ফরিদপুরে ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতাসহ দু’জনের মৃত্যু

ফরিদপুরে ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতাসহ দু’জনের মৃত্যু

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসার পথে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় খুলনা দাকোপ উপজেলা জামায়াতের আমীরসহ দুইজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) দিবাগত রাত তিনটায় ভাঙ্গার ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।পুলিশ জানায়, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে যোগ দিতে খুলনা থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে রওয়ানা করে একটি বাস। এক্সপ্রেসওয়ের প্রবেশমুখে বাসটি দাঁড়ালে পেছন থেকে পরপর দুটি বাস ও একটি পিকআপ ধাক্কা দেয়।

ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান দাকোপ উপজেলার জামায়াতে আমীর মুহাম্মদ আবু সাইদ। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জামায়াতের এক কর্মী।এছাড়াও ভাঙ্গার নাছিরাবাদ এলাকায় দুই অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।

মেঘনায় এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলছে সার্টিফিকেট বানিজ্য

স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লা মেঘনা উপজেলার মুজাফফর আলী হাই স্কুল এন্ড কলেজের নামে প্রসংশাপত্র, সার্টিফিকেট ও মার্কশীট বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, আমি ২০২১ সালে এসএসসি পাশ করেছি। কিন্তু সাংসারিক জীবনে চলে আসার কারণে আমি পড়াশোনা স্থগিত করে দেই। যার ফলে এতদিন সার্টিফিকেট স্কুল থেকে উঠাইনি। আমি আবার পড়াশোনা করব, তাই আমার সার্টিফিকেট প্রয়োজন। সেজন্য সার্টিফিকেট দুইশত টাকা দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে আসি। কিন্তু ভুল করে মার্কশীট উঠাতে মনে না থাকার কারণে পরবর্তীতে আমার মা ও ছোট বোনকে মার্কশীট উঠানোর জন্য ঐ স্কুলে পাঠাই। মার্কশীট উঠাতে গেলে আমার মায়ের কাছে তারা পাঁচশত টাকা চায়। আমার মা কাকুতি মিনতি করে তিনশত টাকা দিয়ে মার্কশীট উঠিয়ে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিন্সিপাল আব্দুর রউফ মুঠোফোনে অস্বীকার করে বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সার্টিফিকেট বা মার্কশীট বাবদ কোনো টাকা-পয়সা নেই না। তবে প্রসংশাপত্র দেওয়ার সময় কিছু টাকা নেই। অন্য প্রতিষ্ঠানেও নেয় তাই আমরাও নেই।
উপজেলার উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার গোলাম ফারুক বলেন, প্রসংশাপত্র, সার্টিফিকেট বা মার্কশীট উঠাতে কোনো সরকারি ফি দেওয়া লাগে না। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাবেয়া আক্তার ভোরের কাগজকে বলেন, আমি বিষয়টি শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।
ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম