ডিএমপির ৩৮তম পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী

স্টাফ রিপোর্টার:

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৩৮তম কমিশনার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি।

আজ সকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে বিদায়ী কমিশনার মোঃ মাইনুল হাসান পিপিএম, এনডিসি এর নিকট থেকে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি।

এর আগে নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে পৌঁছালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান বিদায়ী কমিশনার মোঃ মাইনুল হাসান পিপিএম, এনডিসি। এ সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি সুসজ্জিত চৌকস দল নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনারকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। দায়িত্ব গ্রহণ ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া শেষে নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ মোঃ মাইনুল হাসানকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানান।

শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী ১৯৮৬ সালে ২১ জানুয়ারি সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মজীবন আরম্ভ করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে তিনি ঝিনাইদহ, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও এসবিতে দায়িত্ব পালন করেন। উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে তিনি ডিএমপি, পুলিশ সুপার হিসেবে নড়াইল, বাগেরহাট ও লক্ষ্মীপুর জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ডিআইজি পদে পদোন্নতি লাভ করে তিনি হাইওয়ে পুলিশ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ও ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করেন। ২০১৬ সালে ৩ নভেম্বর তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদানের সময় তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে অতিরিক্ত আইজিপি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি বর্তমান সরকার কর্তৃক গঠিত পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করেন এবং দেশে-বিদেশে পেশাগত নানা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

সৎ, দক্ষ, মেধাবী ও কর্মঠ পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে বাহিনীতে সুনাম অর্জনকারী শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী, এনডিসি ১৯৬১ সালের ২৫ মার্চ ঢাকা জেলায় সম্ভ্রান্ত এক মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম শেখ ওয়েজেদ আলী এবং মাতার নাম মিসেস নুরজাহান বেগম। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত এবং দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক।

আফিলের দলীয় কোন্দলের খুন,সন্ত্রাসীর দূর্গ ভাঙতে চায় লিটন

আলী রেজা রাজু,ঢাকা:

যশোর-১ (শার্শা) সীমান্তবর্তী এ উপজেলার টানা তিনবারের আ.লীগের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে এবারও তিনি দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে নেমেছেন।বিগত ১৫ বছরে উল্লেখ্য যে তার শাসনামলে বিরোধী দলের একাধিক নেতাকর্মী ছাড়াও দলীয় কোন্দলে ক্ষমতাসীন দল আ.লীগের ও অঙ্গ সংগঠনের ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য,সাংবাদিকসহ ৬৩ জন খুন হয়েছেন।পুরো উপজেলা মৃত্যুপুরী হিসাবে পরিচিত পেয়েছেন। এসব আ.লীগের নেতাকর্মীদের খুনের আসামিদের ও অস্ত্র ব্যবসায়ী, মাদক ব্যবসায়ী,স্বর্ণ চোরাচালানকারী, একাধিক মামলার আসামী ও চিন্তিত সন্ত্রাসীসহ বহিরাগত তথা বিএনপি-জামায়াত থেকে আগতদেরকে দলীয় ও সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠা করেছেন।তার নিজস্ব বাহনী দ্বারা নির্যাতনে একধিক সংখ্যালষু পরিবারকে ও দেশ বাধ্য করা হয়েছে।সাধারণ জণগণের জমি দখলের ও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।এসব নিয়ে মূলত দলীয় কোন্দল থেকে আ.লীগের ভিতর ফাটল ধরে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই আসন নিচ্ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বড় দল এবং দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থাকায় এই জেলার প্রায় প্রতিটি আসনে এবার দলের মনোনয়ন চাওয়া প্রার্থীর সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে অনেকেই মাঠে নেমেছেন।
তবে বর্তমান এমপিই দলের নমিনেশন পান।
আর স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের মাঠে এলাকার বেনাপোল পৌরসভার সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আ.লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন।

এদিকে, রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে। আর কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মাঠে আছে স্থানীয় বিএনপি। তবে দলটি নির্বাচনে যায়নি । সে কারনে কোথাও নির্বাচনমুখী প্রচার বা দলীয় কর্মকাণ্ড নেই তাদের।

অপরদিকে, জাতীয় পার্টিরও আনুষ্ঠানিক কর্মকাণ্ড তেমন চোখে পড়েনি। আর নিবন্ধন ও রাজনৈতিক জটিলতায় জামায়াতে ইসলামীর দলীয় অবস্থানও সেভাবে চিহ্নিত হয়নি।

এক সময়ে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল যশোর-১ (শার্শা) আসনটি। মাঝখানে সেটি বিএনপি-জামাতের দখলে ছিল।আফিল উদ্দিন টানা তিনবারের সংসদ সদস্য হওয়ায় ‘গৃহবিবাদ’ও আছে। ফলে নির্বাচনের মাঠে তার দলীয় একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বীও রয়েছে। আবার নির্বাচনের
মাঠে না নামলেও বিরোধের রেখা রয়েছে বিএনপিতেও। দলটি নির্বাচনে যদি যেতো তাহলে সেখানেও ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী রয়েছেন একাধিক প্রার্থী।

যশোরের শার্শা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে যশোর-১ আসন গঠিত। এই আসনের মধ্যে রয়েছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল। সবদলের জন্য এই আসনটি মর্যাদার। বিগত ১১টি সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছয় বার, বিএনপি তিন বার, জাতীয় পার্টি ও জামায়াত একবার করে বিজয়ী হয়েছে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর এই আসনে ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের তবিবর রহমান সরদার (তৎকালীন যশোর-৫), ১৯৭৯ সালে বিএনপির আলী তারেক, ১৯৮৬ সালে জামায়াতের নূর হুসাইন, ১৯৮৮ সালে স্বতন্ত্র কেএম নজরুল ইসলাম, ১৯৯১ সালে আওয়ামী লীগের তবিবর রহমান সরদার, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপির মফিকুল হাসান তৃপ্তি, ১৯৯৬ সালের ১২ জুন আওয়ামী লীগের তবিবর রহমান সরদার, ২০০১ সালে বিএনপির আলী কদর, ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের শেখ আফিল উদ্দিন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে শেখ আফিল উদ্দিন পুনরায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সর্বশেষ ২০১৮ সালে শেখ আফিল উদ্দিন তৃতীয়বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করছেন।

যশোর-১ (শার্শা) আসনের এবারও প্রার্থী টানা তিনবারের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের শেখ আফিল উদ্দিন। পাশাপাশি দলীয় বিভাজনের সূত্র ধরে মাঠে রয়েছেন বেনাপোলের সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনের মাঠে তিনি।

২০০১ সালে নৌকা মার্কা নিয়ে রাজনীতির মাঠে আসা শিল্পপতি শেখ আফিল উদ্দিন প্রথম নির্বাচনে পরাজিত হলেও পরে দল পুনর্গঠন ও সুসংহত করতে পারেননী তার নামে বিভিন্ন অপকর্মে সেল্টার দেযার অভিযোগ রযেছে । এ জন্য প্রথম দিকের এক দশক ধরে শার্শা ও বেনাপোলে আওয়ামী লীগের একক নেতৃত্ব দেন তিনি। ২০০৮ সালে তাই ঝামেলা ছাড়াই তিনি নৌকার মাঝি হয়েছিলেন। কিন্তু এরপরই দলে বিভক্তি শুরু হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আশরাফুল আলম লিটনের সাথে শেখ আফিল উদ্দিনের দ্বন্দ্ব প্রকট হয়। বিগত নির্বাচনের তিনি আফিল উদ্দিনের সঙ্গে টক্কর দেওয়ার চেষ্টা করেও পারেনি। এখনও এই দুই নেতাকে ঘিরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অনেক প্রকাশ্য লড়াই চলে।

বেনাপোল পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আশরাফুল আলম লিটন বলেন, ‘শেখ আফিল উদ্দিন প্রতিবারই নমিনেশন পান, কিন্তু কি করেন আপনারাই খবর নেন। আওয়ামী লীগ অনেক বড় সংগঠন। সেখানে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার মতো অনেক যোগ্য নেতা ছিলো কিন্তু কাউকে না দিয়ে উনাকেই দিযেছেন। কেন্দ্র থেকে সুযোগ দেয়া হযেছে আমি স্বতন্ত্র হিসেবে মাঠে আছি।আমি ৩১ বছর ধরে রাজনীতিতে সক্রিয়। বেনাপোলের মেয়র হিসেবে আমি অনেক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড করেছি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আমি নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলাম, এবারও চাইছি পাইনি ।

উল্লেখ্য, যশোর-১ (শার্শা) আসনে মোট ভোটার ২ লাখ ৬৩ হাজার ৫৬৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩১ হাজার ৫০৯ এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৫। ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে যশোর-১ (শার্শা) আসনে দুই লাখ ৯ হাজার ৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ আফিল উদ্দিন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি পেয়েছিলেন চার হাজার ৮০২ ভোট। এর আগে, ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে শেখ আফিল উদ্দিন ৯৪ হাজার ৫৫৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জামায়াতের আজিজুর রহমান পেয়েছিলেন ৮৮ হাজার ৭০০ ভোট।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে আরও দেড় হাজারের বেশি আবেদন সতর্ক মন্ত্রণালয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের