ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুরসহ ৪ পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ডেস্ক রিপোর্ট:

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা আমলে নিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। এই মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ ৪ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ এই মামলা আমলে নিয়ে পরোয়ানা জারি করেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এই মামলায় পাঁচজন আসামি। তাঁদের মধ্যে ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ চার আসামি পলাতক। তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। হাবিবুর ছাড়া ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম, রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মশিউর রহমান ও রামপুরা থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। এই মামলায় একজন আসামি গ্রেপ্তার আছেন। তিনি হলেন রামপুরা পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) চঞ্চল চন্দ্র সরকার। তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ১৭ আগস্ট।

মামলায় তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে। সেগুলো হলো গণঅভ্যুত্থানের সময় ১৯ জুলাই রাজধানীর রামপুরায় কার্নিশে ঝুলে থাকা যুবক আমির হোসেনকে গুলি, গুলি বাসিত খান মুসার (৭) মাথা ভেদ করে চলে যায়। এতে তাঁর দাদি মায়া ইসলাম মারা যান। একই দিন রামপুরায় মো. নাদিম নামের আরও একজন ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়।

হত্যার পর আগুনে পোড়ান শারমীনের মরদেহ

স্টাফ রিপোর্টার: 

ফারহান রনিকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছেন শারমীন বেগম (৪৭)। ফারহানের স্বজনের জায়গাতেই থাকতেন শারমীন ও তার স্বামী-সন্তানরা। পারিবারিকভাবে তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক। এ অবস্থায় শারমীনকে এভাবে পৈচাশিকভাবে হত্যার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না তার পরিবার।

ঘাতক ফারহানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন তারা।

হত্যাকাণ্ডের শিকার শারমীন বেগম উপজেলার হীরাপুর গ্রামের কলোনি এলাকার মো. নুরুল ইসলাম বেপারীর স্ত্রী। ঘটনার দিন ভোরে ওই নারীকে ডেকে নিজবাড়িতে নিয়ে যান ঘাতক ওই যুবক। এরপর হত্যার পর পুড়ে ফেলেন তার মরদেহ।

এ ঘটনায় শারমীন বেগমের বড় মেয়ে রুমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আজ বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১২টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় ফারহানকে আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ড নিয়ে ফারহান অসংলগ্ন কথা বলছেন। তিনি বলতে চাইছেন- শারমীন বেগম তাকে তাবিজ করেছেন।

তার এক মেয়েকে তিনি বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। এসব কারণে তিনি এটা করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়দিন ধরে ফারহানের বাবা যুবলীগ নেতা শাহনেওয়াজ ভূইয়া বাড়ির বাইরে অবস্থান করছেন। ফারহান মাদকাসক্ত। একই সঙ্গে তিনি চুরি, ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত। পরিবারও তার জ্বালায় অতীষ্ঠ।

শারমীন বেগম হত্যাকাণ্ড যেন সব পৈশাচিকতাকে হার মানিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) পুলিশ সেখানকার একটি পরিত্যক্ত ঘর শারমীনের পোড়া মরদেহ (কয়লা) উদ্ধার করে। তার দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করা মাথাটি উদ্ধার করা হয় পাশের একটি পুকুরের কাছে জমি থেকে। মাথাটিও গর্তে পুঁতে রাখা হয়েছিল। ঘাতকের দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে উদ্ধার করা হয় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি।

শারমীনের বড় মেয়ে রুমার দাবি, চুরি করা হাঁস রান্নার জন্য তার মাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। মা হয়ত এতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ কারণে ফারহান তাকে হত্যা করেন।

আখাউড়া থানার ওসি মে. ছমিউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘাতক ফারহান একেক সময় একেক কথা বলছেন। তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সকালে জ্বলতে থাকা আগুনের কাছাকাছি ঘুরঘুর করছিলেন ফারহান। এতে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেন তিনি। একই সঙ্গে মারতে তেড়ে আসেন। পরে স্থানীয়রা দলবদ্ধ হয়ে ওই যুবককে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এরই মধ্যে পাওয়া যায় পোড়া মানবদেহ। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে লোমহর্ষক হত্যার কাহিনী। উদ্ধার করা হয় দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করা মাথা।

 

সবা:স:জু- ৪৮৪/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম