বাংলাদেশে উদ্বোধন হলো টাটা মটরস-এর ‘টাটা যোদ্ধা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

টাটা মটরস বাংলাদেশে উদ্বোধন করলো টাটা যোদ্ধা; পিক-আপ সেগমেন্টে যোদ্ধা লাভজনক গাড়ি হিসেবে শক্তিশালী স্থান ধরে রাখবে এবং পারফরম্যান্স ও দক্ষতার ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে।

রবিবার (১৯ মে) টাটা মটরস তার অনুমোদিত পরিবেশক নিটল মটরসকে সাথে নিয়ে পিকআপ সেগমেন্ট এর সর্বশেষ সংস্করণ নতুন যোদ্ধা গাড়ির উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১.৫ টন পেলোডের টাটা যোদ্ধা কৃষি পণ্য, পোল্ট্রি, মাছ এবং দুগ্ধজাত পণ্য সহ অনেক ধরনের ব্যবসার জন্য একটি উপযুক্ত গাড়ি। বিভিন্ন ধরনের রোড কন্ডিশনে কর্মক্ষমতা এবং ড্রাইভএবিলিটির উপর জোড় দিয়ে তৈরি করা টাটা যোদ্ধা, অধিক উৎপাদনশীলতা এবং বেশি জ্বালানি সাশ্রয়ের সাথে সহজে গাড়ির মালিক হবার সুযোগ করে দেয়।

উদ্বোধন বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে, মিঃ অনুরাগ মেহরোত্রা, হেড- ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, টাটা মটরস কমার্শিয়াল ভেহিকেলস, ​​বলেন “বাংলাদেশে টাটা যোদ্ধার উদ্বোধন টাটা মটরস-এর অব্যাহত বাজার সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক গাড়ির ব্র্যান্ড হিসেবে, গ্রাহকদের ক্রমবিবর্তনশীল পছন্দের সম্পর্কে আমাদের গভীর ধারণা রয়েছে এবং আমরা উন্নত মবিলিটি সলিউশন প্রবর্তনের মাধ্যমে সেগুলো সমাধানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টাটা যোদ্ধা দেশের পিকআপ সেগমেন্ট এ একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন আর এর ডিজাইন করা হয়েছে সেইসব গ্রাহকদের জন্য যারা সহজে একটি গাড়ির মালিক হতে চান, যারা চান একটি ভালো পারফরম্যান্স এর গাড়ি থেকে অধিক উপার্জন করতে। নতুন এই পণ্যটি নিটল মটরসের দেশব্যাপী বিস্তৃত সেবার আওতায় থাকবে, যেখানে সেলস এবং বিক্রয়োত্তর সেবার গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়।”

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, নিটল মটরস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আব্দুল মুসাব্বির আহমাদ বলেন, “আমরা বাংলাদেশে টাটা মটরসের সর্বশেষ পন্যটি নিয়ে আসতে পেরে ভীষণ আনন্দিত। গর্বিত পরিবেশক হিসেবে, আমরা আত্নবিশ্বাসী যে, টাটা যোদ্ধা এর স্থায়িত্ব, জ্বালানি দক্ষতা এবং স্বাচ্ছন্দ্য দিয়ে গ্রাহকের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে যাবে। সারাদেশে ৫৫টি টাচপয়েন্ট সহ, আমরা আমাদের গ্রাহকদের উন্নত মানের পণ্য এবং পরিষেবা প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

স্মার্ট পিক-আপ ট্রাকটি 4×2 কনফিগারেশনে পাওয়া যাবে, যেটির ডেক দৈর্ঘ্য হবে 8.4 ফুট (বাংলাদেশে 9.2 ফুট পর্যন্ত কাস্টমাইজড বডি সাইজ পাওয়া যাবে)। যোদ্ধা একটি ৩.০-লিটার ডিজেল ইঞ্জিন দ্বারা চালিত, এটি 85 hp @ 2500 rpm এবং 250 Nm টর্ক @ 1000-2000 rpm এর আউটপুট প্রদান করে। পিকআপটির সাথে থাকছে 1 বছর/64000 কিলোমিটার ওয়ারেন্টি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন
আব্দুল মুসাব্বির আহমাদ (ম্যানেজিং ডিরেক্টর, নিটল নিলয় গ্রুপ),আব্দুল মারিব আহমাদ (ভাইস চেয়ারম্যান, নিটল নিলয় গ্রুপ), প্রধান অতিথি রাজীব বি জয়সওয়াল (রিজিওনাল ম্যানেজার, সার্ক, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস, সিভিবিইউ, টাটা মটরস লিমিটেড), অভিজিৎ দাস শর্মা (কান্ট্রি ম্যানেজার, বাংলাদেশ, টাটা মটরস লিমিটেড), মোহাম্মদ তানবীর শহীদ ( সিইও,সেলস এন্ড মার্কেটিং,নিটল মটরস লিমিটেড)।

 

মোহাম্মদপুরের সাব-রেজিস্টার শাহিন আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার:

মোহাম্মদপুরের সাব-রেজিস্টার শাহিন আলমের বিরুদ্ধে সম্প্রতি সহকর্মীদের পক্ষ থেকে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগগুলো অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সরকারি কর্মচারী হিসেবে তাঁর বেতন সীমিত থাকলেও বিভিন্ন অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়ে তুলেছেন।

সাব-রেজিস্টার শাহিন আলমের মোহাম্মদপুরের পদস্থ কর্মকর্তার পদে থাকার সময় বহু সম্পদ গড়ে তোলার তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। আলফাডাঙ্গা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁকাইল এলাকায় তার একটি একতলা বাড়ি রয়েছে। এছাড়া, বাঁকাইলের পাশেই তিনি আরও ২০ শতকের একটি প্লট কিনেছেন, যার মূল্য এক কোটি টাকা।

গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ফিংগলিয়া মৌজায় প্রায় এক একর আয়তনের একটি মৎস্য ঘের কেনার তথ্য পাওয়া গেছে, যার ক্রয়মূল্য ৮০ লক্ষ টাকা। এই জমিটি তাঁর শ্বশুরবাড়ির এলাকায় হওয়ায় তিনি নামে বেনামে সেখানে সম্পদ কিনেছেন।

কামরাঙ্গিরচরে চর কামরাঙ্গি মৌজায়, সাব-রেজিস্টার তার ভাইয়ের নামে ৪২৫ অজুতাংশ জমি ক্রয় করেন এবং সেখানে ছয়তলা ভবন তৈরি করেন। প্রতিটি ফ্লোরের আয়তন প্রায় ১,৫৯০ বর্গফুট। পরবর্তীতে এই ভবন এবং জমি তার ভাইয়ের নাবালক ছেলে-মেয়ের নামে “হেবা মুলে” রেজিস্ট্রেশন করে দেন, যার দলিল নম্বর ৫৯৮২ এবং রেজিস্ট্রি খরচ হিসেবে মাত্র চার লক্ষ টাকা দেখানো হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, শাহিন আলমের ব্যাংকে নামে বেনামে বিভিন্ন এফডিআর এবং সঞ্চয়পত্র রয়েছে, যেগুলোর মোট মূল্য কোটি টাকার অধিক। অথচ আয়কর রিপোর্টে তিনি মাত্র ৩,৮৪,২২৮ টাকা আয়ের তথ্য দিয়েছেন। আরও জানা গেছে, আয়করে তিনি ২,৩৫,২২৮ টাকা ঋণ দেখিয়েছেন এবং ৫০,৩৮,৭৯২ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব দিয়েছেন।
বেতন হিসেবে শাহিন আলম প্রতি মাসে প্রায় ৩৮ হাজার টাকা পান। তবে এর বিপরীতে তাঁর বিলাসবহুল জীবনযাপনের খবর প্রকাশ পাচ্ছে। তিনি প্রতি মাসে ৪০ হাজার টাকার রেন্ট-এ-কার এবং আসাদ নামে একজন ড্রাইভারকে মাসিক ৩০ হাজার টাকা বেতনে নিয়োগ করেছেন।
সহকর্মীদের অভিযোগ, শাহিন আলম তার পদে থেকে নিয়মিত ঘুষ গ্রহণ এবং অবৈধ কার্যকলাপের মাধ্যমে এসব সম্পদ অর্জন করেছেন। সহকর্মীরা এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

শাহিন আলমকে এই অভিযোগগুলোর বিষয়ে মন্তব্য করার জন্য যোগাযোগ করা হলেও তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সরকারি কর্মচারীদের দুর্নীতি একটি গুরুতর সমস্যা, যা দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতায় আঘাত হানে। মোহাম্মদপুরের সাব-রেজিস্টার শাহিন আলমের বিরুদ্ধে ওঠা এইসব অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে সত্যতা যাচাই করা প্রয়োজন। সাধারণ জনগণের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান সেবা গ্রহীতাদের।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
হাজির করা হলো ট্রাইব্যুনালে, হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড়