পারিবারিক বিরোধ আর প্রতিহিংসার শিকার এসপি

স্টাফ রিপোর্টার:

পারিবারিক বিরোধের জিঘাংসা কত ভয়ঙ্কর হতে পারে তার ভয়াল দৃষ্টান্ত সৃষ্টি হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলায় । সেখানকার এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম ও পুলিশ পরিদর্শক সারে আলমের বিরুদ্ধে তাদেরই চাচাতো ভাইয়েরা বিভিন্ন দপ্তরে ৭৩টি অভিযোগ দাখিল করেছে। গত কয়েক বছরে এসব অভিযোগ দাখিলের মাধ্যমে অব্যাহত হয়রানি চালিয়েও ক্ষ্যান্ত হননি তারা, এবার চাকরি থেকে হটাতে হাইকোর্টে রীট পর্যন্ত করেছে।

ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও মনগড়া অভিযোগ তুলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সসহ বিভিন্ন দপ্তরে একের পর এক অভিযোগ দিয়েছেন এবং নানা প্রভাব খাটিয়ে সেসব তদন্তও করিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে সত্যতা না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তুলেছেন। এরপর উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করে আবারও তদন্তের দাবি জানিয়ে নানা আস্ফালন শুরু করেছেন। শুধু পারিবারিক বিরোধ, প্রতিহিংসার জিঘাংসা যে কাউকে বিপর্যস্ত করে দিতে পারে তারই নজীর এ ঘটনাটি।

প্রাথমিক ভাবে খবরটি শুনেই কেমন যেন অবিশ্বাস্য বলে মনে হয়। সারাদেশে পুলিশ অফিসারদের দ্বারাই সাধারণ মানুষ হয়রানি, নিপীড়ন, নির্যাতনের এন্তার অভিযোগ রয়েছে। সেখানে পুরোপুরি উল্টো ঘটনা শুনেই খটকা লাগে।

সাংবাদিকদের একটি অনুসন্ধানী টিম খোঁজ নেয় আশুগঞ্জে, খবর নেয়ার চেষ্টা করেন সোহাগপুর নাগরপাড়া গ্রামেও। সবার কণ্ঠে অবাক করা অভিন্ন সুর। তারা সাংবাদিক টিমকে জানান, প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আখতারুজ্জামানের ছেলে নূরে আলম (এসপি) এবং সারে আলম (ইন্সপেক্টর) ছোটবেলা থেকেই খুব সহজ, সরল, নরম প্রকৃতির মানুষ। তাদের মানবিকতাকে দুর্বলতা হিসেবে ধরে সুযোগ নিয়েছে চাচাতো ভাইয়েরা। সহায় সম্পদ কেড়ে নেয়ার চেয়েও প্রতিহিংসা পরায়ণতা তাদের কাছে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার সোহাগপুর নাগরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম ও তার ভাই মোশারফ আলম ওরফে কানা মোশারফের টার্গেট এবার পুলিশ পরিবার। খোরশেদ ও মোশারফ পারিবারিক বিবাদের জের ধরে তাদেরই চাচাতো ভাই নূরে আলম (এসপি) ও সারে আলম (ইন্সপেক্টর) এর বিরুদ্ধে একের পর এক কল্পিত অভিযোগ দাখিল করে তাদের জীবন বিষময় করে তুলেছেন। এসপি নূরে আলম বর্তমানে জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার হিসেবে এবং সারে আলম ঢাকায় পুলিশ পরিদর্শক হিসেবে কর্তব্যরত রয়েছেন।

প্রতিহিংসামূলক জিঘাংসার ধারাবাহিকতায় হয়রানির উদ্দেশ্যে উপরোক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের নামে মিথ্যা ভিত্তিহীন ও মনগড়া অভিযোগ করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সসহ বিভিন্ন দপ্তরে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে সত্যতা পাননি। এতেও ক্ষ্যান্ত না হয়ে খোরশেদ উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন করে আবারও তদন্তের দাবি করেন। মূলত দফায় দফায় অভিযোগ তুলে হয়রানি ও মানসিক যন্ত্রণার মাধ্যমে বিপর্যস্ত করে তোলাটাই তাদের কাজ।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, মৃত সুরুজ মিয়া ও তাদের পূর্বপুরুষ এবং তার সন্তানরা মোশারফ আলমের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম পরম্পরায় এলাকায় অত্যাচারি লোক হিসাবে পরিচিত। তারা যাবতীয় হয়রানি থেকে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে রেহাই দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ডিমলায় সমাজসেবক এর উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে মানহানি ও হয়রানির অভিযোগ

ডিমলা উপজেলা প্রতিনিধিঃ

নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মানহানি ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূ মোছা: জেসমিন আক্তার (৩৬) বিরুদ্ধে।

জানা যায়, ডিমলা উপজেলার ১নং পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ ওবায়দুল ইসলামের স্ত্রী মোছা: জেসমিন আক্তার (৩৬) বাদী হয়ে অভিযোগ করেন। গত ১০ সেপ্টেম্বর/২০২৩ পিটিশন ১৩৮/২৩,  বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-০২ নীলফামারী আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মোছাঃ জেসমিন আক্তার এর মেয়ে ছাতনাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী মোছাঃ মেঘলা আক্তার (১৬) কে ধর্ষনের চেষ্টা করে মর্মে ৪ জনের নাম উল্লেখ পূর্বক তিনি  বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন৷ অভিযুক্ত ৪ জন হলেন মোঃ নুর আলম, মোঃ নাসিরুল আলম (নাসু), আবু তৈয়ব আলী এবং আবু সায়েদ। এই অভিযোগে মোছাঃ জেসমিন আক্তার তার মেয়ে মোছাঃ মেঘলা আক্তার সহ আরো ২জন সাক্ষীর নাম উল্লেখ করেন। অপর দু’জন সাক্ষীগণ হলেন মোঃ তাইজুল ইসলাম এবং ছালেহা বেগম।  এঘটনার প্রেক্ষিতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে জানা যায়: অভিযুক্ত নাসিরুল ইসলাম নাসু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ও সমাজসেবক, আবু তৈয়ব আলী – দলিল লেখক ও সমাজসেবক, মোঃ আবু সায়েদ – পল্লী চিকিৎসক ও সাবেক ইউপি সদস্য । ঘটনার বিষয়ে অভিযোগে উল্লেখিত ২নং সাক্ষী মোঃ তাইজুল ইসলামের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মোঃ তাইজুল  ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন “আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা, আমি কিছুই দেখি নাই,  আমি নিজেও জানিনা যে আমি একজন সাক্ষী! আমাকে মিথ্যাভাবে সাক্ষী করানো হয়েছে, আমি ঘটনাস্হলে যাইনাই বরং আমি নিজের বাড়িতেই ছিলাম।” অভিযোগে উল্লেখিত ৩য় সাক্ষী মোছাঃ ছালেহা বেগম এর কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন “আমি মহিলা মানুষ ঘরের বাহিরে যাইনা, মেঘলা ও তার মা জেসমিন আমাকে মিথ্যা সাক্ষী বানাইছে, আমি এই ঘটনার কিছুই দেখিনাই, তাছাড়া যাদের নাম শুনি তারা সবাই সমাজের সম্মানীয় ব্যাক্তি”।

এ বিষয়ে  আব্দুল হক, সাংবাদিকদের জানান, মোছাঃ মেঘলা আক্তার ৭ম শ্রেণীর একজন ছাত্রী।  সে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রায় সময় নুর আলম কে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গী মাধ্যমে  আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে। নুর আলম ২সন্তানের জনক ও তার স্ত্রী আছে। মেঘলা আক্তারের এসব আচার-আচরণে বিরক্ত হয়ে মেঘলার বিরুদ্ধে সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করে। আমরা এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ গত ২৬ আগষ্ট ২০২৩ স্হানীয় কিশোর-কিশোরী ক্লাবে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়। পরবর্তীতে পুনরায় মেঘলা আক্তার নুর আলমের ক্ষতি সাধনের পরিকল্পনা করেন ।এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য মোছাঃ রাশিদা বেগমের বাড়িতে গ্রাম্য সালীশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করেন৷ এসময় (মোঃ নাসিরুল ইসলাম), মোছাঃ রাশিদা বেগম(সংরক্ষিত ইউপি সদস্য), মোঃ আইনুল ইসলাম (ইউপি সদস্য) , এক্স সার্জন (অবসারপ্রাপ্ত) শিমুল, মোঃ সাইদুজ্জামান, মোঃ হাসানুর রহমান, সহ স্হানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সেই সময় মোছাঃ মেঘলা আক্তার এর পিতা মোঃ ওবায়দুল ইসলাম ও মাতা মোছাঃ জেসমিন আক্তার অন্যায়ভাবে  ২লক্ষ টাকা দাবি করেন অন্যথায় মামলা করবেন বলে হুমকী দেন। সেইদিন সভাস্থলে  উপস্থিত  গন্যমান্য ব্যক্তিগন  বিষয়টি ২য় দফায় সমাধান করে দেন। কিন্তু মেঘলা আক্তারের মা উক্ত মীমাংসা অমান্য করে ডিমলা থানা / নীলফামারি বিজ্ঞ আদালতে  তাদের নামে মিথ্যা মামলা  করে   হয়রানি করেন৷

মেয়র বাবা মোঃ ওবায়দুল ইসলাম ও তার  স্ত্রী মোছা: জেসমিন আক্তার জানান মেঘলা আক্তার ৭ম শ্রেণীর একজন ছাত্রী।  সে স্কুল থেকে বাড়ী আসার সময়
মোঃ নুর আলম মেয়ের কাজ থেকে মোবাইল নাম্বার চান বলে যানান।

সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রয় কমিটি ঢাকা,সভাপতি ৭১এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ রংপুর বিভাগ,মোঃছপিয়ার রহমান  জানান মিথ্যা মামলা কে নিয়ে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ লাইচুর রহমানের নামে মিথ্যা প্রচার চালাচ্ছে কিছু মিডিয়া,তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

এই  বিষয়ে ডিমলা  থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ লাইছুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ভুক্তভুগির পরিবার থেকে অভিযোগ পেয়েছি।  তদন্ত সাপেক্ষ প্রয়োজনীয় আইনগত নেওয়া হবে মর্মে জানান।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান