১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । সকাল ৮:২৬ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
নিজস্ব প্রতিবেদক: নেহারা বেগম, স্বামী মৃত সুবেদার আব্দুল আওয়াল বীরপ্রতীক। গ্রাম মান্দাপুর, পোঃ জমেশ্বরপুর,কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। তার স্বামী মারা যাবার পর হতে বিগত ১০ বছর যাবৎ মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন করে আসছেন তিনি। কিন্তু গত ১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে সোনালী ব্যাংক কসবা শাখা, হিসাব নম্বর ৫১৩৫৬ থেকে উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ তাকে তার হিসাব নম্বর স্থগিত আছে বলে জানান।
এ বিষয়ে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে বিচার চাইতে গেলে উপজেলা নির্বাহী অফিস সহকারি আবুল হোসেন তাকে নিবার্হী অফিসারের সাথে দেখা করতে দেয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
নেহেরা বেগম বলেন, অফিস সহকারি আবুল হোসেন আমাকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে তারপর আমার সন্তানদের নাম ও ঠিকানা জিজ্ঞেস করে এবং একটি আবেদন তার হাতে লেখা আবেদন দিয়ে এটা কম্পিউটারে টাইপ করে নিবার্হী অফিসারের কাছে দিলে আমার মৃত স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পুনরায় চালু করা হবে । উপজেলা নির্বাহী অফিসের সহকারী আবুল হোসেন আমি একজন নিরক্ষর বলে তাই এই সুযোগ নিয়ে আমার হাতের টিপসহি নিয়ে আমার মৃত স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বন্ধ করে দেন। আমি লেখাপড়া জানিনা বলে আমাকে ভুল বুঝে আমার মৃত স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী, আমার পাঁচটি ছেলে রয়েছে।তারা আমার নামের ভাতা অসৎ উদ্দেশ্যে নেয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যার কারণে আমি আমার স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা উত্তোলন করতে পারছিনা।আমি সম্পূর্ণভাবে মুক্তিযোদ্ধা ভাতার উপর নির্ভরশীল । বর্তমানে ভাতার টাকা উত্তোলন করতে না পেরে আমি মানবেতর জীবনযাপন করতেছি।প্রয়োজনে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমার মৃত স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পুনরায় চালু করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
Leave a Reply