দেড় মাসে আড়াই হাজারের বেশি অবৈধভাবে মোবাইল এনেছে তারা

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার তারা মিয়ার ছেলে আবু তাহের (২৬)। কয়েক বছর আগেও ছিলেন ৬ হাজার টাকা বেতনে মোবাইলের দোকানের কর্মী। কিন্তু বর্তমানে তার নেতৃত্বে চোরাই পথে দেশে আসছে হাজার হাজার অবৈধ মোবাইল ফোন।
বিপুল পরিমাণ অবৈধ মোবাইল ফোনসহ চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

র‍্যাব বলছে, এই চক্রটি গত দেড় মাসে পাঁচ চালানে আড়াই হাজারের বেশি অবৈধ মোবাইল ফোন দেশে এনে বাজারে ছেড়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- চক্রের মূলহোতা আবু তাহের (২৬), মো. মেহেদী হাসান (২২), মো. রুবেল হোসেন (২৯) ও মো. নুর নবী (৩২)এ সময় তাদের কাছ থেকে ৮ শতাধিক ফিচার ও স্মার্ট ফোন, অবৈধ মোবাইল পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।

এর আগে গতকাল রাতে নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

রবিবার ( ৩০ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফিরোজ কবীর।

তিনি বলেন, আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিলো একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে চোরাই মোবাইল কুমিল্লার ভারতীয় সীমান্ত থেকে এনে বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি করছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শনিবার রাতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৮০৮ টি চোরাই মোবাইলফোন, দুই টি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।

র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক আরও বলেন, এই চকটি ভারতীয় কারখানায় তৈরী বিভিন্ন ব্রান্ডের মোবাইল ফোন চোরাকারবারীর মাধ্যমে কুমিল্লা-ঢাকা রুট ব্যবহার করে রাজধানীতে নিয়ে আসত। সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার কারনে অধিক লাভের আশায় গ্রাহকের কাছে কমদামে বিক্রয় করা হয় ফলে বাজারে এ সকল মোবাইল ফোনের অনেক চাহিদা রয়েছে। এছাড়াও এ সকল ফোনের আইএমআই নম্বর বিটিআরসির নথিভুক্ত না থাকায় অপরাধীরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রমের জন্য চোরাইপথে আসা ভারতীয় এধরনের মোবাইল ব্যবহার করে থাকে।

গ্রেফতারকৃত আবু তাহের ভারত মোবাইল ফোন চোরাকারবারী এই চক্রটির মূলহোতা। তাহের গত ৩ বছর আগে কুমিল্লা জেলার গৌরীপুর এলাকায় একটি মোবাইল শো-রুমে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করে। তখন থেকেই কুমিল্লার বিভিন্ন সীমান্ত পথে অবৈধভাবে সংঘবদ্ধ মোবাইল চোরাকারবারী চক্রের সাথে তার সখ্যতা গড়ে উঠে। একপর্যায়ে মোবাইলের শো-রুমে চাকুরির পাশাপাশি সে নিজেও এসব ভারতীয় ব্রান্ডের চোরাই মোবাইলের চালান আনিয়ে কুমিল্লাসহ রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটে সরবরাহ করতে শুরু করে। অল্প সময়ে অধিক অর্থ লাভের আশায় এবং তার এই অপরাধ কর্মকান্ডটি বিস্তৃত করতে সে নিজেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র গড়ে তোলে। তার নেতৃত্বে চক্রটি কুমিল্লা সীমান্ত এলাকা দিয়ে গত দেড়মাসে এ ধরনের পাঁচটি বড় চালান ঢাকায় সরবরাহ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে।

গ্রেফতারকৃত মেহেদী উক্ত চক্রটির মূলহোতা আবু তাহেরের অন্যতম সহযোগী। সে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের বাসিন্দা। তার এক পরিচিত ভাইয়ের মাধ্যমে চোরাইপথে মোবাইল আমদানির চক্রে তাহেরের সাথে জড়িয়েছে বলে জানা যায়। গত দেড় মাসে সে তাহের এর সাথে মিলে পাঁচটি বড় চালান নির্বিঘ্নে ঢাকায় সরবরাহ করেছে। তার দাবী সে কুমিল্লা সদরের জনৈক সাজ্জাদ ওরফে শাকিল কর্তৃক বেতনভুক্ত কর্মচারী তবে তার এই দাবীর সত্যতা পাওয়া যায় নি।

ডিআই/এসকে

সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার অর্থ আত্মসাৎ ও পরকীয়ার অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা।।
বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড কুমিল্লা শাসনগাছা শাখার সিনিয়র অফিসার কাউছার জান্নাত লোপা’র বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও পরকীয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এনিয়ে গত ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে কুমিল্লা বিজ্ঞ জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কাউছার জান্নাত লোপার স্বামী ফ্রান্স প্রবাসী অহিদুল ইসলাম অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ অভিযোগ আমলে নিয়ে কুমিল্লার বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালত অভিযোগের তদন্তর প্রতিবেদক জমা দিতে নিদের্শ দেয় ডিবি পুলিশ কুমিল্লাকে।

ডিবি পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনে সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় ২৮ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখে ব্যাংক কর্মকর্তা কাউছার জান্নাত লোপার এর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট অব এরেস্ট এড আদেশ হয়।

পরে ৫ ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে অহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংক লিমিটেড হেড অফিস ঢাকা মহা ব্যবস্থাপক (প্রশাসনিক) এর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

সরজমিনে তদন্ত করে জানা যায় লোপা’র স্বামী অহিদুল ইসলাম প্রবাসে থাকা অবস্থায় স্ত্রীর কে এসএসসি পাস থেকে মাস্টার্স ডিগ্রী পর্যন্ত লেখাপড়া করান কিন্তুু লোপা’র স্বামীর অবর্তমানে পর পুরুষের সাথে অবাধে মেলামেশা সহ অনৈতিক মেলামেশা করেন বলেও জানা যায়। এবং জহিরুল ইসলাম স্ত্রী ও লোপা’র সাথে ব্যক্তিগত সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

লোপা’র প্রেমিক জহিরুল ইসলাম সাথে সম্পর্কের বিষয় টা জানাজানি হলে লোপা’র বান্ধবী সহকর্মী জহিরুল ইসলাম স্ত্রীর সাথে দাম্পত্যকলহ সৃষ্টি হয়।
পাশ্ববর্তী বাসার লোকজন মাধ্যমে জানা যায় এই নিয়ে পরিবার মাঝে মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়ে থাকে জহিরুল ইসলাম এই নিয়ে কথা বললে জহিরুল ইসলাম স্ত্রী কে মারধর, গালাগালি করেন বলেও জানা যায় নির্ভর যোগ্য সূএে জানা যায়।

এজাহারে বলা হয়েছে, ব্যাংক কর্মকর্তা কাউছার জান্নাত লোপা ও লোপার পরকীয়ার প্রেমিক জহিরুল ইসলাম মাষ্টার মিলে ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন।

যাহার ব্যাংক ডকুমেন্টও রয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন বাংলাদেশ সোনালী ব্যাংক কুমিল্লা শাসনগাছা শাখার সিনিয়র অফিসার কাউছার জান্নাত লোপা ও বাগড়া সবকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জহিরুল ইসলাম মাষ্টার।

অভিযুক্ত জহিরুল ইসলাম মাষ্টারের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে অনেক ক্ষীপ্ত হয়। কেন তাকে এমন প্রশ্ন করা হয়েছে। পরে একপর্যায়ে এসে অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমি টাকার বিষয়ে কিছু জানি না। তবে কাউছার জান্নাত লোপার সাথে আমার সম্পর্ক আছে। মাঝে মাঝে কথা হয়। এখন আর তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম