শার্শা উপজেলা প্রতিনিধিঃ
বেনাপোল কাস্টমস হাউজে কর্মরত সহকারী কমিশনার আবু সালেহ আব্দুন নুর অবাধ ঘুষ বাণিজ্যে মেতেছেন। আর তার এই ঘুষ বাণিজ্যের অর্থ সংগ্রহ করে এনজিও শাহরিয়ার।
বিভিন্ন তথ্য সুত্রে জানা যায় সহকারী কমিশনার আবু সালেহ আব্দুন নুর নতুন চাকুরী নিয়ে বেনাপোল কাস্টমসে যোগদান করেছেন। নতুন চাকুরীতে এসেই তিনি মেতে উঠেছেন অবাধ ঘুষ বাণিজ্যে। একাধিক সিএন্ডএফ ব্যবসায়ি এবং কর্মচারীরা বলেন এই এসি নুর ব্যবসায়িদের হয়রানি না করলেও ফাইল প্রতি নেন তার বেধে দেওয়া নির্দিষ্ট অংকের টাকা। সাধারণ ফাইলে নেন এক থেকে দুই হাজার টাকা এবং বন্ডের ফাইলে নেন দুই থেকে চার হাজার টাকা।
ঘুষ লেনদেনের একটি গোপন ভিডিওতে দেখা যায়, এসি নুরের অধীনে কর্মরত এনজিও কর্মী শাহরিয়ার নিরাপদ লেনদেনের জন্য ওয়াস রুমের মধ্যে থেকে ঘুষের টাকা সংগ্রহ করছেন। ঘুষের টাকা লেনদেনের ভিডিওতে দেখা যায় তার স্যারের ফাইল প্রতি এক হাজার টাকা এবং নিজের জন্য একশত টাকা করে কালেকশন করছেন। ফাইল প্রতি এই নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিলেই সাথে সাথে ফাইল ছাড় হয়ে যায়, না হলে ফাইল পড়ে থাকে টেবিলে।
এবিষয়ে এসি নুরের এনজিও শাহরিয়ারকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে বলেন ভাই এটা নিউজ করেন না তাহলে স্যার আমার চাকরি রাখবে না।
এসি আবু সালেহ আব্দুন নুরের নিকট এনজিও কর্মী শাহরিয়ার তার কর্মী কিনা জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন হ্যাঁ আমার এনজিও। এরপর এনজিও কর্মীর ঘুষের টাকা আদায়ের কথা বললে তিনি আমত আমত করে বলেন আপনি কোথায় আছেন আমার অফিসে এসে চা খেয়ে যান#
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ মাসুদ || বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২১/১ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০ || মোবাইল : ০১৫১১৯৬৩২৯৪,০১৬১১৯৬৩২৯৪ || ই- মেইল: dailysobujbangladesh@gmail.com || ওয়েব : www.dailysobujbangladesh.com
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ. All rights reserved.