ডিএমসিআরএস এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মুখপাত্র হলেন আবিদ

স্টাফ রিপোর্টার:

ঢাকা মেট্টপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটি( গভ. রেজি নং- এস ৬৪২৫ ৬৬৯/০৭) এর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে মনোনীত হয়েছেন মুহাম্মদ আবু আবিদ। আজ ২৮ শে অক্টোবর (সোমবার) সংগঠনটির চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান রুবেল ও মহাসচিব মোহাম্মদ মাসুদ স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা প্রকাশ করা হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্টপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির মহাসচিব মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, মুহাম্মদ আবু আবিদ গত ৩ বছর যাবৎ আমাদের সংগঠনের কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে যুক্ত আছেন। তিনি একজন সফল সংগঠক। তার সামাজিক কাজের আইডিয়া ও বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সকলের কাছেই প্রশংসিত। তার মধ্যে অদম্য নেতৃত্বের গুনাবলী আছে বলে আমরা মনে করি। সংগঠন কার্যক্রম গতিশীল ও শক্তিশালী একটি প্লাটফর্ম তৈরীর জন্যই তাকে এ দায়িত্বে পদায়ন করা হয়েছে। আমার বিশ্বাস অল্প কিছু দিনের মধ্যেই তিনি এ সংগঠনকে একটি ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যাবেন।

মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, আমি আসলে নতুন পদ পাওয়ার বিষয় কিছুই জানতাম না। আমার মতো নগন্য মানুষের জন্য এটা অনেক বড় প্রাপ্য সম্মাননা। অনুভূতি বলতে, এখন এ পদের ভার কিভাবে নিব তা নিয়ে ভাবছি। তবে যারা আমাকে বিশ্বাস করে দায়িত্ব দিয়েছেন , তাদের আশা রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আদর্শ ঠিক রেখে সৎভাবে নীতিতে অটল হয়েই সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পাদন করব।

মুহাম্মদ আবু আবিদ বাংলাদেশের জনপ্রিয় একজন সমাজকর্মী ও সাংবাদিক। তিনি সামাজিক ও স্বোচ্ছাসেবী সংগঠন “দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন” এর প্রতিষ্ঠাতা। দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও আবিদের একের পর এক ব্যতিক্রম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন ও সামাজিক কাজে শৈল্পিকতা নিয়ে আসায় খুব অল্প সময়ে তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে দেশের নানান গনমাধ্যমে সাংবাদিকতা করছেন। বর্তমানে তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত মিডিয়াভুক্ত একটি দৈনিক পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে কাজ করছেন।

মাগুরায় এসব হচ্ছে কী? পরপর ৪ সাংবাদিকের ওপর বর্বর হামলা!

 

মাগুরা প্রতিনিধি:

সাংবাদিক ও ভিন্নমত প্রকাশকারীদের জন্য এক ভয়ংকর জনপদ হয়ে উঠছে মাগুরা। রাজনৈতিক দুর্বৃত্তরা একের পর এক সাংবাদিকদের রক্তাক্ত করছে কিন্তু তাদের বিচার হচ্ছে না। রাজনৈতিক গডফাদার একটি ফোন করেই প্রশাসনকে অকার্যকর করে দিচ্ছে। এমন কি আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করে আসামীদের জামিন করিয়ে নিচ্ছে।
গত এক বছরে এই সব রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের হাতে কমপক্ষে ৪ জন সাংবাদিক বর্বর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তাদেরকে মেরে হাত,পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাদের মামলাগুলো রক্তশুন্য অবস্থায় পড়ে আছে। তারা একই স্টাইলে হামলাগুলো চালিয়ে প্রমাণ করেছে যে এগুলো একইসুত্রে গাথা।
দুর্বৃত্তরা প্রথম আঘাত করে মুভি বাংলা টিভি ও দৈনিক সোনালী খবর পত্রিকার মাগুরা জেলা প্রতিনিধি কৌসিক আহমেদ সোহাগের ওপর। তাকে হকিস্টিক, লোহার রড ও বাঁশের লাঠি দিয়ে নির্মম ভাবে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখন করে হাত ভেঙে দেওয়া হয়।
তারা দ্বিতীয় আঘাত করে সাংবাদিক ও গীতিকার লিটন ঘোষ জয়ের ওপর। তাকেও হকিস্টিক ও লোহার রড এবং বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়।
তৃতীয় আঘাত করা হয় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার মাগুরা জেলা প্রতিনিধি, সাহসী সাংবাদিক মোঃ মিরাজ আহমেদকে। তাকেও হকিস্টিক, লোহার রড ও বাশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখন করা হয়।
সর্বশেষ আঘাত করা হয় মাগুরার কৃতি সন্তান দুঃসাহসিক সাংবাদিক, সাহিত্যিক,নাট্যকার,গীতিকার ও কলামিস্ট রোস্তম মল্লিককে।
তিনি ঊদ উল ফিতরের ছুঁটিতে স্বপরিবারে মাগুরায় গেলে গত ২৫ এপ্রিল ২০২৩ রাত ১০ টার সময় মাগুরা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের পাশে তার ওপর হামলা চালিয়ে প্রান নাশের চেষ্টা করা হয়। আঘাতে তার একটি হাত ভেঙে যায় এবং মাথায় গুরুতর জখম হয়। তার কন্যার একটি হাত ভেঙে দেওয়া হয়। তারা এখনো ডাক্তারের চিকিৎসাধীন।

ধারাবাহিকভাবে এই যে সাংবাদিক নির্যাতন তার সব কটার স্টাইল কিন্তু একই। আর ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে এক রাজনৈতিক গডফাদারের নির্দেশে। মাগুরাবাসী এবং সাংবাদিক সমাজের প্রশ্ন মাগুরায় কেন বেছে বেছে সাংবাদিকদের আঘাত করা হচ্ছে? কেন তাদের মামলাগুলো হিমঘরে চলে যাচ্ছে? কেন গ্রেফতার কার হচ্ছে না নেপথ্য নায়ক গডফাদারকে? কার হাত রয়েছে সাংবাদিক নিধনের এই মিশনের নেপথ্যে? কার ইশারায় চলছে মাগুরার প্রশাসন ও আইন আদালত? কতদিন আর এক গডফাদারের হাতে জিম্মি থাকবে মাগুরাবাসী?

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম