আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বললেন দূর্নীতিবাজ জাহাঙ্গীর

 

স্টাফ রিপোর্টার

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পতন ঘটে হাসিনা সরকারের। এর আগে শেখ হাসিনা আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের রাজাকারের নাতিপুতি সম্বোধন করায় ক্ষোভে ফুসে ওঠে শিক্ষার্থীরা। সেই একই কাজ করেছেন বাংলাদেশ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা শিক্ষা কাউন্সিলের চরম দুর্নীতিবাজ রেজিস্ট্রার কাম সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালীন সময়ে জাহাঙ্গীর আলম তার ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্টে সাধারণ শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে সম্বোধন করেন। তিনি লিখেন রাজাকারের বাচ্চাদের তালিকা প্রণয়ন এখন সময়ের দাবি। শিক্ষার্থীদের নিয়ে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যের পরও এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন দূর্নীতিবাজ জাহাঙ্গীর আলম। জানা গেছে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কাউন্সিলে ভয়াবহ লুটপাট ও দূর্নীতির অন্যতম মূলহোতা তিনি। তার বিরুদ্ধে রয়েছে দুদকের মামলাও। কিন্ত বরাবরই আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে বেঁচে গেছেন তিনি। শুধু তাই নয়,আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কাউন্সিলের বাকী কর্মকর্তা কর্মচারীদের জিম্মি করে রেখেছিলেন দূর্নীতিবাজ জাহাঙ্গীর।
তবে এবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা সম্বোধন করে অনেকটা তোপের মুখে আছেন তিনি। তার পদত্যাগ ও দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সকলেই। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে বার বার ফোনে ও খুদে বার্তা দিয়েও পাওয়া যায়নি।

গজারিয়ায় আওয়ামীলীগের পুর্নবাসন

ষ্টাফ রিপোটার
মুন্সিগঞ্জ জেলায় গজারিয়া উপজেলায় চলছে আওয়ামীলীগের পুর্নবাসন । স্থানীয় বিএনপির কতিপয় প্রভাবশালী নেতাদের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহযোগিতায় শুরু হয়েছে এই পুর্নবাসনের কার্যক্রম । বিগত ষোল বছর যারা আওয়ামীলীগের সাথে সক্রিয়ভাবে ছিল তারা এখন বিএনপির ছায়াতলে৷ ইতিমধ্যে টক অব গজারিয়া মোজাম্মেল হক চৌধুরী ওরফে ভুয়া সিআইডি খোকন ও দরবেশ নেতা হুমায়ুন কবির খান নামক আওয়ামীলীগের এই দুই সুবিধাবাদী নেতা৷ দুজনেই এখন বিএনপি ঘরনার রাজনৈতিক নেতা৷ কিন্তু গত ষোল বছর গজারিয়াজুরে এই দুজন ছিল অপ্রতিরোধ্য ।
গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খোকন চৌধুরী ছিলেন ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক এমপি এম ইদ্রিস আলী ও এডভোকেট মৃনাল কান্তি দাসের অন্যতম দোসর৷ বাদ যায়নি সর্বশেষ এমপি হাজী ফয়সাল বিপ্লবের বেলায়ও । মোট কথা যারাই আওয়ামীলীগের এমপি ছিলেন সকলের সাথেই খোকন চৌধুরীর ছিল গভীর সখ্যতা। আওয়ামীলীগের প্রত্যেকটি প্রোগ্রামেই ছিল তার সরব উপস্থিতি । আওয়ামীলীগের মনোনয়নে একবার চেয়ারম্যানও হয়েছিল । ক্ষমতার দাপটে গঠন করেছিল শক্তিশালী সন্ত্রাসী বাহিনী, এলাকায় অবশ্য ডাকাত বাহিনী হিসেবে পরিচিত । ফ্যাসিস্ট সরকারের গডফাদার এই খোকন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মতলব উত্তর ও গজারিয়া থানায় সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, বিস্ফোরক ও নারী নির্যাতন সহ নুন্যতম সাতটি মামলা রয়েছে । গজারিয়া আওয়ামীলীগের অধিকাংশ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পাহাড় পরিমাণ মামলা হয়েছে, কেউ কেউ জেল হাজতে আবার কেউ কেউ পলাতক। কিন্তু খোকন চৌধুরীর নামে একটি মামলাও হয়নি বরং বহাল তবিয়তে এলাকায় অবস্থান করছে । যতদুর জানা গেছে গুয়াগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপির জনৈক নেতা তারেক জিয়ার লোক হিসাবে নিজেকে পরিচয় দেয়। অভিযোগ উঠেছে মুলত সেই নেতাকেই মোটা অংকের টাকা দিয়ে এলাকায় বহাল তবিয়তে এই খোকন চৌধুরী৷


এদিকে এলাকায় আরেক দরবেশ নেতার আর্বিভাব ঘটেছে, নাম তার হুমায়ুন কবির খান। অবশ্য সে ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির সাথেই সম্পৃক্ত ছিল। তবে ২০০৯ সাল থেকে হয়ে গেছে আওয়ামী ঘরনার প্রভাবশালী ব্যবসায়ী । সাবেক উপজেলা পরিষদের দুবারের চেয়ারম্যান কেফায়েত উল্লাহ খান তোতার কলেজ জীবনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এই হুমায়ুন । সে সুবাদে গত ষোল বছর একচ্ছত্র ব্যবসা করে গেছে গজারিয়ায় । বাউশিয়া ইউনিয়নে অবস্থিত ম্যাগনিয়াম ষ্টিল মিলসের ( বর্তমানে আকিজ ইস্পাত মিল) সকল কিছুর নিয়ন্ত্রক ছিল এই হুমায়ন৷ কামিয়েছে শতশত কোটি টাকা । গতকাল গজারিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক, পরিশ্রমী ও ত্যাগী নেতা মাহাদী হাসান বাবু লাইভ এসে এই দরবেশ নেতার বিরুদ্ধে মুখ খুলেন, তুলে ধরেছে দরবেশ নেতার বিগত ষোল বছরের আমলনামা। তবে যুবদল নেতা বাবুর গুরত্বর অভিযোগ হলো বর্তমানে গজারিয়ার বালু মহলের একক নিয়ন্ত্রক এই দরবেশ নেতা হুমায়ুন কবির খান। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে আওয়ামিলীগ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বালু মহল নিয়ন্ত্রণ করারও অভিযোগ তুলেছে এই দরবেশ নেতা হুমায়ুন কবির খানের বিরুদ্ধে৷

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম