স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ডা. নাজমার গরুর খামার!

ইসরাফিল শেখ,(সিরাজগঞ্জ)শাহজাদপুর:

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার!খামারের বর্জ্যে দূষিত হচ্ছে আশপাশের এলাকা। কায়েমপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.নাজমা খাতুন এ খামার গড়ে তুলেছেন।

সরেজমিনে,স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এরিয়ার ভিতরের চারপাশে ঘুরে দেখা যায়,স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কোয়ার্টারের পাশেই একটি গরুর খামার করেছেন ডা.মোছাঃ নাজমা খাতুন। সেখানে ৮টি গরু রয়েছে। এর পাশেই রয়েছে খেরের পালা অন্য পাশে ঘাস চাষ করছেন।

ওনাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না পাওয়া গেলে ওনার সাথে মুঠোফোণে কথা বললে গরুর খামারটি নিজের বলে স্বীকার করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোছাঃ নাজমা খাতুন । তিনি সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে বলেন, শৌখিনতার বসে খামার টি গড়ে তুলেছি। অবসর সময়ে সেগুলো দেখাশোনা করি। এতে কারো কোনো সমস্যা নেই বিধিনিষেধ থাকে তাহলে খামার তুলে (সরিয়ে) ফেলবো।’

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ আইনের ১৭ ধারায় বলা আছে, কোনো সরকারি কর্মচারী সরকারের অনুমোদন ছাড়া,সরকারি কাজ ছাড়া অন্য কোনো ব্যবসায় জড়িত হতে পারবেন না। অন্য কোনো চাকরি বা কাজ গ্রহণ করতে পারবেন না।

এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আশপাশের সাধারণ জনগণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় দীর্ঘ ৫/৭ বছর ধরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ভিতরে গরুর গোবর ও ঘাস খের দিয়ে নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করে রাখছেন ডা. মোছাঃ নাজমা খাতুন। গোবরের পচা দুর্গন্ধের কারনে চিকিৎসা সেবা নিতে আপত্তি জানায় এলাকার রোগী। আরো জানান সঠিকভাবে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছেন না তারা। ভুক্তভোগীরা ঊর্ধ্বতম কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন ডা.মোছাঃ নাজমা খাতুনের উপর দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও প্রতিকারের ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

এ বিষয়ে,শাহজাদপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মনিটরিং কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলীর সাথে মুঠোফোণে কথা বলে জানা যায় তিনি এ বিষয়ে অবগত আছেন ডা.মোছাঃ নাজমা খাতুন কে নিষেধ করার শর্তেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ করে চলেছে অদৃশ্য ক্ষমতাবান বেপরোয়া ডা.মোছাঃ নাজমা খাতুন।

এ বিষয় ডা.মোহাম্মাদ আলী উপ পরিদর্শক ডা.আইনুল হক এর সাথে কথা বলতে বলেন।তবে এবিষয়ে ড.আইনুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমার কোন কিছু জানা নেই। তবে খোঁজ খবর নিয়ে এর দ্রুত সঠিক সমাধানের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান।

গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেনের লুটপাট সমাচার!

স্টাফ রিপোর্টার:

সরকারি চাকুরিবিধি অনুযায়ী যেখানে তিন বছরের বেশি থাকার নিয়ম নেই সেখানে দিব্যি পাঁচ বছর কাটিয়ে দি”েছন শেরেবাংলানগর গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন। সারা দেশে গণপূর্তের যেখানে কোনো প্রকল্প নেই সেখানে সংসদে একের পর এক প্রকল্পের উপরি কামাইয়ের লোভ সংবরণ করতে পারছেন না মোয়াজ্জেম হোসেন। আর এখানে তার অধীনেই ঠিকাদারী কাজ করেন তার আপন ভাই মনোয়ার হোসেন। যে কাজগুলো সবচে’ লোভনীয় অথবা যা না করেই বিল তোলা যায় তেমন কাজগুলোই করা”েছন তার ভাইকে দিয়ে।

জাতীয় সংসদের স্পিকারের পিএস কামাল বিল্লাহ ও চিফ হুইপের পিএস জিলানীকে ম্যানেজ করেই টিকে রইছেন তিনি। এখন তিনি ধরেছেন গণপূর্তমন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরীর পিএস হুমায়ুনকে। বিসিএস ১৫ ব্যাচের কর্মকর্তা ও অযোগ্যতার কারনে প্রমোশন না হওয়া এই হুমায়ুনের বাড়ির পাশেই না-কি মোয়াজ্জেমের বাড়ি। আর তিনিই নিচ্ছেন তাকে টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব।

২৪তম বিসিএস এর প্রকৌশলী মোয়াজ্জেম হোসেন শেরেবাংলানগর-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন ২০১৯ সালে। সে সময়ে তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফজলুল হকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাকে বদলি করা হয়। তার ¯’লাভিষিক্ত হয়েই নিজ ভাইকে নিয়ে আসেন ঠিকাদারীতে। সে সময়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রোকন উদ্দিনের সঙ্গে মিলে ভাই ও শ্যালকদের ঠিকাদারীদের কাজে লাগিয়ে প্রায় এক শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অনিয়মের কারনে সেই রোকন উদ্দিনের চাকরি চলে গেলেও এখনও বহাল তবিয়তে রয়েছেন মোয়াজ্জেম হোসেন।

জাতীয় সংসদের স্পিকার ও চিফ হুইপের দপ্তরের সাপোর্ট পেয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠা মোয়াজ্জেম তার উপর¯’ ও অধীন কোনো কর্মকর্তাকেই পাত্তা দিচ্ছছেন না। ইচ্ছেমতো কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সংসদে কর্মরত দু’একজন সাংবাকিদকে ম্যানেজ করেই তার দুর্নীতি ধামাচাপা দিচ্ছেন। সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে নিয়মিত ‘নানা কিছু সাপ্লাই’ দিয়ে ম্যানেজ মাষ্টার হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।

সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিভিন্ন পদে বদলি হলেও এখনো ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন এই মোয়াজ্জেম। তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিস্ট কিছু অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন রয়েছে।

অবৈধভাবে জি কে শামীমকে ১০ কোটি টাকা বিল পরিশোধ করার বিষয়টি আবারও তদেেন্ত উঠে এসেছে। তাঁর লুটপাটের বিস্তারিত চিত্র তুলে ধরা হবে পরবর্তী প্রতিবেদনে। সে পর্যন্ত দেখার বিষয় গণপূর্ত মন্ত্রীর পিএস হুমায়ুন তাকে রক্ষা করতে পারেন কি-না?  এ বিষয়ে তার মন্তব্য জানতে বার বার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন