কুমিল্লা হাউজিং এস্টেটের অফিস সহকারী রফিকুল ইসলামের দূর্নীতি

মোঃ আবুল কালাম মজুমদারঃ

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কুমিল্লা হাউজিং এস্টেট অফিসের অফিস সহকারী মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে নানারকম অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
কুমিল্লা হাউজিং এস্টেটের বাসিন্দা অনেকে মোঃ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূ্ত্রে জানা জায় অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম ভুয়া চালান কপি জমা দিয়ে একটি প্লট এ ১২,৯৩,৭০০/( বার লক্ষ তিরানব্বই হাজার সাত শত টাকা আত্নসাৎ করেন। স্হানীয় সূ্ত্রে জানা যায় মোঃ রফিকুল ইসলাম গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কোটি কোটি টাকা দূর্নীতির মাধ্যমে আত্নসাৎ করে বিশাল সম্পদের মালিক হয়েছেন।।
অভিযোগ সূ্ত্রে আরো জানা যায় যে সে ( রফিক) দীর্ঘ ১২-১৫ বছর ধরে কুমিল্লা হাউজিং এস্টেট অফিসে বদলী ছাড়াই একই চেয়ারে বসে ভিবিন্ন ভাবে মানুষের কাছ টাকা নিয়ে থাকেন। তার টাকা নেওয়ার কৌশল হল সে ( রফিক) দাপ্তরিক নথি নিজে লুকিয়ে রেখে হারিয়ে গেছে বলে মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিত, যার কারনে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ প্রধান কার্যালয় থেকে মোঃ রফিকুল ইসলামকে কস্বারক নং ২৫৩৮,১৯৩৩,৬৩৯,০০২১,২৮। তারিখ ০৪/০৪/২১ ইং হারানো নথি খুজে বের করার জন্য একটি কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়। কিন্তু এর পরও তার (রফিকুল) এর দূর্নীতি বন্দ হয়নি।তদন্ত সূ্ত্রে আরো জানা যায় বর্তমানে হাউজিং এস্টেটের কাসেম মন্জিল, প্লট নং -৭ ব্লক – এন সেকশান-২ এই প্লটটি ভুয়া চালানে মাধ্যমে নামজারী করে থাকে পরবর্তীতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে প্লটটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এভাবে একজন অফিস সহকারী হিসাবে সে তার নামে ও বেনামে অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ সোসাইটি এর সদস্য সচিব রিয়াজ মোর্শেদ মাসুদ বলেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের যেসব কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলামকে সহযোগিতা করেছে তাদের কে সহ প্রশাসনিক ব্যবস্হাগ্রহনের জন্য অনুরোধ জানান।
পরবর্তিতে তথ্য সহকারে বিস্তারিত আরো!…… আসছে।

রাজউকের ধনকুবের খ্যাত শত কোটি টাকার মালিক মোবারক হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-২ এর পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ও ঢাকায় একাধিক আলিশান বাড়ি ও প্লট, গ্রামের বাড়িতে রয়েছে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ বনে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মোবারক হোসেন মহাখালী জোন-৪ অথরাইজড থাকাকালীন, মিরপুর-১ ও ১০, মার্কেট পরিচালনা কমিটি, বিভিন্ন ডেভলপার কোম্পানি ও বাড়ির মালিকদের থেকে উচ্ছেদ অভিযানের চিঠি দিয়ে ও উচ্ছেদের ভয় দেখিয়ে মার্কেট ও বাড়ি মালিকদের থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা যায়, তৎকালীন মোবারক হোসেন অথরাইজড দায়িত্ব থাকা অবস্থায় তিনি নিয়ম-নীতি তোয়াক্কার না করে অবৈধভাবে শত শত প্লান পাস করে দিয়ে। অবৈধভাবে উৎকোচের মাধ্যমে বিত্তবান হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি রাজউকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, উচ্ছেদ অভিযানের নামে নামমাত্র মার্কেট ও ভবন ভেঙ্গে চলে যেতেন। পরবর্তীতে তার ঘনিষ্ঠ পরিদর্শক ও আত্মীয়দের মাধ্যমে এবংতার দালাল সিন্ডিকেট দিয়ে ভবন মালিকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে থাকেতেন মোবারক হোসেন।
বর্তমান এই প্রকৌশলী রাজউক (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-২) এর পরিচালক হওয়ার পর থেকে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ছেন। এখনোও তিনি বিভিন্ন ভবন মালিকদের কাছ থেকে অবৈধ ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে গোপনে ভবন নির্মাণের অনুমতি প্রধান করেন। শুধু তাই নয়, এই কর্মকর্তার রয়েছে বিশাল ক্ষমতাসীল একটা সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র। এই কর্মকর্তার দখলে রয়েছে, মহাখালী জোন-৪ ও রাজউকের প্রধান কার্যালয় সহ সেবা প্রার্থীদেরকে জিম্মি করে রেখেছেন পরিচালক মোবারক হোসেনের সিন্ডিকেট ও দালাল চক্র। এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দুর্নীতি অনিয়মে শত শত অভিযোগ রয়েছে।
আরো জানা যায়, ঘুষ বাণিজ্য অনিয়ম স্বেচ্ছারিতা ও অবৈধভাবে অর্জিত কালো টাকায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত পাঁচ বছর আগে ২০১৭-১৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক প্রকৌশলী মোঃ মোবারক হোসেনকে ও তার স্ত্রীকে অনুসন্ধানের বিষয়ে নোটির জারী করেন।
দুদকের সূত্রে জানা যায়, এবার স্ত্রীকে বাদ দিয়ে পুনরায় গত ৩০/০৭/২০২৩ ইং তারিখে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-২ এর পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ মোবারক হোসেনেকে স্বেচ্ছারিতা ও অবৈধভাবে অর্জিত কালো টাকায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধানের বিষয়ে নোটির জারী করেন। দুদকের প্রধান কার্যালয় উপস্থিত হওয়ার তারিখ ছিল ০৮/০৮/২০২৩ ইং তারিখে। দুদকের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
আর এসব অনিয়ম দুর্নীতি বিষয়ে গত কয়েক মাসে, উত্তরা দিয়াবাড়ির বাসিন্দা মোঃ আব্দুস সালাম, পিতা-জামাল উদ্দিন, মাতা-সালমা, বাসা নং-১৫৬, দিয়াবাড়ি, তুরাগ ঢাকা। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ-২ এর পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে আবেদন করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,
১। ফ্ল্যাট নং-এ–৪, বি-৪, প্লট নং- ৪৩, রোড নং- ৯, সেক্টর -১৩, উত্তরা, ঢাকা। উক্ত বাসাটি সাড়ে ৮ তলা, চারতলা দুটি ফ্লাট রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা।
২। জি -ব্লকে, রোড নং- ৩/এ, সেক্টর -১৫, উত্তরা, ঢাকা। ৩ কাঠার একটি প্লট রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা।
৩। ২। জি -ব্লকে, এভিনিউ রোডে নং-৯, সেক্টর -১৫, উত্তরা, ঢাকা। ৩ কাঠার একটি প্লট রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৬ কোটি টাকা।
৪। মৌজা দিয়াবাড়ি, হরিরামপুর, তুরাগ ঢাকা। ০৫৭৮ অযুতাংশ জমি রয়েছে। টিন সেটে বাড়িটির যার বাজার ৩ কোটি টাকা।
৫। আরেটি টিন সেট বাড়ি রয়েছে, মৌজা দিয়াবাড়ি, হরিরামপুর, তুরাগ ঢাকা। ০২০৬ অযুতাংশ জমি রয়েছে। টিন সেটে বাড়িটির যার বাজার ৩.৫ কোটি টাকা।
৬। মৌজা হাটগ্রাম, দাগ নং- ৪৬০৪, ২৩ শতাংশ জমিতে, থানা-ভাংগুড়া, জেলা-পাবনা। টিন সেট বাড়ি রয়েছে, যার বাজার কোটি টাকা।
৭। খালি জমি পরিমান, মৌজা হাটগ্রাম, দাগ নং- ৬৫৪৭, জমি পরিমান ১০.৫ শতাংশ, থানা-ভাংগুড়া, জেলা-পাবনা। যার বাজার কোটি টাকা।
৮। এছাড়াও তার স্ত্রীর নামে রয়েছে দামি গাড়ি যার বাজার মূল্য প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা, উক্ত গাড়িটির নাম্বার-DHAKA METRO CHA-16-0555


তার পরিবারের নামে বেনামে থানা-ভাংগুড়া, জেলা-পাবনা সহ বিঘায় বিঘায় জমি রয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা জমা রয়েছে। যা তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ পাওয়া যাবে। তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে থলের বেড়াল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে, রাজউকের একজন কর্মকর্তা জানান, সপরিচালক প্রকৌশলী মোঃ মোবারক হোসেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে, এবং চেয়ারম্যান, সচিব, রাজনৈতিক ব্যক্তিদের নাম ভাঙ্গিয়ে অনিয়ম- দুর্নীতি করে আসছেন।
বিশ্বস্তসুত্রে জানা যায় যে, নামে বেনামে ঢাকার বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর করা আছে। উক্ত এফডিআর এর পরিমাণ কোটি টাকার মত। মোঃ মোবারক হোসেনের এলাকাবাসি সূত্রে জানাগেছে, মোঃ মোবারক হোসেনের শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক। আইনগত ঝামেলা এড়ানোর জন্যে নিজের স্ত্রী ও আত্মীয় স্বজনের নামে সম্পদ গড়েছেন। তার পরিবার ও আত্বীয় স্বজনের সম্পদ ও ব্যাংক ব্যালেন্স তদন্ত করলেই প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্টগণ মনে করেন।
রাজউকের মোঃ মোবারক হোসেনের আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের তদন্তের জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন রাজউকের সাধারণ কর্মচারীগণ। ইতোমধ্যে অবৈধ সম্পদ ও দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে আবেদন জমা পড়েছে।
এবিষযে তার মন্তব্য জানতে বার বার মোবাইলে ফোন করে এবং খুদেবার্তা দিয়ে কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের