শনির আখড়া দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়মের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

শনির৷ আখড়া দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, যা দেখার কেউ নেই, সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কদমতলী থানা এলাকায় শনির আখড়া দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার সহ পরিচালনা পরিষদের অনিয়ম দুর্নীতি সহ হাসপাতালটিকে পরিনত করেছেন একটি কষাই খানায়। এই হাসপাতালটির যতো সব অনিয়ম গুলো যেন প্রতিনিয়ত নিয়মে পরিনত হচ্ছে। রাজনৈতিক ক্ষমতার দাপটে সরকারী কর্মকর্তাদের ম্যানেজ্যর কারনে রোগীরা দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নামে অভিযোগ করেও কোন প্রকার প্রতিকার পাচ্ছেন না  সাধারণ মানুষ  ।

রোগীকে বাড়তি টেস্ট বানিজ্য সহ রোগীর স্বজনদের ভোগান্তি যেন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । শনিরআখড়া দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তব্যরত ডাক্তার এবং নার্সদের ব্যবহারে অতিষ্ঠ রোগীর স্বজনরা। দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সাধারন রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে গেলে ডাক্তারেরা অতিরিক্ত টেস্ট বাণিজ্য করে থাকেন, যায় কারনে প্রতিনিয়ত রোগী সহ তাদের স্বজদের বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে, গত কয়েকদিন আগে ফরিদপুর জেলার সালথা থানাধীন চাঁন্দাখোলা গ্রামের রবিউল ইসলাম ঠান্ডা জনিত কারনে দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক
সেন্টারে ডাক্তার দেখাতে গেলে ডাক্তার তাকে না দেখেই প্রেকসিকশনে৭/৮টি টেস্ট দিয়েছিলেন।
রবিউল ডাক্তারের নির্দেশনা মতে টেস্ট গুলো দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার করান, দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তৃব্যরত চিকিৎসক টেস্ট গুলো না দেখেই ২০টা সেফেকজিন ওয়ান গ্রাম ইনজেকশন এবং রোগীর জন্য অপ্রয়োজনীয় ইনহেলায় সহ অন্যন্যঔষধ লিখেন প্রেকসিপশনে,নিয়মমাফিক ডাক্তারের ঔষধ গ্রহন করে রবিউলের অবস্থার অবনতি ঘটলে পরবর্তীতে রবিউল ইসলামের পরিবার তাকে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে র্ভতি করেন, রবিউলের অবস্থার অবনতি দেখে ফরিদপুর মেডিকেল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকার মহাখালী বক্ষব্যধি হাসপাতাল এন্ড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন, বর্তমানে রবিউল বক্ষব্যধিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিষয়ে কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায়, দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা সেবা নিতে গেলে রোগীর সাথে অসৎ আচারন সহ রোগীকে বাড়তি টেস্ট দিচ্ছেন ডাক্তারেরা প্রতিনিয়তো, যার কারনে টেস্টের জন্য বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে রোগী সাধারনের।
শনিরআখড়া দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসা নেওয়া এক ভুক্তভোগী জানান দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তারগন আমার পেটে ৩০ সপ্তাহের বাচ্চা থাকাকালীন সময়ে আমাকে সিজারের জন্য অপারেশন থিয়েটারে ডুকিয়েছিলো, আমার পরিবারের লোকজন হাসপাতাল কর্ত্বপক্ষদের এই নিষ্ঠুরতার ব্যপারে বাহিরে কয়েকজনকে জানালে তারা আমাকে তরিঘড়ি করে অপারেশন থিয়েটার থেকে বাহির করে দেন।
সোহেল রানা নামের এক ভুক্তভোগী জানান আমার স্ত্রীর প্রসব বেদনা উঠলে আমরা দ্রুত দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পরে ডাক্তার রোগী দেখার আগেই বলেন ৮/১০ টি টেস্ট করান, টেস্টের রিপোর্ট গুলো না দেখেই কর্তব্যরত চিকিৎসক এখনিই সিজারিয়ান অপারেশন করাতে হবে না হলে বাচ্চা এবং তার মাকে বাঁচালো সম্ভব না, ডাক্তারের এই কথা শুনে পরিবারের লোকজনের সাথে আলোচনা করে আমরা আমার স্ত্রীকে নিয়ে শনিরআখরা অন্য একটি ক্লিনিকে নেওয়ার পরে নরমাল ডেলিভারিতে আমার স্ত্রী কন্যা সন্তানের জন্ম দেন, দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই কষাই খানা বন্ধের দাবী জানান ভুক্তভোগীরা।

এ বিষয়ে দেশ বাংলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ডাক্তার সোহেলের সাথে কথা বললে তিনি জানান তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আনিতো অভিযোগ গুলো সত্য নয়।

সিরিয়ার বেহাল অর্থনীতি কী ঘুরে দাঁড়াবে?

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক: 

প্রায় ১৪ বছর ধরে গৃহযুদ্ধের ফলে সিরিয়ার অর্থনীতির অবস্থা এখন বেহাল দশা। দেশটিকে আর্থিক দিক থেকে ঘুরে দাঁড়াতে তাদের পুরো বিশ্বের সাহায্য ও সহযোগিতা দরকার। ২০১১ সালে সিরিয়ার অর্থনীতির পরিমাণ ছিল ছয় হাজার ৭৫০ কোটি ডলার। ওই বছরই বাশার আল আসাদের বিরুদ্ধে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয়। তখনই বিদ্রোহীরা তৎপরতা বাড়ায়। পুরোদস্তুর গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। বিশ্বের ১৯৬টি দেশের মধ্যে অর্থনীতির নিরিখে সিরিয়া ছিল ৬৮তম স্থানে। প্যারাগুয়ে ও স্লোভেনিয়ার সঙ্গে তুলনীয় ছিল তাদের জিডিপি-র পরিমাণ।

কিন্তু গতবছর সিরিয়ার অবস্থান ছিল ১২৯তম স্থানে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মতে, তাদের অর্থনীতি এখন ৯০০ কোটি ডলারের। এখন চাদ, ফিলিস্তিনের সঙ্গে তাদের তুলনা চলে।

প্রায় ১৪ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধ, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা, দেশ থেকে ৪৮ লাখ মানুষের চলে যাওয়ার ফলে তারা এখন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গরীব দেশ বলে পরিচিত। জাতিসংঘের শাখা সংগঠন ওসিএইচএ-র মতে, সিরিয়ার ৭০ লাখ মানুষ এখন গৃহহীন।

দেশটিতে দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের ফলে দেশের পরিকাঠামোর অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। বিদ্যুৎ, পরিবহন, স্বাস্থ্যব্যবস্থা বেহাল। সেইসঙ্গে প্রচুর শহরে ধ্বংসের চিহ্ন ছড়িয়ে আছে। এই সংঘাতের ফলে সিরিয়ার পাউন্ডের মূল্য কমেছে। তার ফলে সিরিয়ার মানুষের ক্রয়ক্ষমতাও পাল্লা দিয়ে কমেছে।

গতবছর সিরিয়ায় মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ছিল মারাত্মক। গত জুনে সিরিয়ান সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চ(এসসিপিআর) জানিয়েছে, তার আগের বছরের তুলনায় কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ছিল দ্বিগুণ।

তাদের রিপোর্ট বলছে, সিরিয়ার অর্ধেক মানুষ তাদের জীবনধারণের জন্য ন্যূনতম জিনিসও কিনতে পারছে না।

সিরিয়ার অর্থনীতির দুই স্তম্ভ হলো, তেল ও কৃষি। যুদ্ধের ফলে তাতে ধাক্কা লাগে। ২০১০ সালে তেল রপ্তানি করে সরকারের রাজস্বের এক চতুর্থাংশ অর্থ আসত। কৃষি থেকেও সমপরিমাণ অর্থ আসত। কিন্তু আসাদের কাছ থেকে বিদ্রোহীরা, আইএস এবং কুর্দিশ বাহিনী তেলের খনির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়।

আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে সরকারও বিদেশে তেল রপ্তানি করতে পারে না। আসাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকায় তেলের উৎপাদন ২০ হাজার ব্যারেলে নেমে আসে। সিরিয়া পুরোপুরি ইরান থেকে আমদানি করা জিনিসের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে।

কত তাড়াতাড়ি হাল ফিরবে?

এই প্রশ্নের জবাব নির্ভর করছে, সিরিয়ায় কারা এবার ক্ষমতায় থাকবে, তার উপর। তাদের শহরগুলিকে গড়ে তুলতে হবে, পরিকাঠামো ঠিক করতে হবে, কৃষি এবং তেলের ক্ষেত্রকে ঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে।

কিছু সিরিয়া বিশেষজ্ঞ মনে করছেন, ২০১১ সালের জিডিপি-তে পৌঁছাতে অন্তত ১০ বছর সময় লাগবে। তবে এরপর যদি রাজনৈতিক অস্তিরতা দেখা দেয়, তাহলে সিরিয়ার অবস্থা আরো খারাপ হবে বলে তাদের আশঙ্কা।

সাবেক আল কায়দার সঙ্গে যুক্ত হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস)-এর নেতৃত্বে দামেস্ক দখল করেছে বিদ্রোহীরা। তারা এখন নতুন সরকার গঠনের চেষ্টা চালাচ্ছে। তবে সিরিয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কঠোর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। এই সংগঠনকে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণা করেছে।

পশ্চিমা ও আরব দেশগুলি মনে করছে, এইচটিএসের সিরিয়া শাসনের অর্থ হলো, আসাদকে সরিয়ে কট্টরপন্থি শাসনের সূচনা হওয়া।

আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপের প্রবীণ বিশ্লেষক ডিল্যানি সাইমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘সিরিয়ার উপর খুবই কড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা আছে। সেই দেশ যখন দাঁড়াতে চাইছে, তখন এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকার অর্থ, তাদের পায়ের তলা থেকে মাটি সরিয়ে দেওয়া।

এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা সিরিয়াকে সাহায্য করবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন না।

গত রোববার রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র তাদের যতটা সম্ভব সাহায্য করতে পারে। আসাদের শাসন থেকে স্বাধীন, সার্বভৌম শাসনে যাওয়ার জন্য আমেরিকা তাদের সাহায্য করবে।

কিন্তু প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, সিরিয়ায় ওয়াশিংটনের জড়িয়ে পড়া উচিত নয়। বার্তাসংস্থা এপি সোমবার জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসন এইচটিএসকে জঙ্গি সংগঠনের তালিকা থেকে সরিয়ে দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা করেছে।

ইইউ-র মুখপাত্র ব্রাসেলসে সোমবার বলেছেন, এইচটিএস কী বলছে, সেটা বড় কথা নয়, তারা কী করছে, সেটাই ইইউ-র কাছে বড় বিষয়।

এখন কী হতে পারে?

এইচটিএস নেতা মোহামেদ আল-জোলানি সোমবার আসাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতির সঙ্গে ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে কথা বলেছেন। সোমবার দেশজুড়ে কারফিউ জারি করায় দোকানপাট বন্ধ ছিল।

রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে সিরিয়ার সেন্ট্রাল ব্যাংক ও দুইটি বাণিজ্যিক ব্যাংক খুলবে। কর্মীদের অফিসে আসতে বলা হয়েছে। সিরিয়ার বর্তমান মুদ্রাই বহাল থাকবে। দেশটির তেল মন্ত্রণালয় তাদের সব কর্মীকে কাজে যোগ দিতে বলেছে। বলা হয়েছে, তাদের সুরক্ষা দেওয়া হবে।

জাতিসংঘের ত্রাণ বিষয়ক প্রধান টম ফ্লেচার রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, তারা মানুষের পাশে থাকবেন। রিসেপশন সেন্টারে খাবার, জল, জ্বালানি, টেন্ট, কম্বল দেওয়া হবে।

 

সবা:স:জু-২৮৪/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
হাজির করা হলো ট্রাইব্যুনালে, হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের বিদেশ থেকে যতটুকু স্বর্ণ আমদানি করলে দিতে হবে না ভ্যাট প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎতে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব ফকরুল বাংলাদেশে ইতিহাস গড়ল উইন্ডিজ দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন রাজউক ইমারত পরিদর্শক শামীম রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধে কে জিতবে, তা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তুতি নিচেছ ট্রাম্প নাসার চন্দ্র মিশনে স্পেসএক্স জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে নতুন করে দেড় হাজারের বেশি আবেদন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড়