ধরিএী প্রোপার্টিজের বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:

হাওয়ার বাড়ি,হাওয়ার গাড়ি;হাওয়ার-ই কারখানা’ গানের সারমর্মের প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে দেশের আবাসন ব্যবসার ক্ষেত্রে। ক্রয়কৃত জমি নেই। গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়ারে তৈরি কাল্পনিক আবাসিক প্রকল্পের প্লট বিক্রি করে যাচ্ছেন। হাওয়ার ওপর ভর করে চালিয়ে যাচ্ছেন প্লট বিক্রির ব্যবসা। ঢাকা শহরে এমন শতাধিক কোম্পানীর সন্ধান পাওয়া গেছে যারা প্লট বিক্রির নামে জনসাধারনের সাথে প্রতারনা করছেন।
এমনই একটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে ধরিএী প্রোপার্টিজ লি:। এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অন্যের জমি ভাড়া নিয়ে কোম্পানীর সাইনবোর্ড টানিয়ে প্লট বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মাওয়ায় ধরিএী প্রোপার্টিজ’র সামান্য কিছু জমি ক্রয় করা আছে। কিন্তু প্লট বিক্রি করা হয়েছে তার সহস্রগুন। একই প্লট একাধিক ক্রেতাকে দেখিয়ে বিক্রি করছেন। প্লট বুঝিয়ে দেয়ার সময় অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও অনেকে ক্রেতাকে প্লট বুঝিয়ে দিচ্ছেন না। আবার ক্রেতারা প্লট বুঝিয়ে দেয়ার জন্যে চাপ দিলে তাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন। এমনকি ব্যবসায়িক অংশীদারদের সাথেও প্রতারনা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সূত্রমতে,ধরিএী প্রোপার্টিজ’র কর্ণধার হচ্ছেন আতাউর রহমান রেজা

আতাউর রহমান রেজা ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা পাচারের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি। ৮ বছর করে কারাদণ্ড, ১০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী এ.এইচ.এম আতাউর রহমান রেজাই এখন ধরিএী প্রোপার্টিজ লি: এর এমডি। আইন শৃংখলা বাহিনীর কাগজ পত্রে তিনি পলাতক আসামী হলেও দিব্যি ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন!
জানাগেছে, প্রতারনার কৌশল হিসেবে কখনো তার নিজ নামে, কখনো তার স্ত্রী,ভাই-বোন, ভাগ্নে বা আত্মীয়ের নামে আতাউর রহমান রেজা ব্যবসা পরিচালনা করেন। ইতিপূর্বে তিনি মৈত্রী প্রপারটিজ, (নোয়াখালী টাউয়ার, পুরানা পল্টন), সেরাজেম( মালিবাগ), নিরাপদ হাসপাতাল (মালিবাগ মোড়, সি আই ডি অফিসের পাশে), পুষ্প ধারা হাউজিং( সিদ্ধেশরী),উদ্যোগ প্রপারটিজ লি:সহ আরও অনেক কোম্পানি খুলে বিভিন্ন ভাবে প্রতারনা করেছেন। বর্তমানে রাজধানীর তোপখানা রোডে অবস্থিত ধরিএী প্রোপার্টিজ লিমিটেডের নামে প্রতারনা করে যাচ্ছেন।
ধরিএী প্রোপার্টিজ লিমিটেডের নামে রেজা ফেসবুকে লোভনীয় বিজ্ঞাপন, লিফলেট এবং ব্যক্তি ভিজিটিং কার্ডের পিছনে বিভিন্ন অফার দিয়ে ঢাকা-মাওয়া রোডে সামান্য কিছু জমি ক্রয় করে  এক জমি একাধিক জনের কাছে   বিক্রি করে;   রেজিষ্ট্রি    করে না দিয়ে কিস্তি সুবিধার নাম করে প্রতারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্লট বুঝে না পেয়ে গ্রাহক তাদের টাকা ফেরত চাইলে নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন।
এবিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্যে ধরিএী প্রোপার্টিজ লি: এর এমডি এ.এইচ.এম আতাউর রহমান রেজার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অপচিকিৎসার অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তারদের বিরুদ্ধে অবহেলা ও অপচিকিৎসার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগকারি সোহেল মিয়া বলেন , গত (৫ মে,২০২৩) সোমবার আনুমানিক সকাল সাড়ে ছয়টায় আমাদের বাড়ির উঠান থেকে আমার মাকে ডান পায়ের পাতায় সাপে কাঁটে। আমি সাথে সাথে টাকনু বরাবর রসি দিয়ে বেঁধে দেই। তারপর আমি গরু বাছুর নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে আমার খালু ও ছোট বোনকে দিয়ে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স-এ পাঠিয়ে দেই। তারা সকাল ৭টার দিকে হাসপাতালে উপস্থিত হয়। আমার বোন বলল জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার আমার মাকে শুধু প্যারাসিটামল খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলে। ডাক্তার এটাও বলে, এটা কোনো বিষধর সাপে কাঁটেনি, আপনারা রোগীর পায়ের বাঁধন খুলে বাড়ি নিয়ে যান। ডাক্তারের কথামতো আমরা পায়ের বাঁধন খুলে ফেলি। অভিযোগকারি সোহেলের খালু ও তার ছোট বোন মোসা: মাহিনুর আক্তার জরুরী বিভাগে থাকা ডাক্তারের কাছে প্রেসক্রিপশন লিখে দেওয়ার জন্য অনেক অনুরোধ করে। কিন্তু তার অনুরোধ না রেখেই জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার প্রেসক্রিপশন না করে ঐখান থেকে বিদায় দেয়।
এদিকে রোগীর আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি দেখে সোহেল গরু বাছুর রেখে তার মাকে ছিনাইয়া এক দরবেশ বাড়িতে নিয়ে যান এক কবিরাজের কাছে। সেখানে কবিরাজ একটি পান খাইয়ে দেয়। কিন্তু পান খাওয়ানোর পরও মা বিষের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। সোহেল আর দেরি না করে তার মা’কে গৌরীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানকার ডাক্তার ভ্যাক্সিন দিয়ে রোগীকে রেফার্ড করে দেয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। দ্রুত এম্বুলেন্স ডেকে সোহেল তার মাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় বিকাল সাড়ে পাঁচটায়।  চিকিৎসা চলাকালীন অবস্থায় সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার সোহেলকে বলেন, আপনারা খুব দেরি করে ফেলছেন। পায়ের বাঁধন খোলাও ঠিক হয়নি। চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে হোসনে আরা আরও মুমূর্ষু অবস্থা হয়ে যায়। তারপর সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জীবনের শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
মরহুমা হোসনে আরা বেগম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের স্ত্রী।
অন্যদিকে হাসনাবাদ গ্রামের ভাড়াটিয়া আজাহারের ছেলে মাহাবুব (৪ মে, ২০২৩) রবিবার বিকাল ৩টার দিকে আঙ্গুল কাটা নিয়ে মেঘনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যায়। মাহাবুব বলেন, আমাকে চিকিৎসা না দিয়ে ঢাকা মেডিকেল রেফার্ড করে দেয়। কিন্তু আমি ঢাকা মেডিকেল না গিয়ে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে যাই। সেখানকার ডাক্তার আমাকে ড্রেসিং করে ঔষধ লিখে দিয়ে বলেন, এই ঔষধগুলো নিয়মিত খাবেন। আপনার কোনো সমস্যা নাই। এটা তো এলাকার কোনো ফার্মেসীতে গেলেও চিকিৎসা নিতে পারতেন। আপনি কষ্ট করে ঢাকা আসলেন কেন? আমি আর কিছু না বলে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে আসি।
এব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সায়মা রহমান বলেন, বিষয়টি সঠিক হলে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে মেঘনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তারের সাথে কথা বললে তিনি ভোরের কাগজকে বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর যিনি হেড আমি তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান