সরকারের লোকজনই আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন

স্টাফ রিপোর্টার॥

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সবাইকে আচরণবিধিমালা মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সরকারের লোকজনই আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করছেন বেশী।

রোববার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মো. আলমগীর বলেন, সব প্রার্থীকে আচরণবিধি মেনে চলার জন্য বলা হয়েছে। মেনে চলতে তারা বাধ্য। আমরা কমিশন থেকে যেটা অনুরোধ করেছি, সবাই যেন বিধিমালা মেনে চলেন। তারপরও কারো কারো মধ্যে দেখা যাচ্ছে, কিছুটা হলেও কৌশল করে না মানার একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্লিপস, গণমাধ্যমের সূত্র আমাদের কাছে আসছে, যেখানে কোনো কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে আচরণবিধি না মানার প্রবণতা দেখছি।

তিনি বলেন, আজকে আমরা বসেছিলাম। যে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেটা হলো– যারা সরকারে থাকেন তারাই আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করে থাকেন, সরকারে যারা থাকেন আরও দায়িত্বশীল আচরণ আশা করি আমরা। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সরকারি দলের দায়িত্বও অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে আমরা যেটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, কেবিনেট সেক্রেটারিকে আমরা একটা পত্র দেব উনি যেন এটা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সম্মতি নিয়ে মাননীয় যারা মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য আছেন, তাদের যেন অন্তত অনুরোধ রাখেন যেন এ ধরনের কোনো আচরণবিধি ভঙ্গ না হয়। একইভাবে সরকারি দল যেহেতু আওয়ামী লীগ, এই দলের সাধারণ সম্পাদককেও আমরা চিঠি দিয়ে অনুরোধ করব যে গাসিক সিটি সংসদ নির্বাচনের প্রারম্ভে হচ্ছে, এই নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য-নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য তাদের দায়িত্ব আরেকটু বেশি। দলের যারা আছেন তারা যেন আচরণবিধি মেনে চলেন, সে নির্দেশনা দেন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শোডাউন করেছেন– এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রার্থীকে ইসির পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হবে। আজমত উল্লাহ সাহেবকে কারণ দর্শানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। উনি কেন আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, তার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। কমিশনে এসে উনাকে ব্যাখ্যা দিতে হবে।

মো. আলমগীর বলেন, কেবিনেট সচিবকে অনুরোধ করে চিঠি দেওয়া হবে। কেননা, আমরা যে সমস্ত চিঠি জারি করি বা আইনে কি আছে সেটা হয় ওইভাবে সবাই দেখেন না, এজন্য এটা দেওয়া হবে যেন সবাইকে তিনি অবহিত করেন। আজই চিঠি দেওয়া হবে।

ভোজ্যতেলের দাম না বাড়ালে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতি হতো

স্টাফ রিপোর্টার: 

লিটারপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম ৮ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। হঠাৎ করে এত দাম বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যায় বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, বাস্তবতা মেনে নিয়ে এটি করতে হয়েছে। তা না হলে সরবরাহে বড় ঘাটতি তৈরি হতো। দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির কারণ হয়ে যেত।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে ইআরএফ–প্রাণ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড–২০২৪ অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন এসব কথা বলেন।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমার কাজ হচ্ছে, পণ্যের সরবরাহ ও জোগানে ঘাটতি হলে আমদানি করে হলেও বাজারকে স্থিতিশীল করা। গতকাল আমরা ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়েছি। এটাকে বাস্তবতা মেনে নিয়ে আমরা বাড়িয়েছি। যদি এটা না বাড়াতাম তবে সরবরাহে বড় একটা ঘাটতি তৈরি হতো।’

তিনি বলেন, ‘আমি রমজানের জন্য আপনাদের সুখবর দিতে চাই। ইনশা আল্লাহ আমি আশা করি, আগামী রমজানে প্রয়োজনীয় যেসব পণ্য রয়েছে যেমন: খেজুর ছোলা, তেল বা অন্যান্য পণ্য এগুলোর দাম বাজার স্থিতিশীল থাকবে অথবা নিম্নগামী থাকবে।’

তবে বাজারে আলুর দাম কমাতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা ঠিক যে আমরা আলুর দাম কমাতে পারিনি, এ ক্ষেত্রে আমাদের ব্যর্থতা রয়েছে। এ বছর থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী বছর আরও ভালো করব এই প্রতিশ্রুতি আমি আপনাদের দিচ্ছি।’

বিশেষ খাদ্যপণ্যে সিন্ডিকেটের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘সিন্ডিকেট নিয়ে যে আলোচনাটা হয়, অবশ্যই এটা ঠিক। তেল বা চিনির বাজারে মুষ্টিমেয় কিছু উৎপাদক বা আমদানিকারক এ ক্ষেত্রে কাজ করে। তার মধ্যে সর্ববৃহৎ যে, তিনি কিন্তু দেশে থেকে পালিয়েছেন। যিনি বাজারের বড় একটা অংশ ম্যানেজ করতেন। তিনি কিন্তু আট–দশটা ব্যাংকও মেনেজ করতেন। তিনি পালিয়ে যাওয়ার ফলে সরবরাহে এই যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে ওই তুলনায় বাজারে আপনারা রিঅ্যাকশন টের পাচ্ছেন না। কারণ আমরা দিনান্ত চেষ্টা করছি সরবরাহ ঠিক রাখতে। অবশ্যেই এ ক্ষেত্রে আল্লাহর রহমত ও বরকত পাচ্ছি।’

আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর প্রসঙ্গে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যদি গতকাল তেলের দাম বাড়ানোর বাস্তবমুখী সিদ্ধান্তটা না নিতাম, তবে দীর্ঘ মেয়াদে এটা ক্ষতির কারণ হয়ে যেত।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পাঁচজনের পরিবারে প্রতি মাসে ৫ লিটার তেল ব্যবহার হয়। দাম বাড়ানোর কারণে মাসে ৪০ টাকা খরচ বেড়েছে। অবশ্যই এটা কষ্টের। তবে আমরা চেষ্টা করছি অন্য কোনো পণ্যের মাধ্যমে এই খরচটা সমন্বয় করার। সেটা চিনি বা ডালের দাম কমিয়ে হতে পারে। তবে এটার জন্য আমাকে প্রচুর কাজ করতে হবে। যার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাচ্ছি না, কারণ আমাকে অনেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকতে হয়।’

ইআরএফ–এর সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মৃধার সভাপতিত্বে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, কার্যনির্বাহী সদস্যগণ, অ্যাওয়ার্ডের বিচারকগণ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের আমন্ত্রিত সাংবাদিকেরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সবা:স:জু- ২৯৮/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া