সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েও আব্দুর রহিম সরকার রাজনৈতিক দলের ইউপি সভাপতি পদে বহাল!

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

সিরাজগঞ্জ কাজিপুর উপজেলার খাসরাজবাড়ীর ৮৩ নং পূর্ব কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম সরকার।

অনুসন্ধানে জানায় যায়, তিনি একটি সরাসরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হয়েও কেমনে আব্দুর রহিম সরকার একটি রাজনৈতিক দলের ইউপি সভাপতি হলেন?

সরকারি কর্মচারী ( আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর ২৫ বিধি মোতাবেক সরকারি কর্মচারী কোন রাজনৈতিক দলের বা এর অংগসংগঠনের সদস্য বা এর কোন কার্যক্রমে অংশগ্রহন করতে পারবে না।যদি অংশগ্রহন বা জড়িত হয়, তবে তা অসদাচরণ হিসেবে গন্য হবে এবং এই অসদাচরণ এর দায়ে তার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী ( শৃংখলা ও আপীল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে।

জানা যায় বর্তমান তিনি সিরাজগঞ্জ কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
এই বিষয় নিয়ে ৮৩ নং পূর্ব কালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের সাথে কথা হলে তারা জানান,আমাদের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম সরকার স্যার কখনো ক্লাস নেয় না এবং ঠিক মত স্কুলেও আসে না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, স্কুলটির সহকারী শিক্ষকগণ আব্দুর রহিম সরকারের বাড়ীতে হাজিরা খাতা নিয়ে এসে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে যায়, তাছাড়াও প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র তিনি বাড়ীতে বসেই স্বাক্ষর করেন।

আরো জানা যায়,নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের সব চেয়ে ক্ষমতাশালী একজন নেতা তিনি, তার কথায় এলাকার সকল শ্রেণীর মানুষ উঠ বস করে।

অনুসন্ধানে উঠে আসে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ,
তিনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের পদ পদবী ব্যবহার করেই চালিয়ে যাচ্ছে সকল অপকর্ম।

নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডে আব্দুর রহিম সরকারের নেতৃত্বে চলছে মাদক ব্যবসা ও অনলাইন জুয়া,শুধু তাই না আব্দুর রহিম সরকারের মেয়ের জামাই নিশাদ একজন মাদকের বড় ডিলার ও অনলাইন জুয়া নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে, তার মেয়ের জামাইয়ের মধ্যে পুরা নাটুয়ারপাড়ায় মাদক খুচরা ও পাইকারী বিক্রি হয়।
আরো জানা যায়, আব্দুর রহিম সরকারের ক্ষমতার প্রধান সেফগার্ড হিসেবে কাজ করেন কাজিপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কাজিপুর উপজেলার চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী।

এই বিষয়ে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা জানান, এই আব্দুর রহিম সরকার একজন লেবাসধারী শয়তান, তার অত্যাচার সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ! আরো বলেন, তিনি নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নটা মাদক ও জুয়ার হাট বানিয়ে ফেলেছে,তার মেয়ের জামাই নিশাদকে দিয়েই মাদক ও অনলাইন জুয়ার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।

এই বিষয়ে কথার বলার জন্য আব্দুর রহিম সরকার কে মুঠোফোনে কল দিলে তিনি দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ কে বলেন, এটা কাজিপুর বাংলাদেশর সবজায়গার আইন কানুন কাজিপুরে চলে না।
কাজিপুরে একমাত্র প্রিয়নেতা মরহুম মোহাম্মদ নাসিম সাহের তৈরী করা আইন চলে এবং চলবে,তাই আমাদের আইন পাশ করে গেছেন আমাদের প্রিয়নেতা নাসিম সাহেব।

এই বিষয়ে কাজিপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হাবিবুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ কে বলেন, কোন সরাসরি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক কখনো রাজনৈতিক দলের সাথে সংক্ষিপ্ত থাকতে পারবে না । তিনি আরো বলেন আমি আমার জেলা শিক্ষা অফিসার স্যারের সাথে কথা বলে এই বিষয়ে তদন্ত করে আব্দুর রহিম সরকারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।

রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটন এর বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলায় বিএমইউজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে মর্যাদার সঙ্গে সাংবাদিকতায় যুক্ত থাকার এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার সুজাউদ্দিন ছোটনকে পূর্ব আক্রোশের জের ধরে চাঁদাবাজি ও যৌন হয়রানির মিথ্যা মামলা দায়েরের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ছোটনের প্রতিবেদনে শাস্তি পাওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা নেপথ্য ইন্ধন দিয়ে নিজেরই সোর্স ব্যবহার করে তাকে এ মামলায় ফাঁসিয়েছেন বলে তথ্য বেরিয়েছে। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএমইউজে) অবিলম্বে সাজানো এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করাসহ মামলাবাজ চক্রটির ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে।

আজ (১৫ জুলাই, ২০২৪) সংগঠনটির সভাপতি আলহাজ্ব সোহেল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক খান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, অতিউৎসাহী এক পুলিশ কর্মকর্তা নগরীর চিহ্নিত সুদ কারবারী, বহু মামলার আসামি আয়েশা আক্তার লিজাকে বাদী বানিয়ে সাংবাদিক ছোটনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করিয়েছে। একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি সংক্রান্ত আরেকটি মিথ্যা মামলা রুজু করে এর বাদী বানানো হয়েছে চিহ্নিত মামলাবাজ আরেক নারীকে। নিজেকে কথিত সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পুলিশের সোর্স হিসেবে দাপিয়ে বেড়ানো ওই নারীর নাম তাবাসসুম, তার বাসা রাজশাহী নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভদ্রা জামালপুর মহল্লায়। তার দ্বারা বিভিন্ন সময় রাজশাহীর কর্মরত অন্তত আট জন সাংবাদিক মিথ্যা মামলায় সীমাহীন হয়রানি পোহাচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিএমইউজে নেতৃবৃন্দ চিহ্নিত সুদখোর মহাজন ও বারবার যৌণ হয়রানির মামলা দায়েরকারী পেশাদার মামলাবাজ দুই নারীর বিষয়ে তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আরএমপি‘র দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। তারা বলেন, অহেতুক মামলা, হামলা, চক্রান্ত চালিয়ে পেশাদার সাংবাদিকদের হয়রানি করার অপকর্ম সফল হতে দেওয়া হবে না। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিধান ও পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিতকরণে বিএমইউজে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছে। আগামি সাত কর্ম দিবসের মধ্যে হয়রানিমূলক মামলার তৎপরতা বন্ধ করা না হলে অত্র সংগঠন রাজশাহীতে প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধনসহ আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের