১১ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । রাত ১০:৩১ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।
জিহাদ হোসেন রাহাত
শীতের আগমন বার্তা পাওয়ার সাথে সাথে কনকনে ঠান্ডার কবল থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে যে পাখিরা নিজ দেশ হতে তুলনামূলক উষ্ণ অঞ্চল বা দেশে আশ্রয় নেয়, মূলত ঐ সকল পাখিকে বলা হয় অতিথি পাখি, যাদের আরেক নাম পরিযায়ী পাখি।
প্রতিবছর শীতের সময়টায় সবুজে ঘেরা আমাদের এই বাংলাদেশেও আগমন ঘটে অতিথি পাখির। এরা মূলত হিমালয় অঞ্চলের পাদদেশ আর শীতপ্রধান রাশিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে উষ্ণতার খোঁজে আসে এই দেশে।
সবুজে ঘেরা আমাদের এই পৃথিবীতে প্রায় পাঁচ লাখ প্রজাতির পাখি আছে। এ সংখ্যার মধ্যে বাংলাদেশে বাসা বেঁধেছে প্রায় ৭৪৪ প্রজাতির পাখি। আর এই মোট প্রজাতির মধ্যে প্রায় ৩০১ টি প্রজাতির পাখি এদেশের স্থানীয় বাসিন্দা। এদেরকে মূলত বলা হয় আবাসিক পাখি। আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে নিয়মিতভাবে আগমন ঘটে ১৭৬টি প্রজাতির পাখির।
অতিথি পাখিরা যেমন সুদর্শন ঠিক তেমনই সুশৃঙ্খল, গায়ের নজরকাড়া বাহারি রং এর কারনে এদের প্রতি মানুষের আকর্ষণও প্রবল। দেখলেই যেন জুড়িয়ে যায় হৃদয় ।
শীতের আগমন ঘটার সাথে সাথে ওদেরও আগমন ঘটে এই বাংলাদেশে। তারপর মার্চের শুরু থেকে এপ্রিলের শেষ পর্যন্ত ওদের দেশে বরফ গলতে শুরু করলে ফিরে যেতে শুরু করে আপন ঠিকানায়।
১৮০০ সাল পর্যন্ত শীতের সময়টায় পাখিদের দেখা যেত না নিজ দেশে। তখন মানুষ ভাবতো শীতের সময়টায় পাখিরা পানির নিচে ডুব দিয়ে অথবা সরীসৃপ প্রাণীর ন্যায় গর্তে বসবাস করে। তবে একটা সময় এমন উদ্ভট ধারণা সম্পুর্ন ভিত্তিহীন প্রমাণ করে পৃথিবী খ্যাত বিজ্ঞানীরা। দেখা যায়, শীতকাল এলেই দেশের অভ্যন্তরে বসবাস করা পাখিরা করে আত্মগোপন।
সবে শুরু হয়েছে শীতকাল আর একমাস না পেরোতেই উত্তর মেরু আর হিমালয় পর্বত পাড়ি দিয়ে আগমন শুরু হবে অতিথি পাখিদের।
Leave a Reply