1. md.zihadrana@gmail.com : admin :
  2. dailysobujbangladesh@gmail.com : samiya masud : samiya masud
সংসদে রুমিন ফারহানা- বিমানবন্দরে বারবার হেনস্তা করা হয় - দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ

১৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ । দুপুর ১২:৪২ ।। গভঃ রেজিঃ নং- ডিএ-৬৩৪৬ ।।

সংসদে রুমিন ফারহানা- বিমানবন্দরে বারবার হেনস্তা করা হয়

সংসদে রুমিন ফারহানা- বিমানবন্দরে বারবার হেনস্তা করা হয়

নিজস্ব প্রতিবেদক॥
বিদেশে যাওয়া ও আসার সময়ে বিমানবন্দরে বারবার হেনস্তার শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেছেন বিএনপির সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, দেশের বড় বড় অপরাধী যখন-তখন বিদেশে যেতে পারেন। কিন্তু একজন লাল পাসপোর্টধারী হিসেবে দেশের বাইরে যাওয়া ও আসার সময় বারবার হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে।

শনিবার একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়।

রুমিন ফারহানা বলেন, সংসদ সদস্য হওয়ার পরে একটা লাল পাসপোর্ট নিয়ে বহু দেশের বিমানবন্দরে যথেষ্ট সম্মান পেয়েছি। শুধু বাংলাদেশ আসা-যাওয়ার সময় হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে।

এসময় স্পিকার তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনার পয়েন্টটা নোটেড। রুমিন ফারহানা বলেন, সংবিধান রাষ্ট্রের সঙ্গে তার নাগরিকের চুক্তি। এতে নাগরিক অধিকার ও দায়িত্ব সম্পর্কে বলা আছে। নাগরিক হিসেবে কী মৌলিক অধিকার পাবো সেটা বলা আছে।

তিনি বলেন, দুর্ভাগ্য গত সাত-আট বছর ধরে যতবারই তিনি দেশের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন পাসপোর্ট, ভিসা, টিকিট থাকা সত্ত্বেও তাকে বাইরে যেতে দেওয়া হয়নি। যদিওবা দুই-একবার গিয়েছেন তখন তাকে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা বিমানবন্দর থানায় আটকে রাখা হয়েছে। পাসপোর্ট নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আড়াই-তিন ঘণ্টা পরে ফ্লাইটের সময় থাকলে যাওয়া সম্ভব হয়েছে, না হলে সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশে আসার সময়ও একই ধরনের হেনস্তার শিকার গত সাত-আট বছর ধরে হচ্ছি।

বিএনপির এই এমপি বলেন, ২০১৭ সালে আমার এক রিটের দায়ের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার নির্দেশনায় বলছেন তাকে কোনো রকমের বাধা দেওয়া যাবে না। স্পষ্টত নির্দেশনা থাকা সত্বেও আজ অবধি কখনও তিনি বিদেশ যাওয়া চেষ্টা করলে তখন একইভাবে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কার নির্দেশে, কোন অধিদপ্তরের কারণে.. কোনো কারণ কোনদিন তা তাকে দেখানো হয়নি।

রুমিন বলেন, রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ আইন, বিচার ও নির্বাহী বিভাগ। সংবিধান এমনভাবে লিখিত যেখানে আইন বিভাগের সঙ্গে নির্বাহী বিভাগের একটা ওভারল্যাপিং হবেই। ৭০ ধারা যতদিন আছে, ততদিন কোনো কার্যকর আইন বিভাগ পাব এই আশা করা যায় না। সরকারে যে থাকুক না কেন। এই সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে ন্যস্ত। সেই অবস্থায় বিচার বিভাগ স্বচ্ছতা ও স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে রাষ্ট্রের নাগরিকেদের টিকে থাকা প্রায়ই অসম্ভব। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিচার বিভাগের অনেক প্রশ্ন রয়েছে।

কিছু ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ খুব স্পষ্ট রায় দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ন্যায়ের পক্ষে রায় দেয়। সেই জায়গায় বিচার বিভাগের রায়কে প্রশাসন একেবারে অগ্রাহ্য করে রাষ্ট্র টিকে থাকবে কি করে? নাগরিকরা তাদের অধিকার কি করে ভোগ করবে?

তিনি বলেন, বহু বড় বড় অপরাধী যখন খুশি তখন দেশ থেকে চলে যান। তারা দেশে ফিরে আসেন। তাদের নামে মামলা হয়। তারা পালিয়ে যান। আদালত খুঁজে পান না। তারা কিন্তু ঠিকই বিদেশে চলে যান। তাদের ক্ষেত্রে তো কোনো বাধা দেখি না।

বিরোধী দলে একজন কর্মীর ক্ষেত্রে কেন এই ধরনের বাধার মুখোমুখি বারবার হতে হয় জানতে চান এই এমপি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2021
ভাষা পরিবর্তন করুন »