জয়েন্ট পেইন দূর করার ৫ উপায়

স্টাফ রিপোর্টার: ঠান্ডার সময়ে জয়েন্টে শক্ত হয়ে যাওয়া এবং অস্বস্তি অনেকেরই একটি সাধারণ সমস্যা। তবে চিন্তার কিছু নেই। বরং এর সমাধান জেনে নিলে এই সমস্যা মোকাবিলা করা সহজ হয়ে যাবে-

ঠান্ডায় জয়েন্টে ব্যথার কারণ কী?

শীতকালে জয়েন্টে ব্যথার প্রধান কারণ হলো তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতা কমে যাওয়া, যার ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টিস্যু এবং পেশী শক্ত হয়ে যায়, এ কারণে অস্বস্তি হয়। ঠান্ডা পরিবেশ আমাদের শরীরের রক্তচাপকে প্রভাবিত করে। যার ফলে জয়েন্ট-সকেট চলাচলে অস্বস্তি হতে পারে।

শীতকালে বায়ুমণ্ডলীয় চাপ কম থাকার ফলে জয়েন্টের চারপাশের টিস্যুগুলো প্রসারিত হতে পারে, জয়েন্টগুলোতে চাপ পড়ে এবং ব্যথা আরও বেড়ে যায়, বিশেষ করে যাদের আর্থ্রাইটিস বা পূর্বে আঘাত রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে।

জয়েন্টের ব্যথা এড়াতে ৫টি টিপস

যদি জীবনকে একঘেয়েমি থেকে মুক্তি দিতে চান তাহলে আপনার সময়সূচীতে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। চলুন জেনে নেওয়া যাক জয়েন্টের ব্যথা এড়াতে ৫টি টিপস-

নড়াচড়া শুরু করুন

যোগব্যায়াম, স্ট্রেচিং বা দ্রুত হাঁটার মতো হালকা কাজও আপনার জয়েন্টগুলোকে নমনীয় রাখতে সাহায্য করে। যদি ডেস্কে কাজ করেন, তাহলে প্রতি ঘণ্টায় উঠে দাঁড়িয়ে স্ট্রেচ করার কথা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য একটি টাইমার সেট করুন।

সহায়ক খাবার খান

আপনি যা খান তা জয়েন্টগুলোতে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। খাদ্যতালিকায় মাছ, আখরোট এবং তিসির মতো ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। এগুলো প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। হলুদ এবং আদার মতো মসলা কেবল স্বাদের জন্য নয়- এগুলো প্রাকৃতিক প্রদাহ-বিরোধী যা আপনার জয়েন্টকে প্রশমিত করতে পারে। স্যুপ এবং স্টু খেতে ভুলবেন না। এগুলো আরামদায়ক এবং পুষ্টিতে ভরপুর যা আপনার জয়েন্ট ভালো রাখতে কাজ করবে।

উষ্ণ থাকুন

সামঞ্জস্যপূর্ণ হোন! গরম পোশাক, গ্লাভস এবং মোজা পরার অভ্যাস জয়েন্টকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করবে। আপনার পেশীর জড়তা কমাতে এবং শিথিল করতে উষ্ণ স্নানের ব্যবস্থা করুন অথবা হিটিং প্যাড ব্যবহার করুন।

হাইড্রেটেড থাকুন

শীতকালে অনেকেই কম পানি পান করেন। কিন্তু হাইড্রেটেড থাকলে তা জয়েন্টগুলোতে তৈলাক্ততা বজায় রাখে। ভেষজ স্যুপ খান, অথবা উষ্ণ পানিতে ২ মিলি আদার রস মিশিয়ে পান করুন। এভাবে হাইড্রেটেড এবং আরামদায়ক থাকুন।

প্রাকৃতিক প্রতিকার বেছে নিন

উষ্ণ তিল বা সরিষার তেল দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করলে রক্ত ​​প্রবাহ উন্নত হতে পারে। এটি জয়েন্ট শক্ত হয়ে যাওয়া এবং ব্যথা কমাতে অসাধারণ কাজ করতে পারে। অশ্বগন্ধার মতো ভেষজ জয়েন্ট-সহায়ক বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। এটিও ব্যবহার করতে পারেন।

 

৩ হরমোনজনিত সমস্যায় বেশি ভোগেন নারীরা

স্টাফ রিপোর্টার: বয়সভেদে নারীর বিভিন্ন হরমোনজনিত সমস্যা হতে দেখা যায়। যেমন শৈশব-কৈশোরে থাইরয়েড বা স্টেরয়েড বা গ্রোথ হরমোনের অসামঞ্জস্যের কারণে অনেকে খর্বকায় হয়, স্থূলকায় হয়ে পরে বুদ্ধিবৃত্তির বিকাশে সমস্যা হয়।

নারীদের হরমোনজনিত সমস্যাগুলো বেশ সাধারণ এবং এগুলো বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। জেনে নিন ৩টি হরমোন সমস্যা সম্পর্কে যা নারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দেখা যায়-

১.ইস্ট্রোজেনের ভারসাম্যহীনতা: ইস্ট্রোজেন হরমোন নারীদের প্রজনন এবং মাসিক চক্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অতিরিক্ত বা কম ইস্ট্রোজেন শরীরে বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এর তিনটি কারণও রয়েছে, মেনোপজ বা পেরিমেনোপজ। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল বা হরমোনাল চিকিৎসা।

উপসর্গ হিসেবে আপনি দেখবেন, অনিয়মিত মাসিক, ত্বকের সমস্যা, যেমন ব্রণ। ওজন বৃদ্ধি বা শরীরের ফ্যাট জমে যাওয়া। মেজাজ পরিবর্তন, যেমন ডিপ্রেশন বা অস্থিরতা।

২. থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা: থাইরয়েড হরমোন শরীরের মেটাবলিজম এবং শক্তি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। হাইপোথাইরয়েডিজম (কম থাইরয়েড) বা হাইপারথাইরয়েডিজম (বেশি থাইরয়েড) নারীস্বাস্থ্যে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। এর কারণ হতে পারে- অটোইমিউন রোগ (হাশিমোটো বা গ্রেভস ডিজিজ)। আয়োডিনের অভাব বা অতিরিক্ততা। পারিবারিক ইতিহাস।
উপসর্গ হতে পারে- ক্লান্তি বা দুর্বলতা, অনিয়মিত মাসিক চক্র, চুল পড়া বা চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, ওজন কমা বা বেড়ে যাওয়া।

৩. ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম: পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম একটি হরমোনজনিত সমস্যা যা ওভারিতে সিস্ট তৈরি করে এবং ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্যহীনতার সাথে সম্পর্কিত। এর কারণ অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা। জেনেটিক ফ্যাক্টরও রয়েছে।

উপসর্গ হতে পারে- অনিয়মিত বা বন্ধ মাসিক, অতিরিক্ত চুলপড়া বা ব্রণ। ওজন বৃদ্ধি, বিশেষত পেটের চারপাশে। বন্ধ্যাত্বও হতে পারে।

প্রতিরোধ এবং ব্যবস্থাপনা-

১. সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা।

২. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো।

৩. চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনমতো হরমোনাল থেরাপি বা ওষুধ গ্রহণ।

৪. মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান এবং রিল্যাক্সেশন পদ্ধতি অনুসরণ করা।

যদি কোনো নির্দিষ্ট উপসর্গ দেখা দেয়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের