নেছারাবাদে ব্যাংক কর্মচারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

 

মো:সোহেল মোল্লা। নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি।

উপজেলার মিয়ারহাট বন্দর থেকে ইকবাল হোসেন নামে এক ব্যাংক কর্মচারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে নেছারাবাদ থানা পুলিশ।ইকবাল হোসেন ইসলামী ব্যাংক মিয়ারহাট শাখায় ম্যাসেন্জার কাম গার্ড পদে কর্মরত তার বাড়ি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার হাইডগাও গ্রামের ৬নং ওয়ার্ডে বলে জানা যায়।২মাস আগে তিনি চাকরি সুবাদে মিয়ারহাট বন্দরের খাল পাড়ে বুলবুল সাহেবের ভাড়া বাসায় ওঠেন।গত রাতেওতিনি ঐ বাসাতেই ছিলেন। শনিবার বিকাল ৪টায় পাশের বাসার নাইম কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা নক করে।দরজা ভিতর থেকে বন্দ থাকায় কোন একটা ঝামেলা মনে করে পুলিশে খবর দেয়।পুলিশ এসে দরজা ভেন্গে ফ্যনের সাথে গলায় ফাঁস দেয়া অবস্হায় ইকবাল হোসেনের লাস উদ্বার করে।প্রেমগটিত কারনে ইকবাল আত্মহত্যা করতে পারে বলে পুলিশ মিডিয়া কর্মীদের জানান।লাস সুরতহালের পরে ইকবালের আত্মাীয়সজনের কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান নেছারাবাদ থানা পুলিশ উপপরিদর্শক আলমগীর।

মির্জাগঞ্জে হতদরিদ্রের চাল বিতরণে চেয়ারম্যান লাবলুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ!

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

বিঘা বিঘা জমি,পাকা পাকা ঘর বাড়ি,লাখ লাখ টাকার সম্পাদের মালিক,স্বচ্ছল ব্যবসায়ীসহ বিত্তবানরা পাচ্ছেন মির্জাগঞ্জে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যবন্ধব কর্মসূচির চাল। আছে অন্য উপজেলার বাসিন্দার নামও। এসবই হচ্ছে মির্জাগঞ্জের খাদ্যবন্ধব কর্মসূচির তালিকায়। এছাড়াও চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের স্বজনদের নামে পরিপূর্ণ করা হয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা। তালিকায় নাম এক ব্যক্তির, অথচ চাল তুলছেন অন্য ব্যক্তিরা। এ উপজেলার খাদ্যবন্ধব কর্মসূচির তালিকা দেখলে মনে হবে এখানে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে। হতদরিদ্রদের চাল বিতরনে এমনই অভিযোগ উঠেছে উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। প্রকৃত দরিদ্ররা বঞ্চিত হচ্ছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধা থেকে। তবে ওই সকল জনপ্রতিনিধিরা সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে অস্বীকার করছেন ।

অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, উপজেলার মাধবখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী মো. মিজানুর রহমান লাভলু তার ইউনিয়নে হতোদরিদ্রদের তালিকায় নাম অন্তর্ভূক্ত করার জন্য, প্রতি কার্ড বাবদ তিন থেকে চার হাজার টাকা আদায় করেছেন। আবার টাকা দিয়েও তালিকায় নাম মেলেনি অনেকের। তবে টাকা নেওয়ার বিষয়টা অস্বিকার করেছেন চেয়ারম্যান লাভলু। আমাদের হাতে আসা কর্মসূচির তালিকায় থাকা ওইসব হতদরিদ্রের খোঁজ নিতে গেলে দেখা যায়, মাধবখালী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের মো. সুমন রেজা তার নাম রয়েছে হতদরিদ্রের তালিকায়, কিন্তু তিনি থাকেন তার নিজের নির্মাণ করা দোতলা পাকা বাড়িতে। রামপুর গ্রামের বাসিন্দা মোসাঃ নাহিদা সুলতানার নামও রয়েছে এ তালিকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায় নাহিদার স্বামী চাকরিজীবি থাকেন নিজেদের পাকা বাড়িতে। এছাড়াও তালিকায় নাম রয়েছে পার্শ্ববর্তী দুমকী উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মাকসুদার,যার ভোটার আইডি কার্ড সহ সকল ঠিকানাই দুমকীর উপজেলায়।

এদিকে মাধবখালী ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. উজ্জল মৃধার স্ত্রী লাকি আক্তার ও তার আপন ভাই সাকিব ইসলামের নামও রয়েছে হতদরিদ্রদের চালের তালিকায়। ইউপি চেয়ারম্যান এর চাচাতো ভাই কাজি আবু জাফরের নাম রয়েছে তালিকায়। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, তিনি বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক। এতালিকায় রয়েছে চেয়ারম্যানের বোন নাসিমা আলম ও শাহিনা বেগমের নামও। চেয়ারম্যানের আরেক স্বজন পূর্ব চৈতা গ্রামের বাসিন্দা মো. সোহেল মৃধা নামক এক ব্যবসায়ীর নামও রয়েছে তালিকায়। বাজিতা গ্রামের বাসিন্দা মো.মোসলেম আলী ও সাজ্জাল যার বিপুল পরিমানে জমিজমাসহ পাকা বাড়ির মালিক এই একই ঘরের বাসিন্দা পিতা পুত্রের নামও রয়েছে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকায়। তবে যাদের নাম তালিকায় রয়েছে তারা অনেকেই জানান, তাদের নাম শুধুমাত্র কাগজে কলমে আছে। এদের নামে চাল কারা তোলেন তারা অনেকেই জানেন না।

কার্ডধারী ভুক্তভোগী সাজ্জাল জানান,‘ প্রথম দিকে আমার নামে চাল পেলেও এখন চেয়ারম্যান কিংবা ডিলারের কাছে গেলে আপনার নামে চাল নেই বলে জানান। কারা এ চাল উত্তোলণ করেন তাও জানেন না। রামপুর গ্রামের বাসিন্দা মোসাঃ নাহিদা সুলতানা বলেন, আমার পাকা ঘর তাতে কি! চালের নামের জন্য চেয়ারম্যানকে ৪ হাজার টাকা দিতে হয়েছে এরপরই চালের নাম পেয়েছি।

এদিকে ওই ইউনিয়নের মনিকা রাণী নামের আরেক হতদরিদ্র জানান, আমি হতদরিদ্র হওয়া সত্তেও এক হাজার টাকা দিয়েও চালের নাম পাইনি, অথচ যারা ৪-৫ হাজার টাকা দিয়েছে তারা বিত্তবান হওয়ার পরও চাল পাচ্ছেন। এই ইউনিয়নে চালের নাম পেতে হলে চেয়ারম্যান মেম্বারদের স্বজন হতে হবে নয়তো মোটা অংকের ঘুস দিয়ে হতোদরিদ্রের তালিকায় না দিতে হবে।
এসকল অভিযোগের বিষয় কথা হয় মাধবখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী মো. মিজানুর রহমান লাভলুর সাথে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন আমার জানা মতে কোন বিত্তবানের নাম তালিকায় নাই। এছাড়া তালিকায় কোনো নাম দেওয়ার বিনিময়ে টাকা পয়সার লেনদেন হয়নি।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ডি এম শাহাদাৎ হোসেন, বলেন আমিও কিছুটা শুনেছি,যেহেতু এদের নামরে তালিকা ইতি পূর্বে অনলাইন হয়ে গেছে পরবর্তী সময়ে যখন কর্তনের সুযোগ হবে তখন তালিকা যাচাই করে বিত্তবানদের বাদ দেয়া হবে।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েমা হাসান বলেন,‘ এই চাল হতদরিদ্রের জন্য এখানে বিত্তবানরা চাল পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিত্তবান হওয়া সত্তেও যাদের নাম তালিকায় রয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে নির্বাচন হয়েছে এক বছর তিন মাস। এই সময়ে চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান লাবলু হয়েছেন টাকার কুমির। কাঠালতলী বাসস্টান্ড’র পশ্বিম পাশে দশকাঠা জমির উপরে নির্মান শুরু করেছেন বহুতল ভবন। টি আর খাবিখা কাবিটা সালিস বানিজ্য, জবর দখল, মাদক ব্যবসা সব সেক্টরই তার নিয়ন্ত্রনে। এসব সেক্টর থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা তিনি আয় করেন।

এ নিয়ে ক্ষ্ােভ প্রকাশ করেন মাদবখালী ইউনিয়ন আওয়ামীগ এর সভাপতি। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, চেয়ারম্যান ইউনিয়ান আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক ও এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাই তার কাছে যেন সব অনিয়মই নিয়মে পরিনত হয়েছে। এসব বিষয়ে কথা বলার জন্য চেয়ারম্যান লাবলুর মোবাইল নম্বরে বারবার কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি