জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থানকে পূর্বপরিকল্পিত হিসেবে দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার॥

ডাকসুতে মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পোর আলোচনা অনুষ্ঠান। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন পক্ষের বিভিন্ন ইন্টারেস্ট (স্বার্থ) তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান। জাতীয় ঐক্য সংহত করা দরকার বলে মনে করেন তিনি।

 

বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে জাহেদ উর রহমান এসব কথা বলেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী জাতীয় ঐক্যের হাল-হকিকত শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে সাপ্তাহিক পাঠচক্রের প্লাটফর্ম মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পো।
আলোচনায় জাহেদ উর রহমান বলেন, আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বলে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থানকে প্রিপ্লানড (পূর্বপরিকল্পিত) হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটি নিয়ে বিশেষ করে ভারত জনগণের অভ্যুত্থানকে প্রিপ্লানড বলে প্রচার ও তাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। সামনে এ ধরনের প্রচেষ্টা আরও বাড়বে। তার জন্য জাতীয় ঐক্যকে সংহত করা দরকার।

অভ্যুত্থানের পর থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কতিপয় সমন্বয়ক অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক শক্তিকে অপরায়নের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন বলে অভিযোগ করেন ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের প্লাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে কখনোই কোনো রাজনৈতিক উদ্যোগ গড়ে উঠবে না বলে একধরনের অঙ্গীকার ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগে জড়িত থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে তারা কেন যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করল, তা বাংলাদেশের জনগণের কাছে পরিষ্কার নয়।

সৈকত আরিফ আরও বলেন, জোর-জবরদস্তি করে জাতীয় ঐক্য করা যায় না। জাতীয় ঐক্যকে সুসংহত করতে হলে অভ্যুত্থানের সব শক্তিকে নিয়ে রাজনৈতিক কাউন্সিল গঠন করতে হবে। এর ভিত্তিতেই সংস্কার কর্মসূচি প্রণয়ন করতে হবে। মঙ্গলবারের গপ্পোসপ্পোর সংগঠক সাইমুন নাহার কর্মী আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

 

সবা:স:জু-৫৫/২৪

 

গাইবান্ধা উপনির্বাচনে অনিয়ম: শতাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

গাইবান্ধা উপ নির্বাচনে দায়িত্বে অবহেলা ও অনিয়মে সম্পৃক্ততার কারণে রিটার্নিং অফিসারসহ শতাধিক কর্মকর্তা ও নির্বাচনী এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্দান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

 

রিটার্নিং অফিসার ছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে ইসি ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশের উপ-পরিদর্শক, নির্বাহী হাকিমসহ শতাধিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচনী এজেন্ট।

 

 

জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে অনিয়মে সম্পৃক্ততার প্রমাণ না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়নি।

 

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের কাছে ইসির সিদ্ধান্ত তুলে ধরেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনাররা এবং ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।

 

 

সিইসি বলেন, ‘দায়িত্বে অবহেলার জন্য গাইবান্ধা উপ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসির আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

একজন প্রিজাইডিং অফিসারকে দুই মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি পুলিশের পাঁচজন এসআইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া হবে।

 

তিনি জানান, ১২৫ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়ে, এডিসি ও একজন নির্বাহী হাকিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবে ইসি।

 

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ১৪৫ কেন্দ্রের নির্বাচনী এজেন্টদের আর কখনো ভোটের দায়িত্ব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

সুপারিশ অনুযায়ী, সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হলো কি না, এক মাসের মধ্যে তা কমিশনকে জানাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান সিইসি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের