কথিত সাংবাদিক তানভীরের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধন

 

মনিরুজ্জামান মনি:

মিরপুর ১ নম্বর সনি সিনেমা হলের সামনে একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের নেতাকর্মী সহ মিরপুর থানা যুবদলের যৌথ উদ্যোগে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

বিগত স্বৈরাচারী শাসনামলে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহযোগী, আওয়ামী দোসর, মাদক ব্যবসায়ী, পুলিশের সোর্স হয়ে কোটি কোটি টাকা উপার্জনকারী এবং ছাত্র-জনতা উপর হামলাকারী ও হত্যাকারী এশিয়ান টেলিভিশনের সাংবাদিক পরিচয় দানকারী এই তানভীর আহমেদ।

এ সময়ে মানববন্ধনে বক্তারা চিহ্নিত চাঁদাবাজ, পুলিশের সোর্স, ছাত্র-জনতা উপর হামলাকারী ও হত্যাকারী তানভির গংদের গ্রেফতার ও অবিলম্বে বিচারের দাবি করেন মিরপুর থানা যুবদলের সাবেক ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ইউসুফুর রহমান লিটন এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন ।


ভুক্তভুগি ইউসুফুর রহমান লিটন করে বলেন, বিগত স্বৈরাচারী শাসনামলে আওয়ামী দোসর হয়ে, মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের সোর্স তানভির তার বিরুদ্ধে মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা করিয়েছেন । পুলিশের সহযোগীতায় এখনো থেমে নেই ।
দৈনিক সমাচার নামীয় একটি পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে টাকা দাবী করছে । টাকা না দিলে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে হয়রানি করছে এর প্রতিবাদে আমরা সচেতনমহলে এই চিহৃিত চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি।
ভুক্তভোগী ইউসুফুর রহমান লিটন আরো বলেন, একজন ভুয়া সাংবাদিক হয়ে কিভাবে সে ৪০ লক্ষ টাকা দামের গাড়ি চালায় ?
(গাড়ি নম্বর ঢাকা মেট্রো ঘ ১৭-৭২৪৬)
দুর্নীতি দমনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান ।

একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা সংগ্রাম পরিষদের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযুদ্ধা বাদশাহ ভাসানী বলেন,স্বৈরাচার শেখ হাসিনার সরকারের প্রেতাত্নারা এখন বিভিন্ন এলাকায়, পাড়া-মহল্লায় বিরাজমান রয়েছে, তারা বিএনপির নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে নানা যড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এসকল কথিত সাংবাদিকের যড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সকলকে সর্তক ও সজাগ থাকতে হবে। এই কথিত চাঁদাবাজকে আইনের আওতায় এনে বিচারের জোর দাবী জানান ।

মানববন্ধনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযুদ্ধা বাদশাহ ভাসানী, মিরপুর থানা যুবদলের সদস্য সোহেল, ফারুক, বিল্লাল প্রমূখসহ মিরপুর এলাকার শতশত সচেতন নাগরিকগন ।

ডেমরায় বাক প্রতিবন্ধীর অবৈধ সম্পদের পাহাড়

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর ডেমরা পশ্চিম টেংরা, সারুলিয়া এলাকায় সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা রশিদ মাষ্টার (৪৫) এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত-১৭ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখে: অভিযোগ হয়েছে বলেও জানা গেছে। জনস্বার্থে এক সংবাদকর্মী এই অভিযোগ করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)কে অভিযোগের বিবরণের জানা গেছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর ও আওয়ামী লীগ নেতা রশিদ মাষ্টার দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, প্রতারণার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। তিনটি বাড়ির মালিক এই আওয়ামী লীগ নেতা (রশিদ মাস্টার)। তার মালিকানাধীন বাড়িগুলোর, ১০ তালা বাড়ি নং ২৯৫ ,এম এ রশিদ মাষ্টার কমপ্লেক্স, পশ্চিম টেংরা, সারুলিয়া, ডেমরা, বাড়ি ৫ তালা বাড়ি নং ৭০, মাস্টার মঞ্জিল প্রোঃ এম এ রশিদ মাস্টার পূর্ব সারুলিয়া ডেমরা, রুপগঞ্জ থানা এলাকা রয়েছে আরও ১টি বাড়ি। রশিদ মাষ্টারের বৈধ কোন ব্যাবসা নাই। ফ্ল্যাট বিক্রয়ের নামে বহু মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।দীর্ঘদিন ধরে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকলেও রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে সবসময় ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। স্থানীয়রা জানায় ,রশিদ মাস্টার মানুষের সাথে ফ্ল্যাট বিক্রি করার নামে প্রতারণা করে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা, ভুক্তভোগীরা আইনের কোনো সহযোগিতা পায় নাই কারণ সে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ঢাকা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম (মনু) ছত্র ছায়ায় ছিলো , তার পরবর্তীতে হারুন অর- রশিদ (মুন্না) সাথে রাজনীতি করেছে, সে একজন বাক প্রতিবন্ধী হয়ে কিভাবে এত বাড়ির সম্পত্তির মালিক এটা ভাবার বিষয় , বর্তমানে দেশপ্রেমিক সরকারের আমলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করে ভোক্তাভোগীরা । এ বিষয়ে সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা রশিদ -মাষ্টার-দুর্নীতি দমন কমিশন -দুদক-কে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান- দুদকের চেয়ারম্যান আমার- দুদকে আমার ভাই ব্রাদার আছে- দুর্নীতি দমন দুদকের চেয়ারম্যান আমি নিজেই বানাই। যারা রাজনীতি করে তার ভিতরে আমি রশিদ মাস্টার সলিড আমি এক নাম্বার রাজনীতি করেছি- আর যারা রাজনীতি করে তারা সবাই দুই নাম্বার বাড়ির বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান- আল্লাহর রহমতে আমি যেই টাকা কামাই নিছি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম