গৃহায়নের শওকতের অবৈধ সম্পদের পাহাড়

স্টাফ রিপোর্টার:

জাতীয় গৃহায়নের প্রধান কার্যালয়ের ভূমি শাখার অফিস সহকারী মোঃ শওকতের বেপরোয়া লুটপাটে গৃহায়ণ-ই যেন ফোকলা হতে চলেছে। অবৈধভাবে ঘুষ দুর্নীতি, নথি আটকে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলার অবৈধ মচ্ছবে মেতে উঠেছেন এই লুটেরা শওকত।

গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ভূমি শাখার এলএমএসএস শওকত শুধু নিজের দপ্তরের অনিয়ম, দুর্নীতির অপকর্ম করেই ক্ষ্যান্ত থাকেন না, তিনি অন্যান্য বিভাগ ও সেকশনের হরিলুটের নেপথ্য নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছেন। গৃহায়ণের যে কোনো কাজেরই তৎপরতা শুরু হলেই নড়েচড়ে বসেন তিনি। তার আস্থাভাজন সিন্ডিকেটকে সাথে নিয়েই সেবাগ্রহীতাদের জিম্মি করতে চলতে থাকে তার ফন্দিফিকির। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে গোপন পথে সুবিধা বাগিয়ে নেয়ার তদবিরবাজিতেই বেশি আগ্রহ তার। তবে এ কৌশল সফল না হলে শওকত আঙ্গুল বাঁকা করতেও বিন্দুমাত্র সময় ক্ষেপণ করেন না। গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সম্পৃক্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের নাম, পরিচয়, সাক্ষর ব্যবহার করে একগাদা মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করেন দপ্তরে দপ্তরে। সেসব স্থানে টাকা ছিটিয়ে তদন্তের নামে হয়রানিও চালাতে থাকেন। অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে সঙ্গে নিয়েই কাজ সমঝোতা করে তবেই রেহাই মেলে। এমন অপরাধ অপকৌশলে ওই ধূর্ত এমএলএসএস লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

বিতর্কিত এই এমএলএসএসের পুরো নাম হচ্ছে মোহাম্মদ শওকত। তিনি গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের হেড কোয়ার্টারে কর্মরত থাকাবস্থায় সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেটের যোগসাজশে এরইমধ্যে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। অসাধু এক দাপুটে কর্মকর্তার সকল অপকর্ম, গোপন অর্থের লেনদেন, টাকা পাচারসহ যাবতীয় অনৈতিক কাজের ‘ম্যানেজম্যান’ হিসেবেও তার সমধিক পরিচিতি রয়েছে।

এরইমধ্যে লুটেরা তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ দাখিল হয়েছে।

দুদকে পাঠানো অভিযোগপত্রে গৃহায়ণের এমএলএসএস শওকতের লুটপাট, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত বিশাল সহায় সম্পদের কিছু বিবরণও তুলে ধরা হয়েছে। তাতে উল্লেখ করা হয়, তার বর্তমান বাসা নং- ১/১,১/২, ১/৩, ১/৫, রোড-২৫ (পেরিস রোড) ব্লক-ডি, ফ্ল্যাট নং বি/২, ৪র্থ তলা, সেকশন-১০, ঢাকা-১২১৬। মোঃ শওকত এম এল এস এস (পিয়ন), জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ প্রধান কর্যালয়, ঢাকার ভূমি শাখার উপ-পরিচালক এর দপ্তরে (৩য় তলায়) কর্মরত আছেন। তিনি ঘুষ দুর্নীতি ও সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে অবৈধভাবে কোটি টাকার মালিকানা অজন করেছেন। তার বিষয়ে হাজার হাজার অভিযোগ রয়েছে। তার বর্তমান বাসা নং- ১/১,১/২, ১/৩, ১/৫, রোড-২৫ (পেরিস রোড) ব্লক-ডি, ফ্ল্যাট নং বি/২, ৪র্থ তলা, সেকশন-১০, ঢাকা-১২১৬। তিনি একজন জাতীয় গৃহায়ণের এম এল এস এস (পিয়ন) হওয়ার সত্বেও তার বাড়ী গাড়ী ও অবৈধ টাকা পয়সার অভাব নেই। তিনি বর্তমানে জাতীয় গৃহায়নের প্রধান কার্যালয়ের ভূমি শাখার উপ পরিচালক-১, ঢাকা এর দপ্তরে কর্মরত থাকার কারনে অবৈধ ভাবে ক্ষমতা প্রয়োগ করে নথি লুকিয়ে রেখে মানুষকে হয়রানি করে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তার ও তার পরিবারের অবৈধ সম্পদের হিসাব করতে তিনি হিমসিম খাচ্ছে। দুদকে দেওয়া অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, ১) বাসা নং- ১/১,১/২, ১/৩, ১/৫, রোড-২৫ (পেরিস রোড) ব্লক-ডি, ফ্ল্যাট নং বি/২, ৪র্থ তলা, সেকশন-১০, ঢাকা-১২১৬। উক্ত বাসায় তিনি স্বপরিবারে বর্তমানে বসবাস করিতেছেন। উক্ত ফ্ল্যাটটির বর্তমান মূল্য প্রায় কোটি টাকার উপরে। (২) প্লট নং- ৫৬, রোড-১২, ব্লক-ডি, সেকশন-১২, পল্লবী, ঢাকা। উক্ত প্লট দুইটি তিনি তার স্ত্রী নামে ক্রয় করেছেন দুই কোটি ৯০ লক্ষ টাকা দিয়ে। (৩) বাসা নং-৭৮, রোড-০৮, মুক্তি হাউজিং, মিরপুর-০১, ব্লক-এ, উক্ত বাড়ীটি তিনি ৩য় তলা ১টি ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে। (৪) বাসা-৭৬, রোড-৫, কাটাসুর মোহাম্মদপুর, ঢাকা উক্ত বাড়ীটি তিনি ৫ম তলা পর্যন্ত নিমার্ণ করেছেন কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে। (৫) প্রট নং-৪৫, রোড-৭, আমিন বাজার (সাভার) জেলা-ঢাকা। উক্ত বাড়ীটি ১৭ কাঠা জমি ৫ম তলা ভবন নির্মাণ করেছেন। (৬) কুমিল্লা জেলা শহরে তার একটি আলিশান বাড়ী নিমাণ করেছেন ৪ কোটি টাকা ব্যয় করে। তার বিভিন্ন ব্যংকে কোটি কোটি টাকা জমা রয়েছে নামে বে নামে। তার অবৈধ সম্পদ ও দেশের কুমিল্লা ও দেশের বাহিরে অবৈধ সম্পদ রয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করলে আরো সত্যতা পাওয়া যাবে। তার স্ত্রীর ৫২ ভরি সোনা রয়েছে যা তিনি আয়কর নথিতে প্রর্দশন করেন নি।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বারবার যোগাযোগ করা হলেও গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের এমএলএসএস মোঃ শওকত কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। উল্টো তিনি একজন সিবিএ নেতাকে প্রতিবেদকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে কৌশলে সটকে পড়েন।

চলবে……

রাজধানীর বিশ্বরোডে “লেগভিউ” হোটেলের অন্তরালে চলছে অবৈধ কর্মকান্ড 

হাফসা আক্তারঃ

প্রভাবশালী চক্রের ছত্রছায়ায় রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড “লেগ ভিউ” নামক অবাসিক হোটেলেটিতে চলছে স্কর্ট কাট ও ব্ল্যাক-মেইল বাণিজ্য। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পুলিশ প্রসাশনের অভিযানের ভূমিকা থাকলেও পকেট ভাড়ি করে সুযোগ করে দিচ্ছে আসামাজিক বাণিজ্য। এমনকি প্রতিষ্ঠানটিতে রুমে তালা লাগিয়ে উঠতি বয়সের মেয়েদের আটকিয়ে রাখার দৃশ্য চোখে পরে অনুসন্ধানকালে। প্রতিষ্ঠানের সামনে থাকা দালাল চক্ররা পথচারীদের টার্গেট করে মামা বলে ডাকতে থাকেন এবং বলেন মামা রুম ভাড়া নিবেন নাকি, রুম ভাড়া নিলে সব ব্যবস্থা আছে। তবে হোটেল মালিক কাওসা ও মামুন। কিংবা তাদের পালিত দালাল চক্ররা ইস্কুল কলেজের ছাত্রী দের সাথে সম্পর্কে জড়িত হয়ে ছবি ও ভিডিও তৈরি করে একাধিক ছাএীদের অসামাজিক কাজ করতে বাদ্য করে অভিযোগ পাওয়া গেছে।সম্প্রত্তি, দালাল চক্র কিংবা প্রভাবশালীদের পাহারায় চলছে প্রতিষ্ঠানটি। অভিনব কায়দায় হোটেলটি পরিচালনা করে আসছেন হোটেল মালিক আব্দুর ছত্তার গং। যা বোঝার কোন উপায় নেই যে হোটেলটির ভিতরে কি হচ্ছে। এছাড়া খদ্দের ও রুম বর্ডারাও প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনকি স্কুল-কলেজের অনেক শিক্ষার্থীও এসব হোটেলে গিয়ে জড়িয়ে পড়ছে অসামাজিক কর্মকান্ডে।প্রতিটি হোটেলে ঘণ্টা প্রতি রুম ভাড়া ২৫০০-৩০০০ হাজার টাকা নিয়ে রুম স্বমী-স্ত্রী কিংবা গার্লফ্রেন্ড পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ-অসামাজিক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। যদি নিয়মে রয়েছে কোন বর্ডারকে ভাড়া দিতে হলে নির্ধারিত ফর্মে তথ্য সংগ্রহ করে প্রতিদিন নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশ থাকলেও কোনটাই মানছে না মালিক কর্তৃপক্ষ। সেই সাথে তাদের ছবি তোলারও কথা রয়েছে। এমনকি হোটেলের নির্দিষ্ট ভলিয়মে লেখা হচ্ছে না বর্ডারদের পরিচয়। এভাবেই ধর্ষনের শিকার হয় অনেক তরুনী। এমনকি সন্ধ্যার পর পরই বসে জুয়ার আসর এবং খদ্দেরদের সমগম।এলাকাবাসি আরো অভিযোগ করে বলেন,তবে জনগনকে লোভ দেখানোর জণ্য পুলিশ প্রসাশনের মাঝে মধ্যে দুই একটি অভিযান চালিয়ে থাকেন। কিন্তু কিছু পরে আবারও হোটেলটিতে চোঁখে একই দৃশ্য। আর আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেড়িয়ে আসে মালিকসহ দালাল চক্র। অনেকদিন ধরেই চলছে হোটেলটিতে এধরনের অসামাজিক কাজ।এ বিষয়ে হোটেল মালিক আব্দুর সত্তার গং বলেন, আমরা থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই ব্যবসা করি। তা নাহলে কি ব্যবসা করা যায়। এমনকি থানা পুলিশ কিংবা মহল্লার সবাই জানেন। আপনাদের যদি কিছু করার থাকে কইরেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম