গুলশানে স্পা অন্তরালে দিনে ও রাতে চলছে বাহারের ব্ল্যাকমেলই সহ মাদক বাণিজ্য 

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর গুলশান ডিপ্লোমেটিক জোন কুটনীতিক পাড়া। , গুলশান ২ রোড নং- ৯৯, হাউজ নং- , লিফটের-৫ স্পা সেন্টারে নানান নামে-বেনামে তরুণ-তরুণী দিয়ে চলছে জমজমাট মাদক সহ ব্ল্যাকমেইল রমরমা বাণিজ্য। ভয়ংকর অপরাধমূলোক কর্মকান্ড। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবক্ষয়ের কারনে অনেকটা প্রকাশ্যেই নীতিহীন ঘৃনীত জিনা ব্যাভিচার আর মাদকতায় সয়লাভ করে দিচ্ছে। কি ভাবে স্থানীয় থানা পুলিশের নাকের ডগার উপরে অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে তা সকলের বোধগম্য নয়।
তবুও এক শ্রেণীর অর্থলোভী দালালদের নাম হলো,, বাহার, নারীদেরকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে ফিল্মি স্টাইলে ব্ল্যাকমেলই করে দেহ ব্যবসা করাতে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাহার নামে টার্গেট বৃত্তবান প্রভাবশালী সন্তানরা। অল্প বয়সী নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে মওকা হাসিল করছে ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গুলশান ২ রোড নং- ৯৯ রোডে অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। ,বাহার নামের অপরাধ জগতের মাফিয়া ডন নামে পরিচিত এবং বিএনপি’র একজন সহচর এবং তারা একটা ভূয়া ট্রেড লাইসেন্স ও বাড়ী ভাড়া নিয়ে বিউটি পার্লার অথবা হেয়ার কাটিং এর আড়ালে দেদারসে মাদক বিক্রি ও দেহপসারিনির পতিতা বৃত্তির যৌন ধান্ধার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। পূর্বের তুলনায় এ বছর গুলশানে ২ এর বেঙ্গের ছাতার মতো গর্জে উঠেছে পতিতা বাণিজ্যের বহু ফ্ল্যাট।
স্বনামধন্য বসবাস এলাকা এখন পতিতাপল্লীতে পরিণত হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর গুলশানে স্পা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব্য দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এধরনের অবৈধ স্পা প্রতিষ্ঠানে জড়িয়ে পড়ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী,তরুন তরুণী। এই অপরাধমূলক ব্যবসা ধরে রাখতে কেউ নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন ডিআইজির চাচাতো ভাই, ওসির খালতো ভাই, কেউ পুলিশ কর্মকর্তা বন্ধু, সাংবাদিকের বন্ধু, এমনকি স্থানীয় নেতা প্রভাবশালীদের নাম উঠেছে। দীর্ঘ অনুসন্ধানে দেখা যায়, তাদের অপরাধের কার্যক্রম ভিন্ন রকম। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বাহিরে তালা দিয়ে ভিতরে চলছে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে এ যেন কানামাছি খেলা। ডিজিটাল কায়দাকে কাজে লাগিয়ে নামিদামি ব্র্যান্ডের সিসি ক্যামেরাও লাগিয়েছেন প্রতিষ্ঠানে। এই বিষয়ে গুলশান থানার ওসিকে একাধিকবার ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি । ( চলবে)

তাফরিদ কটন মিলসের মাফিয়া এমডি সামিউল ইসলামের যত অপকর্ম

স্টাফ রিপোর্টার:

আমরা হিটলারকে জেনেছি। এ-যুগের নব্য স্বৈরশাসক সহ অনেকের অপকর্ম সম্পর্কেও জেনেছি। তবে কোম্পানির মালিক কতোটা ভয়ানক, প্রতারক, দুষ্টচরিত্র ও নাটকবাজ হয় তা হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। বলছি তাফরিদ কটন মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাফিয়া শেখ মোঃ সামিউল ইসলাম সম্পর্কে।

জীবনের শুরুতে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করলেও, পরবর্তীতে তিনি হন কোম্পানির মালিক। নিজের শ্বশুর ব্যাংকের বড় কর্মকর্তা হওয়ায় নামে বেনামে শত শত কোটি টাকা ঋণ নেন। কিন্তু সে টাকা আর কখনো পরিশোধ করতে হয়নি তাকে। এভাবেই শেখ মোঃ সামিউল ইসলাম কয়েকটি কোম্পানির মালিক।

এবার তাফরিদ কটন মিলসের এমডি শেখ মোঃ সামিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অপকর্ম, অনিয়ম, নারী কেলেংকারী, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন তারই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। মাসের পর বস, বছরের পর বছর ধরে কৌশলে বেতন আটকে রাখা, স্টাফদের সাথে নিদারুণ দুর্ব্যবহার, মেয়ে স্টাফদের শরীরে হাত দেয়া সহ এমডির অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করে তাফরিদ কটন মিলস লিমিটেড এর বঞ্চিত প্রায় শতাধিক কর্মীরা।

এমডি সামিউল ইসলামের ভয়ে এ পর্যন্ত সরাসরি মুখ খোলেননি কেউ। তবে এবার তার অপকর্ম প্রকাশ হতে শুরু করেছে। তিনি কৌশলে নারী স্টাফদের শরীরে হাত দিতেন, করতেন ইচ্ছামতো ট্রান্সফার, কথা না শুনলেই করতেন ছাঁটাই।

এছাড়া পুরুষ স্টাফদের সাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, গায়ে হাত তোলা, বেতন আটকে রাখা তার নিয়মিত কাজ ছিলো। বিশেষ করে কোনো কর্মকর্তা একাধারে কয়েক মাস চাকরি করতে পারতো না সেখানে। বেতন আটকে কৌশলে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হতো তাদেরকে।

ঘটনা এখানেই শেষ নয়। এমডি সামিউল ইসলাম স্টাফদের নামমাত্র বেতন থেকে ঠিকই সরকারের কর বাবদ টাকা কেটে রাখেন। কিন্তু তিনি কখনো সরকারের কোষাগারে তা জমা দেন না। অভিযোগ রয়েছে জাতীয় আয়কর বিভাগের অনেকের সাথে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। কৌশলে সে সরকারকে কর না দিয়ে বছরের পর বছর ফাঁকি দিচ্ছে।

এমডি সামিউল ইসলামকে তার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। এমনকি তার WhatsApp এ sms করলেও তার রিপ্লাই করেন নি।

সবমিলিয়ে এমন কোনো অপরাধ নেই, যা সামিউল ইসলাম করেনি। তাই তার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাবি, এযাবতকালে যত স্টাফদের বেতন আটকে রাখা হয়েছে তাদের প্রত্যেকের বেতন পরিশোধ করা হোক। সেই সাথে নারী কেলেংকারী সহ তার সকল অপকর্মের বিচার করা হোক।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
হাজির করা হলো ট্রাইব্যুনালে, হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড়