1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
অনিয়মে জর্জরিত ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ৩:৫১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংবাদ শিরোনামঃ
ফিলিস্তিনের ইসরাইলের গণহত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটি মানববন্ধন অবৈধপথে শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক: রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির পরিচালকের বিরুদ্ধে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ: তদন্ত কমিটি গঠন! সরকারী দপ্তরে নির্বাচনী প্রচারণা! মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন ক্ষমতাসীন দলের পদ-পদবী ব্যবহার করে হোটেল ব্যবসার আড়ালে বাদলের মাদক,জুয়া ও রমরমা দেহ ব্যবসা বিশ্বনাথে অবশেষে অস্ত্র ও সহযোগী’সহ পুলিশের খাঁচার বন্দি কুখ্যাত ডাকাত আজির টংগী’তে অবস্থিত ‘জাবান হোটেল’ যেনো অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনী ও মদ সেবনের নিরাপদ আড্ডাখানা বরখাস্তের পরও স্বপদে বহাল বিতর্কিত সেই অধ্যক্ষ প্রতিষেধকের অভাবে সেলিম মাদবরের মৃত্যু মিরপুরে মানব পাচার ও দেহ ব্যবসা চক্রের মূল হোতা মারুফের খুটির জোর কোথায়? হোটেল ক্লিনার থেকে কোটিপতি মারুফ !
অনিয়মে জর্জরিত ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

অনিয়মে জর্জরিত ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

স্টাফ রিপোর্টার

নানা অনিয়মে জর্জরিত ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই সরকারি হাসপাতালের প্রতিটি সেক্টরে বর্তমানে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে। বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাসানুল হোসেন এর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদদে হাসপাতালটিতে এসব অনিয়ম চলছে।

ময়মনসিংহ ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দুর্নীতির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে তবুও ১১ তম স্থানে কি করে হলো এ যেন দেখার কেউ নেই। ডাক্তার বাবুরা কি করে এসব করে থাকে। উকিল বাবুদের মত আসামি ধরেছে পুলিশ উকিল বাবু জামিনের কাগজ নিয়ে হাজির, কি করে এসব করে বাবুরা। বর্তমানে একটি কথা প্রচলিত আছে যদি করেন দুর্নীতি হতে পারেন পদোন্নতি। দুর্নীতি যদি না করেন বদলি খাতায় নাম লেখাতে পারেন । কিছু অসাধু ডাক্তারদের কারণে পুরো ডাক্তার জাতির কলঙ্ক।

ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর দুর্নীতির বিষয়ে কয়েকজন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর কাছে যোগাযোগ করলে । নাম না বলা সত্বে তারা জানিয়েছে এই পুরো হাসপাতালটি প্রতিটা সেক্টরে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে.তারা আরো জানিয়েছে এত দুর্নীতি হওয়ার পর কি করে ১১ তম স্থান হতে পারে। রোগীরা বারবার অভিযোগ করার পরেও কোন নিয়মে আসেনি বলে রোগীরা জানিয়েছে।

# আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা তাসলিমা ২৪ ঘণ্টা হাসপাতালে এর ডর্মে থাকার নিয়ম থাকলেও উনি থাকেন ১ ঘণ্টা । জরুরী প্রয়োজনে উনাকে পাওয়া যায় না এবং ফোন ও ধরেন না. অফিস টাইম ২:৩০ পর্যন্ত হলেও উনি ১ টার সময় বের হয়ে বাসায় চলে যান। প্রবাদ আছে যেমন খুশি তেমন সাজো।

# ডাক্তার মাসুদ পারভেজ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছেন এবং যা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত….তাই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জন্য নিজের ঢোল নিজে পিটিয়ে টাকা দিয়ে নামে প্রসংশা নিউজ করান যা অত্যন্ত হাস্যকর।. আর যেসব সাংবাদিক দুর্নীতির পক্ষে নিউজ করে তারা সাংবাদিক জগতের কলঙ্ক। ..উল্লেক্ষ্য সরকারি হাসপালে একবার রুগী দেখার পর উনি পরবর্তী ফলো আপ এর জন্য গরীব রুগীদের উনার চেম্বার এ আসতে বলেন । স্থানীয় জনপ্রিনিধি উপজিলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ নামে বিভিন্ন গ্রুপ এ অনেক বাজে মন্তব্য করেন হাস্যোজ্বল ডা মাসুদ পারভেজ।

Uhfpo ডা হাসানুল এর মদতে কনসালট্যান্ট রা সপ্তাহে ২ দিন আসেন এবং চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। রুগীদের.তারই জ্বলন্ত উদাহরণ বিগত ৩০/৮/২৩ তারিখ আকলিমা আক্তার,বয়স ২৬ বছর একজন রুগী র সিজার করেন গাইনী কনসালট্যান্ট ডা শুক্লা দে l রুগীর অপারেশন পরবর্তী জটিলতা দেখা দিলে ডা:শুক্লা দে রুগীর কোনো খোঁজখবর নেন নি এবং Uhfpo এই ব্যাপারে ছিলেন নিরব দর্শক। ৩ দিন পর রুগীর অবস্থার বেশি অবনতি হলে ময়মসিংহ নিয়ে যাওয়া হয় , জটিলতা আরো বাড়ায় স্কয়ার হাসপাতালে আনা হয়। সম্পদ বিক্রি করে চিকিৎসা করাতে গিয়ে রুগী ও তার পরিবার আজ নিঃস্ব । শুক্লা দে এবং হাস্পাতাল প্রধান ডা: হাসানুল হোসেন এর গাফিলতি কারণে আজ এই রুগির চরম ভোগান্তি তে পরতে হয়েছে| বর্তমানে রুগীর সপ্তাহে ৪ দিন ডায়ালাইসিস করতে হচ্ছে যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল।

এই উপজিলা এ ১৫০ টা নরমাল ডেলিভারি হয় না , সর্বোচ্চ ৩০_৪০ টা হচ্ছে সেখানে প্রতিদিন ৫ টি করে ভূয়া ডেলিভারী রোগী ভর্তি দেখানাে হচ্ছে। ১ মাসে প্রায় ১৫০টি নরমাল ডেলিভারীর ভুয়া রুগী দেখানো হচ্ছে যাদের কোনো অস্তিত্ব নেই,।
এই বাজেট এর টাকাগুলো সব ( UH&FPO, ) ডাক্তার জয় সরকার, ডাক্তার মাসুদ পারভেজ এবং সিস্টার, সুপারভাইজার এই ৪ জন ব্যক্তি ভাগাভাগি করে নেয়। এই ভালুকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কোন কোন বিষয় দুর্নীতি করে ১১ তম স্থানে এসেছে সে বিষয়ে জানা খুব জরুরী।

# ল্যাবে প্রতিদিন ২০০ শত টেস্ট এর রোগী হয়, কিন্তু সেই পরিমাণ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয় না।
# আলট্রাসনােগ্রাফী প্রতিদিন ৪০ টার উপরে হয়, কিন্তু সরকারি কোষাগারে টাকা জমা হয় না। যারা
আলটাসনোেগ্রাফী করতো (মেডিকেল অফিসার), তাদের টাকা দেওয়া হয় না । USG এ ফিল্ম দেওয়া হয় না।
# Xray প্রতিদিন ৭০/৮০ টি হয়, এতেও সরকারি কোষাগারে টাকা কম জমা হয়। প্রতি ফিল্ম থেকে UHFPO ১৫ টাকা বেশি নেয়.।
ডাঃ জয় সরকার আল্ট্রা করে থাকে, কিম্তু তার কোন প্রশিক্ষণ ও অনুমতি নেই।
বিধান না থাকলেও নার্সরা টাকার বিনিময়ে MR, D and C করে থাকে।
# হাসপাতালের বহিরবিভাগের ডাক্তারা বাহিরের ওযুধ বেশি লিখে থাকে। সরকারি বরাদ্দের টাকা সঠিক খ্যাতে খরচ না করেই ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে নেয় Uhfpo।
# অন্তঃ বিভাগে রােগীদের সকল ওষুধ পাওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয় না।
ডাক্তার জয় সরকার এবং ডাক্তার মাসুদ পারভেজ এর প্ররোচনায় হাসপাতাল অনিয়ম ও দুর্নীতি করে জনগন সেবা থেকে বঞ্চিত।
# বহিঃবিভাগে সময় মত কিছু ডাক্তার উপস্থিত থাকে না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রতিদিন আসার কথা
বিভিন্ন ধরনের বেনিফিট নিয়ে হাসপাতালের সাপ্লাইকৃত ওষুধ শর্ট দেখিয়ে তাদের বেনিফিট নেয়।
থাকলেও সপ্তাহে ০৩ দিনের বেশি কেউই উপস্থিত থাকে না।
# বহির্বিভাগে শিশু বিভাগে নার্স দিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়,। এই UH&FPO আসার পর থেকে ডাঃ জয় সরকার এর প্ররোচনায়
স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসা রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।
ইউনিয়ন পর্যায় মেডিকেল অফিসার পদায়ন থাকলেও সেখানে কোনো মেডিকেল অফিসার কাজ করেন না।
# সব ফার্মেসীকে টাকা কালেকশন এ বসানো হয়েছে, যার ফলে রোেগীদের ওষুধ ঠিক মত দেওয়ার লোক পাওয়া যায় না। সর্বপুরি হাসপাতালের গ্রুপিং করে সেবার মান নেই বললেই চলে । ইমারজেন্সী ভর্তির টিকেট নেই, ইমারজেন্সী বহি টিকিট দরিদ্র তহবিল থেকে করা হয়।

# জনৈক নার্স এর সাথে UH&FPO এর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এই নার্স হাসপাতালে যা
বলে, তাই হয়। ডিউটিতে ঠিক মত থাকে না, রােগীদের সাথে চরম দূরব্যবহার করে।
( রাজ্জাক সাহেবের ) চাকুরী ০২ নভেম্বর/ ২০২২ইং এ শেষ, হয়ে কিন্তু তারপরও তিনি হাসপাতালে কর্মরত রয়েছে।
uhfpo সকল দুর্নীতি এর ডান অ্যান্ড বাম হাত ডাক্তার জয় সরকার অ্যান্ড ডাক্তার মাসুদ পারভেজ।

# ডাঃ জয় সরকার ট্রমা সেন্টারের ডিউটি টাইমে তার নিজ ল্যাবর প্যাড়ে নির্দেশকা দেয় এবং রোগীদের বিভন্ন হাসপাতালর তার নিজস্ব চেম্বারে যাওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করে থাকে। সব ডাক্তারদের ডিউটি রাষ্টার পরিবর্তন হলেও ডাঃ জয় এবং ডাঃ মাসুদ এর ডিউটি (রাষ্টার) পরিবর্তন হয় না এভাবে অন্যান্য ডাক্তার দের কুক্ষিগত করা হয়েছে l
# ১ ঘন্টার উপরে বহিঃ বিভাগ বন্ধ রাখা হয়
মাঝে মাঝে আউট ডোর বন্ধ রেখে রোগীদের ভােগান্তিতে রেখে কেক কাটা অনুষ্ঠান করা হয়।
# অনেক ডাক্তারদের রোগের সাথে ওষুধের কোন মিল থাকে না। সঠিক ডাোজ এ ওষুধ দেওয়া হয় না
এ ব্যাপারে রোগীদের অনেক অভিযােগ রয়েছে। ডাঃ জয় সরকার RMO হওয়ার আগ পর্যন্ত হাসপাতালে এত অবাবস্থাপনা ছিল না।
রোগী ভর্তি হওয়ার পর সব ওযুধ হাসপাতাল থেকে পাওয়া যাইতো, । আর এখন ওষুধ তো দূরের কথা সেলাইন সেট ও হাপাতাল এ
পাওয়া যায় না। সব বাহিরের ফার্মিসী থেকে রোগীদের ক্রয় করতে হচ্ছে। রাত ১২ টায় সকল ফার্মেসি বন্ধ হয়ে যায়, তখন রোগীদের ভােগান্তির কোন শেষ থাকে না । ওষুধের জন্য রোগীদের ময়মনসিংহ যেতে হয়। অনেক সময় রোগী মারাও যায়।

ডা: জয় সরকার এবং ডা: মাসুদ পারভেজ এর বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড ফাঁস হবার পর তারা নামমাত্র RMO অ্যান্ড modc পোস্ট হতে পদত্যাগ এর কথা বলেন এবং তাদের মনোনীত প্রার্থী Dr Taslima কে নাচের পুতুল বানিয়ে RMO পদ দেওয়া হলেও পরোক্ষভাবে ডা: জয় সরকার এবং ডা: মাসুদ পারভেজ তাদের অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
# ইমারজেন্সী ডিউটি ডাক্তারের সকাল ও রাতের খাবার ওষুধ কোম্পানী দিয়ে থাকে। প্রতি সপ্তাহে ২ দিন। এক এক কোম্পানীর সিটি গার্ড়েনে নিয়ে দুপুরের খাবার খাওয়ায়। এসব ব্যবস্থা করে RMO ( ডাক্তার জয় সরকার R MODC (ডাক্তার মাসুদ পারভেজ। রোগীরা অভিযোগ করলে উপরের লেভেলের কর্মকর্তারা এসে ভোট মিটিং এ বসে সমাধান না করে বড় অংকের খাম নিয়ে চলে যায়। যে কারণে এই হাসপাতালটি সাধারণ রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাহলে ভাবা যেতে পারে এতকিছু করেও কি করে ১১ তম স্থানে আসতে পারে।

# জুলাই মাসে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের বায়োমেট্রিক হাজিরা অত্যন্ত শোচনীয় যেটা” beautiful bhaluka “নামে একটা পেজ এ ৯ আগস্ট ( ছবি সহ ) প্রতীয়মান. যেখানে একজন ডাক্তারের উপস্থিতি মাত্র ১৬% , শুধুমাত্র জুলাই মাসেই উনি ২১ দিন অনুপস্থিত অথচ ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সেটা নিয়ে বিন্দুমাত্রও মাথব্যথা নেই।
ডা জয় সরকার এর হাতে গড়া নতুন RMO Dr Taslima প্রায় ১৫-১৬ দিন ধরে যোগদান করলেও উনার বায়োমেট্রিক/ ডিজিটাল হাজিরায় নাম নেই.

# উপজলা ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (UH & FPO) বর্তমান এমপি কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনুকে নিয়ে কটূক্তি করেন.
UH & FPO) নিজেই বাচ্চাদের বহির্বিভাগে বসে ছোট ছোট শিশুদের অহেতুক পরীক্ষা নিরীক্ষা দিয়ে প্যাথলজি ল্যাব থেকে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন যা সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে না। বিস্তারিত আসছে পরবর্তী সংখ্যায়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »