নোয়াখালীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাস খালে নিহত ৭ জন

নোয়াখালীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইক্রোবাস খালে নিহত ৭ জন

নোয়াখালী সংবাদদাতা:

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে একই পরিবারের সাতজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন। বুধবার (৬ আগস্ট) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের আবুল খায়ের চেয়ারম্যান বাড়ির মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। চালক ঘুমিয়ে পড়ায় মাইক্রোবাসটি খালে পড়ে যায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহতরা হলেন ফয়েজুন্নেছা (৭০), খুরশিদা বেগম (৫০), কবিতা বেগম (৩৫), লাবনী বেগম (২৮), রেশমি আকতার (১১), মিম আককতা (৩) ও লামিয়া আকতার (৮)।নিহতরা ওমান প্রবাসী এক ব্যক্তিকে আনতে ঢাকায় গিয়েছিলেন। বিমানবন্দর থেকে ফেরার পথে তারা দুটি গাড়িতে করে লক্ষ্মীপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। একটি প্রাইভেটকার ও অন্যটি হাইস মাইক্রোবাস। ভোররাতের দিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছালে মাইক্রোবাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খালে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সাতজনের মৃত্যু হয়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি মো. লিটন দেওয়ান জানিয়েছেন, খাল থেকে মাইক্রোবাসটি তোলা হয়েছে। ঘটনাস্থলে আর কোনো মরদেহ নেই।

ওমান প্রবাসী বেঁচে আছেন। নিহতদের পরিচয় শনাক্তে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে। স্থানীয়রা জানান ভোর পৌনে ৬টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সে সময় লোকজন কিছু বুঝে উঠতে পারেননি। পরে আলো দেখে আশপাশের মানুষ এগিয়ে এসে মরদেহ উদ্ধারে সহায়তা করেন। নোয়াখালী চৌমোহনীর ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক জানান মাইক্রোবাসটিতে চালকসহ মোট ১১ জন যাত্রী ছিলেন। চালকসহ ৪ জন পুরুষ যাত্রী বের হয়ে আসতে পারলেও শিশু ও নারীরা মারা যান। খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে।

চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোবারক হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চালক ঘুমিয়ে পড়ায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খালে পড়ে যায়। কয়েকজন বের হতে পারলেও সাতজন ভেতরে আটকা পড়ে মারা যান। তাদের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মো. মনির হোসেন বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত দুটি মরদেহ পেয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে তারা ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। বাকিদের মরদেহও আসছে বিস্তারিত পরে বলা যাবে।

কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন ও ডিডি বিজয় কৃষ্ণ হালদারের দূর্নীতির বিরুদ্ধে কৃষকদের মানববন্ধন

মেহেরপুর প্রতিনিধি:

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন ও মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের দূর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে গাংনী উপজেলার সর্বস্থরের ক্ষতিস্তরের কৃষকবৃন্দ। কামরুল ইসলাম নামের একজনের কৃষকের স্বাক্ষরিত প্রেস নোটের মাধ্যমে জানতে পারি, পারিবারিক পুষ্টি বাগান, যশোর অঞ্চলের টেকসই প্রকল্পের ফল বাগান ও বিভিন্ন পার্টনার প্রকল্পের প্রদর্শনী প্লট, কৃষি প্রনোদনা সহ নানা সহযোগিতা দিয়ে থাকে। কিন্তু গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন যোগদানের পর থেকে কোথায় বাস্তবায়ন না করে লুটপাট শুরু করেছে।

তার নামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদারের কাছে অভিযোগ দিলেও কর্নপাত করেনি।

কৃষি অফিসারের তদারকি না থাকা ও ডিলারদের কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার কারনে নায্যমূল্যে সার পাওয়া যাচ্ছেনা। ষোলটাকা ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার মোঃ শহিদুল ইসলাম সহ উপজেলার সকল ডিলার মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার ও কৃষি অফিসার ইমরান হোসেনের সহযোগিতায় দীর্ঘদিন ধরে বাংলা টি এস পি সার সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রতি বস্তার মূল্য ১৩৫০ টাকা হলেও নেয়া হয় ২৩০০ টাকা। আবার বাংলা ডিএপি ১৩৫০ টাকার স্থলে ১৬৫০ টাকা থেকে ১৮৫০ টা এবং এম ও পি সার ১০০০ টাকার স্থলে ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকায় বিক্রয় করে থাকে। ক্রয় ভাউছার চাইলে সার বিক্রি হবেনা বলে জানিয়ে দেন।

এছাড়াও একই পরিবারের মধ্যে একাধিক বিসিআইসি ও বিএডিসি লাইসেন্স থাকার কারনে গাংনী উপজেলায় বরাদ্দকৃত সার জেলার বাইরে বেশি দামে বিক্রয় করতে পারে ডিডি ও কৃষি অফিসার এর সহযোগিতায়।মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অধিনে থাকা মেহেরপুর জেলার বরাদ্দকৃত অর্ধ কোটি টাকা লোপাট করেছে। অতএব কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার ও গাংনী কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেনের দূর্নীতির তদন্ত ও কৃষককে নায্যমূল্যে সার সরবরাহ ও ২০২৩ সালের কৃষি প্রনোদনা সহ সকল প্রনোদনা বিতরন এবং সরকারী বরাদ্দ তালিকা নোটিশ বোর্ডে প্রদর্শন করার দাবি জানায় চাষীরা এবং কৃষকরা মানববন্ধনে আরোও বলেন এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা না নিলে আমরা রাজপথে আন্দোলন করব । এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি জানান, কৃষকদের মানব বন্ধনে করা দাবি মিথ্যা, তবে বাস্তবে তার কথা সাথে সরে জমিনে কোন মিল নেই।কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার এর কথা হলে তিনি জানান, আমার কাছে কোন চাষী লিখিত অভিযোগ করেনি, আপনার দ্বায়িত্বশীল কোন তদারকি করেন কিনা সাংবাদিকদের এ প্রশ্নশুনে তিনি মোবাইল কেটে দেন।

 

সবা:স:জু- ২৯৩/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম