অটো রিকশা ইজিবাইকে সয়লাব ডেমরা-যাত্রাবাড়ী এলাকায়

সোহরাওয়ার্দীঃ

রাজধানীতে চাঁদাবাজদের সংঘবদ্ধ চক্র নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও অটোরিকশা সচল রেখেছে। ফলত ইজিবাইক ও অটোরিকশায় রাজধানী সয়লাব হয়ে পড়েছে। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এগুলো বন্ধ করার উদ্যোগ নেই, বরং দিন দিন এগুলোর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েই চলেছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে যানজট, ভোগান্তি। চলমান বিদ্যুৎ সংকটের অন্যতম কারণ এসব ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক অটোরিকশা গুলো।

জানা গেছে, যানজটের নগরী ঢাকার ব্যস্ততম রাস্তা দখল করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (অটোরিকশা) ও ফিটনেসবিহীন লেগুনার স্ট্যান্ড। ফলে তীব্র যানজটের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন পথচারীরা। অপরদিকে এসব যানবাহনকে পুঁজি করে ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও পুলিশ দৈনিক লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ডেমরা, যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার অলি গলিতে অবাধে চলছে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশা। পুলিশের চোখের সামনেই এগুলো দেদার চলাচল করছে, অহরহ যানজট বাঁধাচ্ছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্যও চরম ভোগান্তির সৃষ্টি করছে ইজিবাইক। প্রায়ই ঘটাচ্ছে দুর্ঘটনা। তবুও নিষিদ্ধ এ যানবাহনগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, জনবলের অভাবে রাজধানীর সব এলাকায় এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তারপরও বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্টের অভিযানে বহু অটোরিকশার মোটর খুলে ফেলা এবং অনেক ইজিবাইক ডাম্পিংয়ে পাঠানোর দাবি করেন ওই কর্মকর্তা। কিন্তু বাস্তবে প্রতিটি রাস্তা, অলিগলি সয়লাব হয়ে পড়ছে নিষিদ্ধ অটো-ইজিবাইকে।

জিপিও-শিক্ষা ভবন সড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার: 

সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জিপিও থেকে শিক্ষা ভবন পর্যন্ত সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে। এই সড়কে শুধু ফায়ার সার্ভিস ও আইশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া অন্য সব গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর। রাত ২টার পর থেকে সচিবালয়ের সামনের রাস্তায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, “আগুন লাগার পর রাত ২টার দিকে আমরা সচিবালয়ের সামনের দুই পাশের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি।

“শুধু ফায়ার সার্ভিস ও আইশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া অন্য সব গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে।”

আগুন লাগার পরপরই পুরো সচিবালয় এলাকায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যদের নিয়োজিত করা হয়। বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, সচিবালয়ে আগুন লাগার পর সেখানে ২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানান, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগার খবর বুধবার রাত ১ টা ৫২ মিনিটে পান তারা।

দুই মিনিটের মধ্যে তাদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ শুরু করেন। প্রথমে আটটি ইউনিট কাজ শুরু করলেও পরে আরো ১১টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে যোগ দেয়। আগুন নেভানোর কাজে নিয়োজিত ফায়ার ফাইটার নয়ন পানির লাইন দিতে রাস্তা পার হওয়ার সময় ট্রাক চাপায় গুরুতর আহত হন। তাকে চাপা দিয়ে ট্রাকটি পালিয়ে যায়।

পরে হাসপাতালে নয়নের মৃত্যু হয়।

এদিকে, আগুন লাগার ৫ ঘণ্টা পর ফায়ারের ১৯টি ইউনিটের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। খুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা মো. শাহজাহান শিকদার। তিনি জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

সবা:স:জু- ৫১০/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম