আগরতলা অভিমুখে বিএনপির তিন সংগঠনের লংমার্চ শুরু

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক: 

আগরতলার অভিমুখে আখউড়ার উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করেছে বিএনপির তিন সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল। রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে বুধবার সকাল ৯টায় যাত্রা শুরু করে লংমার্চের গাড়িবহর। এই কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

এই লংমার্চে রয়েছেন যুবদলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সস্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরসহ তিন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারা।

যুবদলের সভাপতি এম মোনায়েম মুন্না বলেন, আমরা আমাদের প্রতিবাদ, ক্ষোভ, ক্রোধ জানাতে এই শান্তিপূর্ণ লংমার্চ করছি। আমরা আখউড়া পর্যন্ত যাব, সেখান সমাবেশের মধ্য দিয়ে আমাদের এই কর্মসূচি আমরা শেষ করব।

লংমার্চে তিন সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার নিয়ে এই লংমার্চে অংশ নিচ্ছেন। কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল রেস্টুরেন্টের মোড় থেকে ফকিরাপুলের পেট্রল পাম্প পর্যন্ত শত শত মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার রয়েছে সারিবন্ধভাবে। প্রতিটি গাড়িতে ‘লংমার্চের’ স্টিকার লাগানো হয় এবং গাড়ির সামনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ও বিএনপির দলীয় পতাকা ছিল।

লংমার্চটি ইত্তেফাক মোড়, সাইনবোর্ড, চিটাগাং সড়ক রোড়, কাঁচপুর মোড়, তারাবো, ভুলতা, গাউসিয়া, মাধবদী, ইটাখোলা, মরজাল, রারুইচা হয়ে ভৈরবে পথসভা করবে। সেখান থেকে আখাউড়া পৌঁছাবে। সেখান সমাবেশ করে লংমার্চ শেষ হবে বলে জানান যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন।

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজীব আহসান ও ছাত্রদলের নাছির উদ্দীন নাছির সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে যুবদলের এম মোনায়েম মুন্না, নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, নাজমুল হাসান বক্তব্য দেন।

ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমাননাসহ ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে গত ৮ ডিসেম্বর ঢাকার বারিধারায় ভারতের হাইকমিশন অভিমুখে প্রতিবাদী পদযাত্রা ও স্মারকলিপি দেন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা।

 

সবা:স:জু-৩০৫/২৪

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নাম বদলে হলো ‘যমুনা রেলসেতু’

স্টাফ রিপোর্টার: 

 যমুনা নদীতে নির্মিত রেলসেতুর নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয়েছে ‘যমুনা রেলসেতু’। শুরুতে এই সেতুর নাম ছিল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেলসেতু। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি জানিয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন।

তিনি বলেন, যমুনা নদীতে নির্মিত রেলসেতুর নাম বঙ্গবন্ধু রেল সেতু থাকছে না।এটি এখন যমুনা রেলসেতু নামেই উদ্বোধন করা হবে। ২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে এই রেলসেতু উদ্বোধন করা হতে পারে। তিনি জানান, এখন যমুনার বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুতে মিটারগেজের যে রেলসংযোগ রয়েছে তাতে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭০ কিলো-নিউটন/মিটার ওজন বহনের অনুমতি রয়েছে।

ট্রেনে বেশি বগি যুক্ত করার সুযোগ নেই, সঙ্গে রয়েছে এক লাইনের সীমাবদ্ধতা। এই সেতুতে ঘণ্টায় মাত্র ২০ কিলোমিটার গতিতে ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার সেতু পার হতে একেকটি ট্রেনের ২৫ মিনিটের মতো সময় লেগে যায়। সেতুর ওপর একটি লাইন হওয়ায় দুই পাড়ের স্টেশনে সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘসময়। সবমিলিয়ে মাত্র ৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে লাগছে এক ঘণ্টার বেশি।

এই দুর্ভোগ থেকে যাত্রীদের মুক্তি দিতে বিগত সরকার ২০২০ সালের ৩ মার্চ বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতুর সমান্তরালে ডুয়েলগেজ ডাবল ট্র্যাকের ৪ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলসেতু নির্মাণের পরিকল্পনা অনুমোদন করে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা।এর মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৪ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা এবং বাকি ১২ হাজার ১৪৯ কোটি টাকা অর্থায়ন করে জাপানের জাইকা।

সেতুর প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ডব্লিউডি-১ ও ডব্লিউডি-২ নামে দুটি প্যাকেজে জাপানি পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।ডব্লিউডি-১ প্যাকেজটি বাস্তবায়ন করছে জাপানি আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবাইসি, টোআ করপোরেশন ও জেইসি (ওটিজে) জয়েন্ট ভেঞ্চার। সেতুর উভয় প্রান্তের দুই স্টেশনে সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপনে ডব্লিউডি-৩ প্যাকেজের কাজ করছে জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইয়াশিমা।

নতুন এই রেলসেতুর বিষয়ে প্রকল্প পরিচালক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান জানিয়েছেন, নতুন এই রেলসেতু দিয়ে ব্রডগেজ ট্রেন প্রতি ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার ও মিটারগেজ ট্রেন ১০০ কিলোমিটার গতিতে পরিচালনার পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সিবিআইএসের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৪০ শতাংশ। সেতু চালু হওয়ার পরে আরও দুই-তিন মাস সময় লাগতে পারে সিবিআইএস চালু করতে। সিবিআইএস চালু না হওয়ায় মূল সেতুতে নয়, রেলের গতি কমবে সেতুর কানেক্টিং দুই স্টেশনে। নন-ইন্টারলিংক সিস্টেম চালু থাকায় স্টেশনের লুপ লাইনে যখন ট্রেন প্রবেশ করবে, তখন তার গতি কমিয়ে আনতে হবে ১৬ কিলোমিটারে। তবে লুপ লাইন পেরিয়ে মূল সেতুতে রেল ফুল স্পিডে চলাচল করতে পারবে। রেললাইন ও ব্রিজের সক্ষমতা রয়েছে।

যমুনার পুরোনো সেতু দিয়ে বর্তমানে দিনে ৩৮টি ট্রেন চলাচল করছে। নতুন সেতু চালুর পরে আন্তঃনগর, লোকাল, কমিউটার ও মালবাহী ট্রেনসহ ৮৮টি ট্রেন পরিচালনার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল রেলওয়ে। তবে সেই বাস্তবতা নেই রেলওয়েতে। রেলের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন বলেন, রেলে ইঞ্জিনের সংকট রয়েছে। চাইলেও নতুন ট্রেন দিতে পারছি না। তবে রাষ্ট্রপতি অনুরোধ করেছিলেন, পাবনাবাসীর জন্য কোনো নতুন ট্রেন পরিচালনা করা যায় কী না। সেটি নিয়ে আমরা ভাবছি।

সবা:স:জু- ৪৭৯/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান