বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা

হাফসা আক্তার:
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক ইউনিট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে সংগঠনটি। শুক্রবার সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল এ কমিটির অনুমোদন দেন।
গত বছরের ৩০ জুন মো. আবু হোরায়রা সভাপতি ও এম রাজিবুল ইসলাম তালুকদার বিন্দুকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫ সদস্যের আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় পর এ কমিটিকে পূর্ণাঙ্গ করা হলো।

একইদিন এই ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত দেশের নয়টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও নতুন করে ২১টি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আংশিক আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি আবু হোরায়রা এবং সাধারণ সম্পাদক এম রাজীবুল ইসলাম তালুকদার বিন্দু।

অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো:

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, নর্দান ইউনিভার্সিটি, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি, প্রাইম ইউনিভার্সিটি, গ্রীন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা), ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এন্ড সাইন্স, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি, সোনারগাঁও বিশ্ববিদ্যালয়, রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় ও সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

এর আগে গত ১৪ নভেম্বর ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটি দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো-

১. নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ছাত্রদল।

২. উওরা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।

৩. ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ শাখা ছাত্রদল।

৪. স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি ছাত্রদল।

৫. ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শাখা ছাত্রদল।

৬. বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।

৭. ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ শাখা ছাত্রদল।

৮. ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক শাখা ছাত্রদল।

৯. ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ শাখা ছাত্রদল।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মোট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যা প্রায় ১০৯টি। এর মধ্যে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা হলো। বাকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কমিটিও খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ঘোষণা করা হবে বলে জানান নেতারা।

মিরপুর ১৩ বিআরটিএ দূর্নীতির চিত্রও কথা!

রাহিমা আক্তার মুক্তাঃ

বাংলাদেশ রোড ট্যান্সপোর্ট অথরিটি বিআরটিএ মিরপুর ১৩, পরিচালক মোঃশহিদুল্লাহ্ (ইন্জিঃ)এর পাশের রুমে বসেই রোড পারমিট শাখার দ্বায়িত্বে থাকা সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন (ইন্জিঃ) এর নিয়ন্ত্রণে তারই সেকশনের দ্বায়িত্বে থাকা সহকারী অফিসার মোঃ আব্দুর রহিম, মোঃ সাহেদ দের ছত্র ছায়ায় বহিরাগত দালাল ও প্রতারক চক্রের সদস্যদের দিয়ে, অফিসের টেবিল চেয়ারে বসিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার বানিজ্য করে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে আব্দুল্লাহ্ আল মামুন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে, তিনি বলেন বিভিন্ন কম্পানীর লোক আসে।
আমরা সরেজমিন এ দেখতে পাই, অফিস ছুটির সময় পার হওয়ার পরে ও প্রায় রাত পর্যন্ত ওই রুম সহ বিভিন্ন রুমে লোকজন দেখা যায়।
আমাদের অনুসন্ধান অনুযায়ী একটি পিকআপ গাড়ি রোড পারমিট করার জন্য
এক লোক আসে মিরপুর বিআরটিএ, তাহার কাছে জানা ছিলোনা যে সরকারি টাকা জমা দেওয়ার পরে ও দুই হাজার টাকা অফিসে ঘুষ না দিলে কাজ হয়না।
ভুক্তভোগীর নাম মোঃ দেলোয়ার হোসেন, বাড়ি উজিরপুর বরিশাল।
কাগজ পত্র জমা দিলো রোড পারমিট শাখার মোঃ আব্দুর রহিম এর টেবিলে, তিনি কাগজ পত্র দেখে বললেন, পাশের চেয়ারের ওনার সাথে কথা বলেন,ওনার সাথে কথা বলতে গেলে
তিনি বললো, তৃতীয় নাম্বার চেয়ারে বসা আর একজনকে দেখিয়ে ওই সাহেব আলীর ওনার সাথে কথা বলেন।
সাহেব আলী স্যার আমাকে দরজার সামনে ইশারায় ডাকলো, বললো দুই হাজার টাকা দিতে হবে, পিক-আপের রেড অফিসে দুই হাজার টাকা, তিনি বললো স্যার কাগজে কোথাও ভুল আছে
কিনা, সে বললো ভুল না কিন্তু নিজ মালিক আসতে হবে, ভুক্তভোগী বললো স্যার এটা আমাদের কোম্পানীর গাড়ি, সাহেব আলী স্যার বললো এটা কাজের খরচ আমাদের সাথে কথা না বলে উপড়ে যান।
সহকারী পরিচালক এর রুমে।
তারপরে ভুক্তভোগী উপরের রুমে গেলো,
স্যার নিচ থেকে পাঠানো হলো আপনার রুমে, স্যার বললো আপনি নিচে যান, এটা নিচের রুমে দেখে আপনাকে স্লিপ করে দিবে।

ভুক্তভোগী সকাল ১১.০০ থেকে দুপুর ১.০০ পর্যন্ত ঘুরতে থাকে।
পরে আবার সাহেব আলীর কাছে গিয়ে বললো স্যার ৫০০ টাকা দিলে কি করে দেওয়া যায়,স্যার বললো আমার কিছুই কারার নেই, আরো কিছুক্ষন ঘোরার পরে, বাসায় ফোন করে এক হাজার টাকা আনলাম।
তারপরে পুনরায় সাহেব আলী স্যারের কাছে গিয়ে বললাম, স্যার ১০০০ টাকা দিলে কি করে দেয়া যায়,
তিনি জবাবে বললো যে দিন টাকা হবে সে দিন করবা।
আমি বের হয়ে ওই কাজের জন্য বাহিরের দালাল ধরলাম,দালালের সাথে ১৫০০ টাকা কন্টাক্ট হলো, ওনি ১ ঘন্টায় আমাকে স্লীপ করে দিবে।
প্রায় দের থেকে ২ ঘন্টায় স্লীপ এর কোন হদিস মেলেনা।
এমতো অবস্থায় দালালের সাথে হইচই করা অবস্থায় তার সামনে যাই।
ভুক্তভোগীর কথা শুনে বললাম চলেন দেখি আপনার জন্য কি করা যায়।

ভুক্তভোগীর কাছ থেকে ফাইল নিয়ে সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ্ আল মামুন এর কাছে যাই,তাকে বললাম এই গাড়িটির রোড পারমিট স্লীপ এর জন্য নিচের রুমে গিয়ে ছিলাম, বললো উপরের কথা, আব্দুল্লাহ্ আল মামুন কাগজ পত্র দেখে বললো কম্পানীর সীল নাই, সীল নিয়ে আসেন করে দিবো।

আমরা চলে আসলাম, ভুক্তভোগীকে বললাম আপনার কম্পানীর সীল লাগবে।
পরবর্তীতে ভুক্তভোগীর তথ্য অনুযায়ী আমরা ভুক্তভোগীকে অফিস সহকারী মোঃ সাহেদ এর কাছে ১৫০০ টাকা ও কাগজ পত্র জমা দিতে বললাম। তিনি অফিস সহকারী আব্দুর রহিম এর পাশে বসা ছিলো, ভুক্তভোগী ফাইলের সাথে ১৫০০ টাকা দিলো, মোঃ সাহেদ বললো সাহেব আলীকে দেখতো উনি কি বলে, দেখো স্লীপ টা করে দেওয়া যায় কিনা।
এরপরে ১৫০০ টাকা নিয়ে স্লীপ টি করে দিলো।
যে স্লীপ টির গায়ে মোঃ আব্দুর রহিম (উচ্চমান সহকারী আইডি নং -১৯৯২৩৬০০১২ বিআরটিএ বিভাগীয় অফিস ঢাকা বিভাগ) এবং মোঃ আব্দুল্লাহ্ আল মামুন ( সহকারী পরিচালক ইন্জিঃ আইডি নং ২০১৮১০২১৩৭ বিআরটিএ ঢাকা বিভাগ মিরপুর ১৩ ঢাকা)
লেখা ছিলো সাইন দেখা যায়।

এর পরের দিন আমাদের অনুসন্ধানে দেখা যায়, উক্ত রোড পারমিট শাখায় সরকারি কর্মকর্তা না হয়েও নিয়মিত দলাল ও প্রতারক সাহেব আলী, আলাউদ্দিন, মনসুর, নয়ন,মধু এরা ঘুষ লেনদেনের কার্যক্রম চালাচ্ছে সরকারি টেবিল চেয়ার ব্যবহার করে।

পরবর্তীতে আমাদের একটা গাড়ি রোড পারমিট করবো বলে আমাদের এক ভাই তাহার কাছে বললাম আপনার একটি গাড়ির মেয়াদ আছে দুই তিন দিন, আপনার রোড পারমিট টা আমরা করে দিতে চাই,
ভাইকে বললাম আমাদের একজন লোক আপনার সাথে যাবে,আপনি গাড়ি সহ সঠিক কাগজ পত্র নিয়ে আসবেন।
সে প্রশ্ন করলো গাড়ি লাগবে, আমি বললাম কেন তোমার গাড়ি না নিয়ে শুধু কাগজ পত্র ও সরকারি জমা দিয়ে ফাইল দিলে যদি ঘুষের জন্য গাড়ির অযুহাত দেয়, ঘুষ ছারা সরকারি ভাবে আপনার স্লীপ করে দিবো।
আমাদের একজন লোক ও কম্পানীর প্রতিনিধি সীল সহ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী গাড়ি হাজির করে,
মোঃ আব্দুর রহিম এর কাছে দেই
রহিম বললো এখন লাঞ্চ এর সময় হইছে ২ টার পরে এসে স্লীপ নিবেন।

দুইটার পরে গেলাম, আব্দুর রহিম বলে তিন টার সময় আসেন স্লীপ সাইন করতে উপরে পাঠাইছি।
আমরা এবার কম্পানীর ভাইকে একা পাঠালাম তিনি আব্দুর রহিম এর কাছে যাওয়ার পরে তিনি বললেন,
আপনার টাকা জমা কম আছে আরো ৮৪০ টাকা জমা দিতে হবে। তিন টা বাজে ব্যাংক বন্ধ হয়ে যায়, ভাই আমাকে ফোন দিলে আমরা ব্যাংকের ম্যানেজারকে অনুরোধ করে টাকা টা জমা দেই ।
জমা স্লীপ নিয়ে আবার আব্দুর রহিম এর কাছে যায়, আব্দুর রহিম বলে আরো আধা ঘন্টা পরে এসে স্লীপ নিয়ে যান।

এরপরে আব্দুর রহিমের কাছে গেলে দেখি সে টেবিলে নেই, মোঃ সাহেদ বললো
সাহেব আলী দেখতো ওনার ফাইলে কি ঝমেলা। সাহেব আলী বলে স্যার ১৭৩
টাকা জমা কম আছে,
তখন সময় ৪.০০ ব্যাংক ক্লোজ।
কোম্পানীর ভাইটা হইচই শুরু করে আমাকে প্রথম লিখে দিলেন ৮৯১৯ টাকা জমা, পরে ৮৪০ টাকা জমা,পরে লিখে দিলেন ১৭৩ টাকা জমা, বৃহাস্পতিবার স্লীপ না হলে তো গাড়ি চলবেনা।

উক্ত সেকশনে দূর্নীতি তালিকা ঃ- রুটপারমিট কাগজ পত্র করার জন্য- সি এন জি ২৫০০/৩০০০ টাকা, পিকআপ ভ্যান ১৫০০/২০০০ টাকা, বাস ৫০০০/১০০০০ টাকা, মাইক্রোবাস ১০০০/১৫০০ টাকা, ট্রাক ৩০০/৫০০০ টাকা

আমার ভাষায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সোনার বাংলাদেশ সরকারি অফিসের দূর্নীতি বাজ আফিসারা করলো শেষ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি