ঢাবিতে ‘জুলাই স্মৃতি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’ অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কবি জসীম উদদীন হলের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে তিন দিনব্যাপী ‘জুলাই স্মৃতি শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’ হলের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের সাতটি ব্যাচের সাতটি দল এবংঅ্যালামনাই ও শিক্ষকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি বিশেষ দলসহ মোট আটটি দল অংশগ্রহণ করে।

পল্লীকবি জসীম উদদীনের উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ, নাটক এবংআত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘আসমানী, বালুচর, রাখালী, বিপ্লবী, মুসাফির,পদ্মাপার, স্মৃতিপট’-এর নামানুসারে দলগুলোর নামকরণ করা হয়, যা টুর্নামেন্টে একটি অনন্য বৈশিষ্ট্য যোগ করে।

এই প্রতিযোগিতায় ২০১৭-১৮ শিক্ষার্থীদের দল ‘আসমানী’চ্যাম্পিয়ন এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দল ‘স্মৃতিপট’রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

বছরের শেষ দিন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী ও রানার্সআপ দলের খেলোয়াড়দের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং প্রতিযোগিতাটির গুরুত্ব তুলে ধরে ভবিষ্যতে এ ধরণের আয়োজনের পাশে থাকার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী প্রতিনিধি এবং হল প্রশাসনকে আয়োজনে সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদও জানান।

এ সময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমেদ, হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম শাহীন খান, হলের আবাসিক শিক্ষকবৃন্দ, অ্যালামনাই সদস্যবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী।

আয়োজনের শেষ পর্যায়ে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে নতুন বছরের কেক কেটে শিক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানান। যা আয়োজনকে আরও প্রাণবন্ত এবং হলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব এবং সৃজনশীল উদ্যমকে উৎসাহিত করে।

 

সবা:স:জু- ৫৮৪/২৪

আমস্টারডাম যেন এখন এক গভীর সংকটে, ছাঁটাই করল সাত খেলোয়াড়কে

আমস্টারডাম যেন এখন এক গভীর সংকটে, ছাঁটাই করল সাত খেলোয়াড়কে

স্পোর্টস ডেস্কঃ নেদারল্যান্ডসের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব আয়াক্স আমস্টারডাম যেন এখন এক গভীর সংকটে! ফুটবল-অর্থনীতি দুই ক্ষেত্রেই ধরা খেয়েছে ক্লাবটি। আর সেই সংকট কাটাতে ক্লাব যে পুনর্গঠনের পথে হাঁটছে, তা বোঝাতে সাত খেলোয়াড়কে ছাঁটাই করা হয়েছে—তাও হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে!

২০২৪-২৫ মৌসুমে পিএসভির পেছনে থেকে লিগ শেষ করে আয়াক্স। শেষ পাঁচ ম্যাচে মাত্র এক জয় (২-০ বনাম টোয়েন্টে), দুটি ড্র এবং দুটি বড় হার (০-৪ বনাম উত্রেখট ও ০-৩ বনাম এনইসি) হতাশার চিত্রই তুলে ধরে। ফলাফল—ফ্রান্সেস্কো ফারিওলির পদত্যাগ এবং ক্লাবের ঐতিহাসিক পুনর্গঠনের ঘোষণা।

নতুন কোচ হিসেবে ক্লাব ফিরিয়ে এনেছে লিজেন্ডারি জন হেইটিংগাকে। কিন্তু সেই ‘নতুন অধ্যায়’ শুরু হয়েছে অনন্য এক সিদ্ধান্ত দিয়ে। ক্লাবের সাতজন খেলোয়াড়—চুবা আকপম, কার্লোস ফর্বস, বোর্না সোসা, ক্রিশ্চিয়ান রাসমুসেন, ক্রিস্টিয়ান হ্লিনসন, জে গোরটার এবং ব্রানকো ভ্যান ডেন বুমেন—একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পেয়ে জানতে পারেন, আগামী মৌসুমে তাদের ক্লাবে প্রয়োজন নেই। শুধু তাই নয়, ক্লাবের ট্রেনিং ফ্যাসিলিটি এমনকি পার্কিং লটেও তাদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে!

খেলোয়াড়দের মধ্যে কেউ কেউ মাত্র এক বছর আগেই ক্লাবে যোগ দিয়েছিলেন। ফর্বসকে ম্যানচেস্টার সিটি থেকে আনতে আয়াক্স ব্যয় করেছিল প্রায় ১৭ কোটি টাকা, আকপমের জন্য মিডলসব্রোকে দেওয়া হয় ১৫ কোটি টাকা, আর বোর্না সোসার জন্য স্টুটগার্টকে ১০ কোটি টাকার বেশি।

অর্থনৈতিক চাপে থাকা আয়াক্স এই খেলোয়াড়দের বিক্রি করে বাজেট ঘাটতি সামলাতে চায়। বিশাল বিনিয়োগের পর প্রত্যাশিত ফল না পাওয়ায় ক্লাবের কড়া সিদ্ধান্তের বলি হয়েছেন তারকা খেলোয়াড়রাও।

ফুটবলে পেশাদারিত্বের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও, আয়াক্সের এমন ব্যবস্থাপনা ফুটবল বিশ্বে হতবাক প্রতিক্রিয়া ডেকেছে। ক্লাব পুনর্গঠন যেমন জরুরি, তেমনি খেলোয়াড়দের প্রতি সম্মান দেখানোও আধুনিক ফুটবলের অংশ। এখন দেখার বিষয়, আয়াক্স এই রদবদলের মাধ্যমে মাঠের ফলাফলে কতটা পরিবর্তন আনতে পারে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি