গুলশানে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ, প্রতিবাদে চালকদের মিছিল

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর গুলশান এলাকায় আগে শুধুমাত্র নিবন্ধিত প্যাডেল চালিত রিকশা চলাচল করলেও বিগত ৭/৮ মাস ধরে ব্যাটারিচালিত রিকশাও অবাধে চলাচল করছিল। তবে আজ (শনিবার) থেকে গুলশান এলাকায় সব ধরনের ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

শনিবার গুলশান ১ থেকে ২ নম্বর পর্যন্ত মূল সড়কসহ ভিতরের সড়কগুলোতেও চলাচল করতে দেখা যায়নি ব্যাটারিচালিত রিকশা। দুপুরের দিকে ৮০ থেকে ১০০ জন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালককে গুলশান-২ নম্বরের দিক থেকে ভেতরের রাস্তা দিয়ে মিছিল করতে দেখা গেছে। এ সময় তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছিলেন।

গুলশানে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের উদ্যোগ বাস্তবায়নে কাজ করছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, গুলশান সোসাইটি এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। আজ থেকে গুলশানের ৯টি প্রবেশপথে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে গুলশান সোসাইটি ২০ জন অতিরিক্ত গার্ড নিয়োগ দিয়েছে। যারা পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে।

ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের বিষয়ে গুলশানের স্থায়ী নিবন্ধিত প্যাডেল রিকশা চালক আজাহার আলী বলেন, এটা খুবই ভালো। ব্যাটারিচালিত রিকশা গুলশানের ভেতরে ঢুকে বিশৃঙ্খলা করে, এই গাড়ি ওই গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগায়। আজ ব্যাটারিচালিত রিকশা গুলশানে ঢোকেনি, তাই সড়কের পরিবেশও খুব ভালো আছে।

গুলশানের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান মিয়া বলেন, আগে গুলশানে শুধু নিবন্ধিত রিকশাগুলো চলাচল করতো, এতে করে পরিবেশটা খুব ভালো ছিল। কিন্তু গত সাত-আট মাস ধরে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল করে গুলশানের ভিতরে পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে। তারা একে গুলশানের ভেতরে চেনেও না, আবার দ্রুতগতির রিকশা এনে দুর্ঘটনা ঘটায়। স্থায়ী বাসিন্দারা এসব রিকশার কারণে সড়ক পারাপারেও ভয় পান। আজ এসব রিকশা চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না , যে কারণে ভেতরের পরিবেশটা আজ খুব ভালো লাগছে। গুলশান সোসাইটিকে আরও বেশি কঠোর হতে হবে।

রিকশাচালকদের মিছিল : গুলশান কারো নিজস্ব সম্পত্তি না

দুপুরের দিকে ৮০ থেকে ১০০ জন ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মিলে একটি মিছিল বের করে গুলশান-২ থেকে গুলশান-১ নম্বরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। মিছিলে অংশ নেওয়া ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মুঞ্জু বলেন, গুলশান এলাকা কারো নিজস্ব সম্পত্তি না, অন্য রিকশা চললে এখানে ব্যাটারিচালিত রিকশাও চলতে দিতে হবে। এই রিকশা চলাচলের দাবি নিয়ে আজ আমরা মিছিল বের করেছি। গুলশান সোসাইটির সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। আমাদের এখানে চলাচল করতে দিতেই হবে।

গুলশানে ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মুখপাত্র মকবুল হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেন, স্থানীয় কমিউনিটিকে সঙ্গে নিয়ে ডিএমপির সহযোগিতায় ক্রমান্বয়ে সব এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক। এরই ধারাবাহিকতায় গুলশান সোসাইটির সহযোগিতায় গুলশান এলাকায় ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়েই এই কাজটি নিয়মিত করবে ডিএনসিসি।

স্বপ্ন পূরণের দিনেই পাইলট ছেলের মৃত্যু

স্বপ্ন পূরণের দিনেই পাইলট ছেলের মৃত্যু

ডেস্ক রিপোর্ট:
রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে নিহত পাইলট তৌকির ইসলাম সাগরের মা-বাবা, বোন সোমবার (২১ জুলাই) বিকেল পাঁচটা পর্যন্তও জানতেন না তিনি আর নেই। তৌকির বেঁচে আছেন এ আশায় বিকেল ৫টা ১৪ মিনিটে বিমান বাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে করে তারা ঢাকায় রওনা হন। তবে বিকেল ৪টার দিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় এই উদীয়মান বৈমানিকের।

বাসার মালিক আতিকুল ইসলাম জানান, তৌকির ইসলাম সাগর প্রথমবারের মতো একা প্রশিক্ষণ বিমান চালাবেন এই খবরে পুরো পরিবারের সদস্যরা আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দুপুরের পর তারা বিমান বিধ্বস্তের খবর পান। সে সময় জানতে পারেন সাগর ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি জানান, সাগরকে দেখতে পরিবারের সদস্যরা বিমানযোগে ঢাকা যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করলে বিমান বাহিনীর পক্ষ থেকে একটি বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করা হয়। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে র‍্যাবের একটি মাইক্রোবাসে করে ভাড়া বাসা থেকে তাদেরকে রাজশাহী শাহমখদুম বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

বিমান বাহীনির একটি বিশেষ বিমানে ঢাকায় রওনা দেন নিহত পাইলট তৌকিরের পরিবার। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তৌকির ইসলামের বাবা, মা, বোন ও বোন জামাই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে তার মৃত্যুর খবর জানতেন না। পরিবারের সদস্যরা জানেন সাগর জীবিত ও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। রাজশাহীর উপশহরের তিন নম্বর সেক্টরের একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করত সাগরের পরিবার। বাবা তহুরুল ইসলাম, মা সালেহা খাতুন, বোন সৃষ্টি ও বোনজামাই মিলে গড়ে তুলেছিলেন ছোট্ট একটি সুখের সংসার।

সাগরের জন্ম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার কানসাট এলাকায়। পড়াশোনা শুরু রাজশাহীর ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে। এরপর যোগ দেন পাবনা ক্যাডেট কলেজে। ছোটবেলা থেকেই আকাশ ছিল তার সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। সে আকাশেই আজ তিনি চিরনির্বাসিত। মাত্র এক বছর আগে বিয়ে করেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকাকে। বাবা তহুরুল ইসলাম আমদানি-রফতানি ব্যবসা করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের