জমজমের পানি নতুন নির্দেশনা

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক:

জমজমের পানি আল্লাহর কুদরতের বিস্ময়কর নিদর্শন। পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ও সর্বোত্তম পানি জমজমের পানি। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ভূপৃষ্ঠের শ্রেষ্ঠ পানি জমজম। এতে রয়েছে খাদ্যের বৈশিষ্ট্য ও রোগ থেকে মুক্তি। আরও বর্ণিত হয়েছে, যে উদ্দেশ্যে জমজম পান করা হবে তা পূরণ হবে। যদি তুমি রোগমুক্তির জন্য তা পান কর আল্লাহ তোমাকে সুস্থ করে দেবেন।

পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববীতে রাখা জমজম কূপের পানি পান নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সৌদি আরব। দেশটির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বলেছে, পবিত্র এই পানি পানের সময় নিজের মধ্যে শান্ত বোধ রাখতে হবে এবং এই পানি পানের সময় আল্লাহর সন্তুষ্টি চাইতে হবে।

আরও বলা হয়েছে, পবিত্র কাবা ও মসজিদে নববীতে যখন কেউ জমজমের পানি করবেন তারা যেন অবশ্যই আল্লাহর নাম স্মরণ করেন, ডান হাতে পানি পান করেন এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখেন। এই পানি পানের সময় খেয়াল রাখতে হবে এটি যেন ছড়িয়ে ছিটিয়ে না পড়ে। এছাড়া জমজমের পানির

 

ট্যাপ ছেড়ে অযু না করতেও অনুরোধ করা হয়েছে।

আর পানি পানের পর কাপ নির্দিষ্ট স্থানে রাখা, ঠেলাঠেলি না করা, ভীড় এড়িয়ে চলা ও ভদ্রতা বজায় রাখার জন্যও মুসল্লিদের অনুরোধ করেছে হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। এদিকে ওমরাহ পালন করতে প্রতিদিনই মক্কায় ভিড় করেন হাজার হাজার মুসল্লি। ওমরাহ শেষে বেশিরভাগই মদিনার মসজিদে নববীতে যান।

জমজমের জীবাণুমুক্ত পানি মূলত ইসলামের দুই পবিত্র স্থান—মক্কার মসজিদুল হারাম এবং মদিনার মসজিদে নববিতে বিতরণ করা হয়। নতুন ওমরাহ মৌসুমকে সামনে রেখে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ধর্মপ্রাণ মুসলিম কাছে জমজমের পানি বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। অন্য দেশ থেকে যাঁরা সৌদি আরবে ওমরাহ ও হজ পালন করতে যান, তারা দেশে ফেরার সময় প্রায়ই জমজমের পানি কিনে নিয়ে যান। এই পানি সাধারণত তারা আত্মীয়–স্বজন এবং বন্ধুদের উপহার দিয়ে থাকেন।

বর্তমানে নুসুক অ্যাপের মাধ্যমেই ওমরাহ ও হজযাত্রীরা নির্দিষ্ট পরিমাণ জমজমের পানির জন্য বুকিং দিতে পারেন। সম্প্রতি বাংলাদেশিদের জন্যও নুসুক অ্যাপটি উন্মুক্ত করেছে সৌদি আরবের ওমরাহ ও হজ মন্ত্রণালয়।

উল্লেখ্য, পবিত্র কাবা থেকে মাত্র ২০ মিটার দূরে অবস্থিত ৩০ মিটার গভীরে কূপের নিচে জমজমের পানি। জমজমের পানি হাজার বছর ধরে কোটি তৃষ্ণার্ত হাজীর পিপাসা মিটিয়ে আসছে। নবী ইবরাহিম (আ.)-এর ছেলে নবী ইসমাইল (আ.)-এর স্মৃতিবিজড়িত কূপ জমজম। হজ ও ওমরা আদায়কারীর জন্য বিশেষভাবে এবং পৃথিবীর সব মুসলমানের জন্য সাধারণভাবে জমজমের পানি পান করা মোস্তাহাব। সহিহ হাদিসে বিধৃত হয়েছে যে নবীজি (স.) নিজে জমজম থেকে পানি পান করেছেন।

সবা:স:জু- ১৩৮/২৪

ধরাছোয়ার বাহিরে বিএমইটিতে দুর্নীতি সিন্ডিকেটের গডফাদার এইচপি ওভারসিসের মালিক প্রবির সিকদার!

ষ্টাফ রিপোর্টার:

শত অপকর্ম করেও এখনো ধরাছোযার বাহিরে প্রবির,  অভিযোগ রযেছে প্রশাসনের কিছু অসৎ কর্মকর্তাদেরকে মাসোহারা দিয়ে তার সকল অবৈধ কাজ কর্ম চালিয়ে যাচ্ছে।

নিয়মের প্রশাসন কর্তৃক ভয়ংকর অনিয়ম চলছে বিএমইটিতে। সক্রিয় বেশকিছু অসাধু মানবপাচার সিন্ডিকেট। দেশের মানব পাচার এসব সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত রয়েছে বেশ কয়েকটি রিস্ফুটিং এজেন্সি সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের খোদ কর্মকর্তারাও। সম্প্রতি এইচপি ওভারসিস (লাইসেন্স নাম্বার ১৩৮৮) নামে একটি রিক্রুট এজেন্সির বেশ কিছু ভুয়া ডকুমেন্টস ও জাল জালিয়াতি ধরা পড়ায় বিষয়টি নিয়ে নড়ে চড়ে বসেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

এইচপি ওভারসিসের স্বত্বাধিকারী প্রবীর বণিক গেল নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ দুবাই বহির্গমন ছাড়পত্রের জন্য একটি ফাইল সাবমিট করেছিলেন। যেখানে ২০ টি ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নথি উপস্থাপন করেন।
উক্ত ভুয়া সার্টিফিকেটের ফাইলে স্বাক্ষর করেন বিএমইটির সহকারি পরিচালক ও উপপরিচালক। কিন্তু পরিচালকের টেবিলে গিয়ে আটকে যায় ভুয়া কাগজপত্র সংযুক্ত ফাইলটি। যাচাই বাছাই করে সকল কাগজপত্র ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় উক্ত ফাইল মহাপরিচালক বাতিল করে। সংশ্লিষ্ট এজেন্সির বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যমূলক ব্যবস্থা করানোর জন্য মন্ত্রণালয় সুপারিশ প্রেরণ করেন। এছাড়া ভুয়া পাইলে সরকারি দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।

উক্ত ভুয়া জালিয়াতি ফাইলে সাইন করা উপ-পরিচালক প্রতিবেদকের সঙ্গে স্বীকার করেন বিষয়টি। তিনি বলেন, ইন্টারনেট দুর্বলতার কারণে ঐদিন অনলাইনে চেক করা সম্ভব হয়নি। তাই সরল বিশ্বাসে আমি ফাইলটিতে স্বাক্ষর করি কিন্তু তারা এভাবে প্রতারণা করবেন সেটি আমার কল্পনাতেও ছিল না।

এসব জালজালিয়াতির কাগজপত্র সিন্ডিকেট ধরা পরার পর সংবাদমাধ্যমের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে আর চাঞ্চল্যকর তথ্য। ডকুমেন্টস জালিয়াতি করে মানব পাচারের সাথে জড়িত রিক্রুট এজেন্সির স্বত্বাধিকারী প্রবীর বনীকের বিরুদ্ধে মানব পাচারের মাধ্যমে অস্বাভাবিক অবৈধ অর্থ অর্জন করে ভারতে পাচারের চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য মিলেছে। নাম প্রকাশে অনিশ্চিত একটি সূত্র জানায়, রাজধানীর চিটাগাং রোডে নিয়মিত বিলাসবহুল আটতলা বাড়ি ছাড়াও ভারতে পাছারকৃত অর্থে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। তার পরিবারের অনেকেই ভারতে বসবাস করেন এবং তার সম্পদের দেখভাল করেন। এছাড়াও রাজধানীর জিনাত টাওয়রে নিজস্ব দুটি ফ্ল্যাটে দুইটি অফিস, অফিসের নিচে স্মার্ট কেয়ার সেলুন। এইচপি ওভারসিজ ব্যতীত আরও তিনটি রিক্রুট এজেন্সির মালিক রয়েছেন এই প্রবীর বণিক।এ বিষযে তাকে বার বার কল দিয়ে তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি আর অফিসে গেলে সে দেখা করেননি।

চলবে…..

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান