কর্ণফুলীতে শ্যালিকাকে ধর্ষণচেষ্টা, দুলাভাই আটক

স্টাফ রিপোর্টার:

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইছানগর গ্রামে শ্যালিকাকে (১৬) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে উঠেছে দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে।

এ অভিযোগে দুলাভাইকে গণধোলাইয়ের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় জনতা।

সোমবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, গ্রেপ্তার মো. ফারুক (২৮) কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সৈন্যরটেক এলাকার বাসিন্দা।

কর্ণফুলী থানার ওসি মো. শরীফ আরও বলেন, রোববার সকালে ফারুক তার শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যান। রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে ফারুক তার শ্যালিকার রুমে গিয়ে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে ভুক্তভোগী ওই কিশোরী চিৎকার করলে ফারুক তার রুমে চলে যান। সোমবার বিকেলে ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা ফারুককে আটক করে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি বলেন, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে জামাতার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় ফারুক প্রায় শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গেলে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এ নিয়ে ফারুককে তিনি কয়েকবার তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত না করতে নিষেধও করেছিলেন।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার ফারুককে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হবে।

ছাত্রাবাসের টর্চার সেল থেকে উদ্ধার পাঁচ ব্যবসায়ী

স্টাফ রিপোর্টার:

মাগুরা পৌর এলাকার সাজিয়াড়া গ্রামের একটি ছাত্রাবাসের টর্চারসেল থেকে পাঁচ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছেন সেনাসদস্যরা। মুক্তিপণ আদায়ের জন্যে তাদের সেখানে আটকে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইসতিয়াক আহমেদ শান্ত নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাগুরা ক্যাম্পের দায়িত্বরত সেনাসদস্যরা বুধবার (২৮ মে) রাত ১০টার দিকে সাজিয়াড়া গ্রামের এসএম ছাত্রাবাস থেকে ওই ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করেন।

পাঁচ ব্যবসায়ী হলেন— রাজীব সরদার, হৃদয় সরদার, বাবু শেখ, ওসমান শেখ এবং রিয়াদ ইসলাম। তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বড়ফা গ্রামে।

আটক ইসতিয়াক আহমেদ শান্ত এক নম্বর ওয়ার্ডের সাজিয়াড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যবসায়ীরা নানা ধরনের ইলেকট্রনিক পণ্য ফেরি করে বিক্রির উদ্দেশ্যে গত ২১ মে মাগুরা আসেন। এরপর ইসতিয়াক আহমেদ শান্তর খপ্পরে পড়েন তারা।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাঁচ ব্যবসায়ীকে কৌশলে সাজিয়াড়া গ্রামের ওই ছাত্রাবাসে নিয়ে যান শান্ত। তাদের সেখানে আটকে রেখে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দেওয়ায় তাদের ওপর নির্যাতন চালায় শান্তর লোকজন।

মাগুরার মহম্মদপুরে বাড়ি মহসিন নামে এক প্রবাসী ওই ছাত্রাবাসটির মালিক বলে জানায় এলাকাবাসী। হুরাইরা নামে সাজিয়াড়া গ্রামের একটি ছেলের মাধ্যমে তিনি ছাত্রাবাসটি পরিচালনা করে আসছিলেন।

কিন্তু ৫ আগস্টের পর ইসতিয়াক আহমেদ শান্ত ছাত্রাবাসে বসবাসরত ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করে সেটির বিভিন্ন কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দখলে দেয়। এরপর সেখানে টর্চার সেল গড়ে তোলে।

মাগুরা সদর থানার ভাররাপ্ত কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী জানান, এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম