ব্রাহ্মণপাড়ায় রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করায় ৪ গ্রামের প্রতিবাদ মানববন্ধন

 

মুহা :শরীফ সুমন।।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের মনোহরপুর অলুয়া চন্ডিপুর রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করায় প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও চার গ্রামের মানুষের সম্মিলিতভাবে তিব্র নিন্দা,প্রতিবাদ ও মানববন্ধনের কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

(১১ জানুয়ারি ২০২৪) বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উক্ত প্রতিষ্ঠানের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে ৪ গ্রামের প্রায় ৪ শতাধিক মানুষ ও প্রাক্তণ শিক্ষার্থীরা। এসময় বক্তারা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হারুনুর রশিদ ভূঁইয়া ও প্রধান শিক্ষক আনোয়ারা বেগম এবং ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রদীপ সাহ এর বিরুদ্ধে অনিয়মের নানান অভিযোগ তুলে ধরেন। এসময় উক্ত প্রতিবাদ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নূর মোহাম্মদ ভূইয়া,আলাউল করিম ভূইয়া,আরিফুল ইসলাম,সাঈদ সোহান,সাইফুল ইসলাম,বিএম রিয়াদ,শফিক মেম্বার,সজিব ভূইয়া,বাবন সহ আরো অনেকে।প্রবাসী শাহ জালাল নাগর,আনাস সহ আরো অনেকে সার্বিক সহোযোগিতা করেছেন। এই প্রতিষ্ঠানের পূর্বের নাম ছিল মনোহরপুর অলুয়া চন্ডিপুর রেজাউল হক উচ্চ বিদ্যালয় তিন গ্রামবাসীকে না জানিয়ে বর্তমানে রেজাউল হক নামে পরিবর্তন করে ফেলে। উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা তাদের দশ দফা দাবী তুলে ধরেন এবং ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়। তাদের দাবীগুলো হলো ১/প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে অবশ্যই সংশোধন করতে হবে।২/যারা স্কুলটাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন ও গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন তাদেরকে সম্মানের জায়গায় রাখতে হবে।৩/প্রধান শিক্ষিকা অযোগ্যতার কারণে অপসারন করতে হবে যেহতু তিনি হারুন ভূইয়ার সহধর্মিণী,৪/ম্যানেজিং কমিটি ৪ গ্রাম যথাক্রমে
মনোহরপুর অলুয়া চন্ডিপুর রামনগরের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সিন্ধান্ত মোতাবেক গঠন করতে হবে।৫/বর্তমান সভাপতি স্বইচ্ছায় পদত্যাগ করতে হবে।৬/অবৈধ শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ বাতিল করতে হবে।৭/হারুনুর রশিদ ভূইয়া বিদ্যালয় থেকে ঘরবাড়ি অপসারণ করতে হবে ও বিদ্যালয়ে ঘুমাতে ও বাসস্থান করতে পারবে না।৮/বিদ্যালয়ের বিগত ১০ বছরের হিসাব নিকাশ ৪ গ্রামের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের কাছে দিতে হবে।৯/বিদ্যালয়ের উন্নয়নের নামে চাঁদাবাজি ও নিয়োগ বানিজ্য বন্ধ করতে হবে।১০/চার গ্রামের মানুষ মিলে তিলে তিলে গড়ে তুলা স্কুলটিকে পারিবারিক আধিপত্য বিস্তারমুক্ত করতে হবে।

কুমিল্লায় গুপ্তধন ভেবে কুড়িয়ে পাওয়া বোমা বাড়িতে নিয়ে গেলেন সুফিয়া! অতঃপর

 

মিরাজুল ইসলামঃ

কুমিল্লার ব্রা‏হ্মণপাড়ায় ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে উদ্ধার করা একটি বোমা শনিবার দুপুরে বিষ্ফোরন ঘটিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। বোম ডিসপোজাল ইউনিট কাউন্টার টেরিরোজমের একটি দল মাটিতে পুতে বিষ্ফোরণের মাধ্যমে ধ্বংস করেছে। গত শুক্রবার পাতা কুড়াতে গিয়ে বোমাটি গুপ্ত ধন মনে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন এক নারী । পরে তার ছেলে সেটিকে চিনতে পেরে পুকুরের পানিতে নিমজ্জিত রাখে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ব্রা‏হ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের মল্লিাকাদীঘি গ্রামের সুফিয়া বেগম নামের এক নারী গত শুক্রবার বিকালে তাদের বাড়ির পাশেই শুকনা পাতা কুড়াতে গিয়েছিলেন। এ সময় তিনি মাটিতে পুতে থাকা পিতলের তৈরী একটি বস্তু দেখতে পান। গুপ্তধন মনে করে বাড়িতে নিয়ে যায় তিনি। গোপনে পাড়িতে নিয়ে তিনি সেটা তার ছেলে মাইন উদ্দিনকে দেখান। এ সময় মাইনউদ্দিন বুঝতে পেরে বস্তুটিকে বোমা বলে তাৎক্ষনিক পুকুরে ফেলে দেয়।
পরে মাইনউদ্দিন ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি অবহিত করেন। খবর পেয়ে ব্রা‏হ্মণপাড়া থানা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে ঘটনার সত্যতা পায়। এ সময় পুকুরে ফেলে রাখার বিষয়টি নজরে রেখে পুলিশের বোমা ডিস্পোজাল ইউনিটকে খবর দেয়।
পুলিশের বোমা ডিস্পোজাল ইউনিট কাউন্টার টেরিরোজমের পরিদর্শক মো. মোদাচ্ছের কায়সার এর নেতৃত্বে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পুকুর থেকে বোমাটিকে উদ্ধার করে দেখতে পায় একটি অবিষ্ফোরিত কামানের গোলা। ওজন ১০ কেজি, দৈর্ঘ- সাড়ে ১৩ ইঞ্চি। পরে পাটিতে পুতে বিষ্ফোরন ঘটিয়ে একটি ধ্বংস করা হয়েছে।
সুফিয়া বেগম বলেন, এটিকে দেখে আমার মনে হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ গুপ্তধন। তাই এটিকে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলাম। পরে আমার ছেলে বলছে একটি বোম। পরে পানিতে ফেলে দিয়ে আমার ছেলে ৯৯৯ ফোন করে বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রা‏হ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল, ব্রা‏হ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইকরামুল হক, থানার উপ পরিদর্শক (এস.আই) আল হাবি রবিন প্রমুখ।
ব্রা‏হ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মাহমুদুল হাসান রুবেল জানান, পাতা কুড়াতে গিয়ে এক নারী বোমাটি খুজে পায়। গুপ্তধন মনে করে বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে তার ছেলে এটিকে বোম মনে করে পুকুরের পানিতে ফেলে দেয়। পরে ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবিষ্ফোরিত কামানের গোলাটি উদ্ধার করা হয়। বিষ্ফোরন করে ধ্বংস করা বোমাটির ওজন ১০ কেজি, দৈর্ঘ- সাড়ে ১৩ ইঞ্চি।
পুলিশের কাউন্টার টেরিরোজমের পরিদর্শক মো. মোদাচ্ছের কায়সার বলেন, এটি অবিষ্ফোরিত কামানের গুলা। যেকোন সময় বিষ্ফোরণ হতে পারত। ধারণা করা হচ্ছে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নিক্ষেপ করা অবিষ্ফোরিত গোলা এটি ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি