স্টাফ রিপোর্টার:

গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ থানাধীন উলুখোলায় অবস্থিত দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ (কালব) এর মালিকানাধীন রিসোর্টে পবিত্র রমজান মাসেও চলছে মদের কারবার। সারাদেশে রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে সাধারনত: মদের বার বন্ধ রাখা হয়। কিন্ত রমজান মাস জুড়ে খোলা রয়েছে কালব রিসোর্টের মদের বার।সাথে চলছে শর্ট গেস্টের নামে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব কারনে কালবের ডেলিগেট ও স্থানীয় জনসাধারনের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ (কালব) এর চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরিফিকেশন ও রিসোর্টের প্রধান নির্বাহী রোমেল হিউবার্ট ক্রুজ খ্রীষ্টান ও কালব রিসোর্ট পরিচালনা কমিটির আহবায়ক রতন চন্দ্র রায় হিন্দু হলেও কালবের মালিকানাধারী সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য সমিতিই মুসলিম। অর্থ্যাৎ কালবের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যই মুসলিম। যদিও নানা ষড়যন্ত্রের কারনে কালবের চেয়ারম্যান পদটি খ্রীষ্টানরা দখলে রাখে। নানা কুটকৌশল অবলম্বন করে মুসলিমদের মূল নেতৃত্বে আসতে দেয়া হয়না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে।

এবিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালবের একজন ডেলিগেট বলেন,রমজান মাসে কালবের রিসোর্টে মদের বার খোলা রাখা উচিত হয়নি।সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আচারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রমজানে বার বন্ধ রাখা উচিত। তাছাড়া,কালবের চেয়ারম্যান খ্রীষ্টান হলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য মুসলিম-এটা ব্যবস্থাপনা কমিটির মনে রাখা উচিত। এমনিতেই কালব কর্তৃক মদের লাইসেন্স নেয়ার বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য বিরোধিতা করেছিলেন। অন্যদিকে বর্তমান চেয়ারম্যান আগষ্টিন পিউরিফিকেশন বিগত নির্বাচনী ইশতেহারে বলেছিলেন, রিসোর্টে মদের বার স্থাপন করা হবে না। কুটনৈতিক এলাকায় বার স্থাপন করা হবে। অথচ নির্বাচিত হওয়ার সাথে সাথেই বার স্থাপন করে তার অঙ্গীকার ভঙ্গ করে। এমনকি বার স্থাপনের প্রথম দিকেই ভেজাল মদ পান করে রিসোর্টের দুইজন স্টাফ মৃত্যুবরণ করেন বলে তিনি দাবি করেন।

উলুখোলার স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন,কালবের রিসোর্টে মদের বার স্থাপনের পর এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। সকল রমজানে তারা মদের বার চালু রাখে। এতে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলিমদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এলাকার তরুন সমাজ বিপথগামী হচ্ছে ।একদিকে মদের বার,অশ্লিল ডিজে পার্টি ও শর্টগেস্ট ব্যবসার নামে অসামাজিক ব্যবসার কারনে এলাকার সামাজিক পরিবেশ আজ বিপন্ন। গ্রামের স্বাভাবিক পরিবেশ রক্ষার স্বার্থে মদের বারের অপসারন দাবি করেন তিনি।

কালীগঞ্জ থানা, উলুখোলা পুলিশ ফাড়ি ও গাজিপুর জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিস ম্যানেজ করেই কালব রিসোর্টের বারে ভেজাল মদ ,ডিজে পার্টি ও শর্টগেস্টের ব্যবসা চলছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে।