সারাদেশে নাশকতার ছক সাজাচ্ছে আওয়ামী লীগ

সারাদেশে নাশকতার ছক সাজাচ্ছে আওয়ামী লীগ

ডেস্ক রিপোর্ট:
দীর্ঘ ১৭ বছর আগস্ট মানেই ছিল আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের শোকের মাস। ২০২৪ সালের ০৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মুখে পালাতে বাধ্য হয়েছিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী প্রধান বাকশালী মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা। আওয়ামী শোকের মাস এই আগষ্টেই দেশবাসীকে কাঁদাতে চায় ফ্যাসিবাদীরা। অন্তর্বর্তী সরকার হটাতে তৈরি করা হচ্ছে ভয়াবহ নাশকতার ছক। বিভিন্ন দেশে পলাতক মুজিববাদী নেতাকর্মী এবং আমলা, সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশের সাবেক কর্মকর্তাদের দিয়ে আঁটা হচ্ছে কূটকৌশল। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দলীয় ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। ভারতে বসে এ নীলনকশা প্রস্তুত করছেন শেখ হাসিনা। জুলাই বিপ্লবের বর্ষপূর্তি ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার তৈরি করা প্রতিবেদনে মিলেছে উদ্বেগজনক এ তথ্য।

 

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট। এই দিনেই দেশ দখলের স্বপ্ন দেখছে আওয়ামী লীগ। অস্থিরতা তৈরি করতে ঢাকা ও দিল্লিতে চলছে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম। ইতোমধ্যে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় চার শতাধিক আওয়ামী ক্যাডারকে কর্মশালার নামে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জকে সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রম ধরে সেখানে প্রস্তুত করা হচ্ছে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্র। দেশের বাইরেও পুরোদমে কার্যক্রম চালাচ্ছে আওয়ামী ক্যাডাররা। ভারতের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় জড়ো হচ্ছে পলাতক ও গা-ঢাকা দেওয়া ফ্যাসিবাদীরা। আয়ত্ত করছে নাশকতার বিভিন্ন উপায় ও হামলার কৌশল।

 

প্রতিবেদনের কিছু তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, অন্তর্বর্তী সরকারকে ব‍্যর্থ করার জন্য এ পর্যন্ত গৃহীত পরিকল্পনা তেমন সাফল্যের মুখ না দেখায় চব্বিশের ৫ আগস্টের মতো পরিস্থিতি তৈরির নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। এ লক্ষ্যে সারা দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে পারদর্শী ও ‘ডাই হার্ট’ আওয়ামী লীগারদের বাছাই করা হয়েছে, যারা দলের জন্য জীবনও দিতে প্রস্তুত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাবেক মন্ত্রী-এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ভারতে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। হাসিনার নির্দেশনা অনুসরণ করে সপ্তাহ দুই আগ থেকে বুকিং দেওয়া শুরু হয়েছে এয়ার টিকিট। অনেকে ইতোমধ্যে ভারতে পৌঁছেছেন। সেখানে বাছাইকৃত নেতাদের চূড়ান্ত নির্দেশনা দেওয়া হবে।

 

রাজধানী ঢাকাসহ সব সিটি করপোরেশন এবং জেলার জন্য একজন করে নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা নাশকতার বিষয়গুলো তদারক করবেন। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ঢাকায় নাশকতার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কামাল বর্তমানে ভারতে পলাতক আছেন। তিনি ইতোমধ্যে তার বাহিনী গঠনের কাজ শেষ করেছেন এবং বাছাইকৃতদের দেশে ও দেশের বাইরে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছেন বলে জানাগেছে।

 

কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সব সহায়তা দেওয়ার জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন এসবির সাবেক প্রধান, ভারতে পলাতক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম। এছাড়া পলাতক বরখাস্ত সেনা কর্মকর্তা এসএসএফের সাবেক ডিজি ও সাবেক কিউএমজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মুজিবুর রহমান বর্তমানে দিল্লিতে আছেন। তিনিও হাসিনার সঙ্গে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন।

 

ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর অত্যন্ত বিশ্বস্ত হিসেবে পরিচিত জেনারেল মুজিব। ময়মনসিংহ অঞ্চলের ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে তিনি ভারতে পালান। মুজিব ছাড়াও পলাতক একাধিক জেনারেল নাশকতার পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন। এসবি মনিরুল দেশবিরোধী তৎপরতা চালানোর জন্য দিল্লিতে একটি কার্যালয় নিয়েছেন। সেখানে বসে ‘র’-এর সঙ্গে পরামর্শ করে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন হাসিনা। নাশকতার সার্বিক বিষয় তত্ত্বাবধান করছেন জেনারেল মুজিব ও এসবি মনিরুল।

 

পাশাপাশি দেশে অবস্থান করা কয়েক সাবেক ও বর্তমান পুলিশ কর্মকর্তার নিবিড় তত্ত্বাবধানে ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ চলছে। প্রশিক্ষিত কর্মীদের কাজ হবে নির্দেশনা অনুযায়ী ‘হিট অ্যান্ড রান’ পদ্ধতিতে কাজ করা। এমন পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে, যা আগে কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। এতে নানাভাবে সহায়তা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীতে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসররা। এ বিষয়ে সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বক্তব্যকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। ফাঁস হওয়া একটি অডিওবার্তায় তাকে বলতে শোনা গেছে, ১৬ বছরে অনেক অফিসার ও অধস্তন ফোর্স নিয়োগ দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এরাই সময়মতো আওয়ামী লীগের পক্ষে বন্দুকের নল ঘুরিয়ে দেবে।

 

গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিশ্লেষণে আরো জানা যায়, দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় স্থাপনায় নাশকতাসহ ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা, কৌশলে অভ্যুত্থানপন্থি দলগুলোর কিছু কর্মীকে ভাড়া করে নিজেদের মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর মাধ্যমে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করে নির্বাচনের আগেই ঢাকা অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে চায় আওয়ামী লীগ। বর্তমানে পুলিশের দুর্বল অবস্থার সুযোগে বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য তাদেরই প্রথম টার্গেট করা হতে পারে, যাতে পুলিশ আন্দোলন দমনে নিষ্ক্রিয় থাকে। একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ব‍্যক্তিদের আঘাত করা, যাতে দেশ ও দেশের বাইরে আলোড়ন তৈরি হয়। বাছাইকৃত কর্মীদের যোগাযোগের জন্য প্রচলিত মাধ্যম এড়িয়ে অপরিচিত আলাদা অ্যাপ চালু, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে প্রশিক্ষিত দল।

 

এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সমন্বয়কদের প্রয়োজনে তাদের কাছে টাকা পাঠানো হচ্ছে। হুন্ডির মাধ্যমে ভারত থেকে অর্থ আসছে। এছাড়া দেশে অবস্থান করা তুলনামূলক কম বিতর্কিত নেতাদের মাধ্যমে টাকা সরবরাহ করা হচ্ছে। সুইজারল্যান্ডে অবস্থান করা সামিট গ্রুপের মালিক আজিজ খানকে বিদেশে ফান্ড ম্যানেজ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

 

আওয়ামী পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গত ৮ জুলাই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি কনভেনশন হল ভাড়া নিয়ে দিনব্যাপী ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এনজিওর প্রশিক্ষণের নামে চার শতাধিক নেতাকর্মীকে নাশকতার বিভিন্ন আধুনিক কৌশল শেখানো হয়। গুজব ছড়ানোর নানা উপায় সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া হয়। এ ঘটনায় দুজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। এর মধ্যে একজনের বাড়ি গোপালগঞ্জে।

 

নাশকতার ছকের অংশ হিসেবে মাইলস্টোন ট্র্যাজেডির মতো উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগাতে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে আওয়ামী ক্যাডারদের। সর্বশেষ ২২ জুলাই সচিবালয়ে আক্রমণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদের মধ্যে অভিষেক সিকদারসহ চারজনের অনলাইন যোগাযোগের সূত্র ধরে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে বিদেশে অবস্থানরত নেতাদের নির্দেশনায় ২২ জুলাই সচিবালয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পাশাপাশি শাহবাগ দখল করার পরিকল্পনা ছিল আওয়ামী লীগের। ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার খোরশেদ আলম গোপালগঞ্জ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। গ্রেপ্তার শাকিলও আওয়ামী পরিবারের সদস্য ও ছাত্রলীগে জড়িত।

 

চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম শানতু  বলেন, দেশবিরোধী যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রস্তুত। তাদের যে কোনো অপতৎপরতা ঠেকিয়ে দেওয়া হবে।

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, গোপালগঞ্জসহ যেখানেই অপরাধীরা থাকবে, অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সব সময় প্রস্তুত। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় সদা সজাগ।

ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী বলেন, সচিবালয়ে হামলা ও মাইলস্টোনের কাছে উত্তরা দিয়াবাড়ী এলাকায় বিক্ষোভে উসকানি ও মদতদাতারা রেহাই পাবে না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে।

 

 

(সূত্র: আমার দেশ)

ঘেরাওসহ নানা কর্মসূচির চিন্তা বিএনপির

স্টাফ রিপোর্টার:

এক দফা দাবিতে ফের জোরালো কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। দলটি তফসিলের আগে, অক্টোবরের মাঝামাঝিতে আন্দোলনকে চূড়ান্ত একটি পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে চায়। বিএনপির হাইকমান্ড কর্মসূচি নির্ধারণ নিয়ে গত রোববার সিনিয়র নেতাদের সাথে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে। এর ধারাবাহিকতায় গত রাতে স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়েছে। জানা গেছে, আন্দোলনের শেষ ধাপে ঘেরাওসহ নানা কর্মসূচির কথা ভাবা হচ্ছে। অক্টোবরের শুরু থেকে এই কর্মসূচি মাঠে গড়াতে পারে।
জানা গেছে, গত রোববার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হাইকমান্ডের সাথে তিন ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দলের সিনিয়র নেতারা আগামী দিনের আন্দোলন নিয়ে নানা মতামত দেন। তারা মনে করেন, নির্বাচনের তফসিল পর্যন্ত আন্দোলন কর্মসূচি টেনে নেয়া ঠিক হবে না। এর আগেই রাজপথে শক্ত কর্মসূচি দিয়ে এক দফার ফায়সালা করতে হবে।

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংবিধানে জাতীয় সংসদের মেয়াদ পূর্তির আগের ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ হবে। তার আগের ৯০ দিনের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন করতে হবে। সে হিসাবে, ১ নভেম্বর থেকে ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এই নির্বাচন করতে হবে। বিএনপির সিদ্ধান্ত হচ্ছে, সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে তারা।

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ১২ জুলাই থেকে এক দফার যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে বিএনপি। সর্বশেষ গত ২৫ ও ২৬ আগস্ট ঢাকাসহ দেশব্যাপী কালো পতাকা গণমিছিলের কর্মসূচি পালিত হয়। এরপর পয়লা সেপ্টেম্বর বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির কারণে যুগপৎ আন্দোলনে সাময়িক বিরতি ঘটে।

দলটির খসড়া আন্দোলন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী শুক্রবার থেকে পুনরায় মাঠে গড়াতে পারে এক দফার যুগপৎ আন্দোলন। আগামী দুই সপ্তাহ প্রতি শুক্র ও শনিবার মানববন্ধন, পদযাত্রা, গণমিছিল ও সমাবেশের মতো কর্মসূচি আসতে পারে। এই কর্মসূচি হতে পারে যৌথভাবে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে। আর সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে গিয়ে কর্মসূচির ধরনে আসতে পারে পরিবর্তন। সেই সময় ঢাকায় ফের মহাসমাবেশ, গণসমাবেশ বা বড় ধরনের কর্মসূচির চিন্তা রয়েছে হাইকমান্ডের। এর মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের ‘শেষ ধাপ’ শুরু হবে। তখন কর্মসূচি হবে ফের ঢাকাকেন্দ্রিক।

বিচারালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিয়ে শেষ ধাপের সেই আন্দোলন শুরু হবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে নির্বাচন কমিশন, গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সচিবালয়ের মতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘেরাওয়ের কর্মসূচি আসবে। সাথে টানা অবস্থানের কর্মসূচি দেয়ারও চিন্তা রয়েছে দলটির হাইকমান্ডের।

এক দফা আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, আমরা একটা ধারাবাহিক ও যুগপৎ আন্দোলনের ভেতরে আছি। নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন ও আন্দোলন কৌশল নিয়ে দুই-এক দিনের মধ্যে আমরা বিএনপির সাথে বসব। সম্ভাবনা আছে, অল্পদিনের মধ্যেই আমরা আবার যুগপতের কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে হাজির হতে পারব। আশা করছি, এবারের আন্দোলনে মাঝখানে আর বড় ধরনের বিরতি থাকবে না। শান্তিপূর্ণভাবে ধারাবাহিক ও টানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা আন্দোলনকে সফল পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারব।

জানা গেছে, গত রোববার রাতে দলের ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এবং যুগ্ম মহাসচিবদের মতামত নেয় বিএনপি। ওই বৈঠকে লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ ছাড়া সেখানে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান ও নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাথে ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক এবং যুবদলের সভাপতি ও ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি।

জানা গেছে, ওই বৈঠকে কয়েকজন নেতা বলেছেন, গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচি সফল না হওয়ার পেছনে সমন্বয়হীনতা ছিল।
ঢাকা মহানগরীর কর্মসূচিতে আশপাশের জেলা অংশ নিতে পারে। কিন্তু দূরের জেলার কাছে ঢাকার নেতাদের মতো কর্মদক্ষতা আশা করা ঠিক হয়নি।

চেয়ারপারসনের এক উপদেষ্টা বলেন, বৈঠকে পুলিশ স্টেশন, আদালত, সচিবালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাওয়ের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। কেউ কেউ ঢাকা ঘেরাওয়ের কর্মসূচির পক্ষে মতামত তুলে ধরেন। নেতারা আরো বলেন, রাজধানী ঢাকা ও এর আশপাশের জেলাকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বৈঠকে তিনজন নেতা তাদের মতামত দিতে গিয়ে বলেন, যেভাবে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলায় আদালত যেভাবে সাজা দেয়া শুরু করেছে, এর প্রতিবাদে আদালত ঘেরাও কর্মসূচি দিতে হবে। তবে দুই নেতা বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ চলমান আন্দোলন ঠিক পথে আছে। এই আন্দোলন অব্যাহত রেখে ঢাকা ও ঢাকার আশাপাশের জেলার সাংঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। কোনো অবস্থায় হঠকারী কোনো সিদ্ধান্তে যাওয়া যাবে না। শুধু ঢাকাকেন্দ্রিক নয়; আন্দোলন সফল করতে সারা দেশ নিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণে মতামত দেন। একজন নেতা বলেন, গত ২৯ জুলাই আন্দোলনের প্রথম ধাপ ছিল। এখন চূড়ান্ত ধাপে যেতে হবে। এই সময়ে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া পুনর্গঠন প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার জন্য মতামত দেয়া হয়।

বৈঠকে হাইকমান্ডের পক্ষ থেকেও আন্দোলন সফলে কড়া নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সামনের আন্দোলনে আর কোনো ভুল করার সুযোগ নেই। সমন্বিতভাবে ঘোষিত কর্মসূচি পালন করতে হবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান নয়া দিগন্তকে এ প্রসঙ্গে বলেন, বিএনপির চূড়ান্ত টার্গেট হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা। বিএনপি সেই লক্ষ্য নিয়ে অবিচলভাবে সামনে অগ্রসর হচ্ছে। সরকারের তরফ থেকে বিএনপির আন্দোলন ভুল পথে পরিচালিত করার চরম উসকানি রয়েছে। তারা এক দিকে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়ে বহিঃবিশ্বের কাছে ভুল বার্তা দিতে চায়, অন্য দিকে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা চালিয়ে আন্দোলন দমাতে চায়। তারা ভেবেছে অতীতের মতো এবারো এই ধরনের কূটকৌশল কাজে আসবে। আসলে তারা চরম ভ্রান্তির মধ্যে আছে। তিনি বলেন, বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে রাজপথে

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাত সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬১৯ ৩০ কোটি বছর আগে মহাকাশ থেকে ছুটে এসেছিল একটি বিশাল পাথর কুমিল্লায় হত্যার পর নারীর লাশ বেডশিট দিয়ে মুড়িয়ে খাটের নিচে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা দীর্ঘদিন পর গাজায় একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করলেন হাজারো ফিলিস্তিনি