৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ৮:৩৫ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
মারুফ হোসেনঃ
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বুড়িচং-কালিকাপুর প্রধান সড়কের বেহাল দশা। যান চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী এ সড়ক পথটি। কিছু দিন পূর্বে মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। তবে কচ্ছপ গতিতে কাজ অগ্রসর হচ্ছিল।
এদিকে রেললাইনের কাজ করার জন্য মালামাল আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে এ রাস্তাটি। টনে টনে মালামাল বহন করে বাকশীমুল গ্রাম থেকে কালিকাপুর বাজার পর্যন্ত পুরো রাস্তাটি ব্যবহার করার অনুপযোগী হয়ে গেছে। প্রতিদিন ঘটতে শুরু করেছে দূর্ঘটনা। প্রতিদিন এ সড়কটি দিয়ে শত শত যাত্রীবাহী পরিবহন যাতায়াত চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।রেললাইন থেকে কালিকাপুর বাজার পর্যন্ত পুরো সড়কটি কাদায়, গর্তে পরিপূর্ণ। এ সব কাদায় ও গর্তে দিয়ে ইজিবাইক, অটোরিকশা, যাত্রীবাহী গাড়ি চলাচলে দূর্ঘটনা ও ঘটছে অনবরত। সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে বুড়িচং উপজেলা থেকে কালিকাপুর প্রায় ৬ কিলোমিটার রাস্তা। তার মধ্যে পুনঃ মেরামত করার জন্য অনেক দিন ধরে কচ্ছপ গতিতে কাজ চলায় এখনো কাজটি মেরামত সম্পন্ন হয় নি।তবে স্হানীয় লোকজনদের সাথে কথা বলে জানা যায় যে রেললাইনের কাজ করার জন্য টনে টনে মালামাল আনা-নেওয়া করায় রাস্তাটির বেহাল দশা এবং ব্যাবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। স্হানীয় প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। মনগড়া মতো রেলের লোকজন তা করে যাচ্ছে।বৃষ্টি আসলে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল মোটেই সম্ভব না। অটোরিকশা চালক এবং সিএনজি চালকেরা বলেন এ রাস্তাটি অনেক বিপদজনক তাই আমরা বাধ্য হয়ে বাকশীমুল গ্রামের ভেতর দিয়ে ফকির বাজার এর রাস্তা ব্যবহার করে যাত্রী আনা-নেওয়া করি। তারা এটার একটা দ্রুত সমাধান চায়।
এ ব্যাপারে বুড়িচং উপজেলা প্রকৌশলী অলুক কুমার বলেন বর্ষাকাল চলে গেলে রাস্তার কার্পেটিং এর কাজ শুরু করবে। এবং বর্তমানে রাস্তার যান চলাচলে সমস্যা নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী নয়। প্রশ্ন করার সাথে সাথে এ প্রশ্ন এড়িয়ে যায়। তবে এ বিষয় নিয়ে ঠিকাদার এর সাথে কোনো ভাবেই যোগাযোগ করা যায় নি।
Leave a Reply