ফিতা কাটা পর্যন্তই সীমাবদ্ধ জবি ছাত্রী হলের মেডিকেল কার্যক্রম

 

উম্মে রাহনুমা, জবি প্রতিনিধি :

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রী হলে ১২০০ শিক্ষার্থীর জন্য একটি মেডিকেল সেন্টার উদ্বোধন করা হয় কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না কোনো চিকিৎসা সেবা।

উদ্বোধনের বছর ঘুরলেও চালু হয়নি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের মেডিকেল সেন্টার। উক্ত মেডিকেল সেন্টারের জন্য হল ফি তে মেডিকেল ফি বাবদ ৫০ টাকা করে জমা দেন ১২০০ শিক্ষার্থী।তবুও এখনও তালা ঝুলছে মেডিকেল সেন্টারের দরজায়।

ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড. দীপিকা রাণী সরকার জানান, মেডিকেল সম্পর্কে সবকিছু কর্তৃপক্ষের হাতে ন্যস্ত।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দ্রুত কাজ করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।মেডিকেলের জন্য সার্বক্ষণিক চিকিৎসক রাখাসহ সবকিছু আলোচনাধীন রয়েছে।

গত ১৭ জুলাই,২০২৩ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে মেডিকেল সেন্টার এর শুভ উদ্বোধন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডা: মিতা শবনম, উপ-প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দীপিকা রাণী সরকার। এসময় উপস্থিত ছিলেন হলের হাউজ টিউটর ও সহকারী হাউজ টিউটর এবং ছাত্রীবৃন্দ।

উল্লেখ্য মেডিকেল সামগ্রী বলতে শুধু হুইল চেয়ার ছাড়া আর কোনো সরঞ্জাম এখনো দৃশ্যমান হয় নি।কোনো ধরনের মেডিকেল সেবা ও পাননি ছাত্রীরা

বাহরাইনি দ্বীপ কিনল ইসরাইল

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক ॥

২০২০ সালে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে বাহরাইন। এ নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক প্রতিবাদ হয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এর মধ্যেই নতুন খবর বেরিয়েছে যে, ইসরাইল বাহরাইনের কাছ থেকে একটি দ্বীপ কিনে নিয়েছে।

মিডেল ইস্ট মনিটর আল-মায়াদিন টেলিভিশনের বরাত দিয়ে সম্প্রতি এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, ইসরাইলের টিভি৭ প্রথম খবরটি প্রচার করলেও পরে তা সরিয়ে নেয়। কিন্তু সরানোর আগেই বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী এর স্ক্রিনশট নিতে সক্ষম হন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলি ফার্ম হিমনোটা ২১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে দ্বীপটি কিনেছে। ফার্মটি চালায় ইহুদি জাতীয় তহবিল বা জেএনএফ। কথিত দাতব্য সংস্থাটির কাজ হলো ফিলিস্তিনি ভূমি দখল এবং ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধের পক্ষে সাফাই গাওয়া।

খবরে বলা হয়েছে, ৯ হাজার ৫৫৪ বর্গ মিটারের দ্বীপটি বিনিয়োগ প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হবে। পাশাপাশি কোনো কারণে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে ইসরাইলিদের সেখানে সরিয়ে নেওয়া হবে।

কোম্পানির পরিচালনা পরিষদে থাকা অ্যাভেরি শ্নেয়ার বলেছেন, দ্বীপটির সার্বভৌমত্ব ইসরাইলের কাছে হস্তান্তরের জন্য বন্ধু দেশ বাহরাইন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

এ খবর সামনে আসার পর বাহরাইন সরকারের বিরুদ্ধে নানা সমালোচনা চলছে। মানবাধিকারকর্মী মরিয়ম আল খাজা দ্বীপ কেনার ঘটনাকে ঔপনিবেশিক শাসনের সম্প্রসারণ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ বিষয়ে টুইটারে দেওয়া পোস্টে দেশটির সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।

বাহরাইনের সাবেক আইনপ্রণেতা এবং সালম ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের প্রধান জাওয়াদ ফাইরুজ দ্বীপ বিক্রির ঘটনাকে খুবই বিপজ্জনক এবং উদ্বেগজনক সংকেত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম