিরসন ও জনদুর্ভোগ কমাতে ট্রাফিক পুলিশের পাশা-পাশি খিলক্ষেত থানা পুলিশ ও কাজ করবেন। রমজানে জনদূর্ভোগ কমাতে এ ধরনের তদারকির কার্যক্রম অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।

ওসি হুমায়ুন কবির এর আগে খিলক্ষেত থানার ইন্সপেক্টর(অপারেশন)পরবর্তী হাজারীবাগ থানার ইন্সপেক্টর(তদন্ত)সর্বশেষ ডিএমপি গোয়েন্দা বিভাগের দায়িত্ব পালন করেছেন।গত ৪ এপ্রিল ২৪ ইং ডিএমপি গুলশান বিভাগের আওতাধীন খিলক্ষেত থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) হিসেবে যোগদান করেন। সর্বপরি সকল’কে পবিত্র মাহে রমজান শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ও সকলের দোয়া ভালোবাসা ও সহযোগিতা নিয়ে খিলক্ষেত থানার দায়িত্ব পালন করে যেতে চান তিনি।

ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ কর্তৃক বিশ্ব মা দিবস পালন

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে মায়েদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার অংশ হিসেবে ডিএমপির ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উদ্যোগে অদ্য নানা কর্মসূচি পালিত হয়।

কর্মসূচির মধ্যে ছিল যাত্রাবাড়ী ও জুরাইন পুলিশ বক্সে আশেপাশের দু:স্থ ও ছিন্নমূল মায়েদের মাঝে প্যাকেট লাঞ্চ বিতরণ । এ উপলক্ষে দুপুর ১২:০০ ঘটিকায় যাত্রাবাড়ী গোল চত্তরে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম। এ সময় ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সুলতানা ইশরাত জাহান, সহকারি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক ডেমরা জোন) মোস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌস, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক যাত্রাবাড়ী জোন) তানজিল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। কার্যক্রমের শুরুতে ডিসি ট্রাফিক ওয়ারী মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম বলেন, “সন্তানের জন্য মায়েদের ত্যাগ অপরিসীম। দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মায়েরা অধিকাংশ সময় নিজেরা না খেয়ে তাদের সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দেন। ঢাকা মহানগরীতে ছিন্নমূল, দুস্থ ও অসহায় এমন মা আছেন যারা মাসের পর মাস নিজেরা একবেলা ভালো খাবার খেতে পান না। তাই বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে সে সকল মায়েদের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসার অংশ হিসেবে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উদ্যোগে ছিন্নমূল মায়েদের জন্য একবেলা ভালো খাবারের আয়োজন করেছি। করোনাকালীন অতিমারিতে লাশ দাফন থেকে শুরু করে সকল কাজে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল বাংলাদেশ পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মানবিক পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম(বার) এর নেতৃত্ব অনুসরণে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ নানা মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন সমাজের সামর্থ্যবান লোকেরাও এভাবে অসহায় মানুষের দিকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে মানবিক সমাজ গড়ে তুলবে। এ সময় যাত্রাবাড়ী গোল চত্তরে দুই শতাধিক দরিদ্র মায়েদের মাঝে খাবার ও পানি বিতরণ করা হয়। পরে দুপুর ১২:৩০ মিনিটে জুরাইন পুলিশ বক্সে একইভাবে দু:স্থ মা, প্রতিবন্ধী ও দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে আরো ২০০ প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হয়। মাঠ পর্যায়ে এ কার্যক্রমের সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও বিতরণের দায়িত্বে ছিলেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর(যাত্রাবাড়ি) পবিত্র বিশ্বাস, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর(জুরাইন), ইসমাইল হোসেন ও ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (পোস্তগোলা) মনির আহমেদ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম