উচ্চতায় বিশ্বের দীর্ঘতম ও ক্ষুদ্রতম নারীর আড্ডা

সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক:

মনোরম শীতের বিকেলে লন্ডনের একটি হোটেলে বসে চা খাচ্ছেন দুই নারী। দু’জনেই স্বনামধন্য। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠেছে দু’জনেরই। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড দিবস উদযাপন উপলক্ষে তারা দেখা করেছেন একে অপরের সঙ্গে।

একজন তুর্কী ওয়েব ডিজাইনার ২৭ বছর বয়সী রুমেইসা গেলগি। উচ্চতা ৭ ফুট ০.৭ ইঞ্চি। আর অন্যজন ভারতীয় অভিনেত্রী ৩১ বছর বয়সী জ্যোতি আমগের। উচ্চতা মাত্র ২ ফুট ০.৭ ইঞ্চি। গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী একজন বিশ্বের দীর্ঘতম নারী। অন্যজন উচ্চতায় ক্ষুদ্রতম। দুইজনের উচ্চতার পার্থক্য প্রায় ৫ ফুট।

সম্প্রতি লন্ডনের স্যাভয় হোটেলে তারা দেখা করে দুজনে চা পান করেন এবং বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দেন। গেলগি বলেন, তাদের মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। তারা দুইজনই মেকআপ করতে, নিজের যত্ন নিতে, অলংকার পরতে ও নখে নেইল পলিশ লাগাতে ভালবাসেন। উচ্চতার পার্থক্যের জন্য একে অপরের চোখে চোখ রেখে কথা বলতে একটু সমস্যা হলেও, সব মিলিয়ে এটি একটি দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল।

অন্যদিকে, আমগে তার অনুভূতি জানাতে বলেন, তিনি এই অনন্য রেকর্ডধারী গেলগির সঙ্গে দেখা করতে পেরে খুবই আনন্দিত হয়েছেন।

তুরস্কের ওয়েব ডিজাইনার গেলগিকে ২০২১ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে ‘লম্বা জীবিত নারী’ হিসাবে নিশ্চিত করে গিনেস। উইভার সিনড্রোম নামে এক বিরল রোগ গেলগির এই উচ্চতার কারণ। তার আগে মাত্র ২৬ জন মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।

আমগে ভারতে জন্ম নেওয়া অভিনেতা ও গণমাধ্যম তারকা। আকারে ছোটখাটো হলে, সামাজিক মাধ্যমে একজন বড় তারকা আমগে। তিনি ফ্রিক শো নামের মার্কিন টিভি সিরিজে মা পেতিত চরিত্রে অভিনয় করেছেন। আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বিশ্বের সবচেয়ে খাটো অভিনেত্রী হিসেবেও তালিকাভুক্ত করেছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড।

তিনি অ্যাকন্ড্রোপ্লাসিয়া নামের একটি জটিল রোগে আক্রান্ত হন। যার ফলে তার হাড়ের বৃদ্ধি থেমে যায়। এই রোগ সাধারণ হাতে ও পায়ে সংক্রমিত হয়। মাতৃগর্ভে ভ্রূণ থাকা অবস্থায় এই রোগে আক্রান্ত হয় শিশুরা। শিশুদের হাত ও পা গঠনে ব্যবহৃত কার্টিলেজ টিস্যু এতে প্রভাবিত হয়।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ২০২৫ সালের ছাপানো সংস্করণে গেলগি ও আমগে উভয়কেই জিডব্লিউআর আইকন হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

 

সবা:স:সু-২২২/২৪

স্বামীর সহিংসতার শিকার বাংলাদেশর ৭৬% নারী

ডেস্ক রির্পোট :

দেশের ৭৬ শতাংশ নারী জীবনে অন্তত একবার স্বামীর হাতে সহিংসতার শিকার হয়েছেন। সে হিসাবে প্রতি চার নারীর মধ্যে তিনজনকে এ সহিংসতা সইতে হয়েছে। সহিংসতার ধরনের মধ্যে আছে– শারীরিক, মানসিক, যৌন, অর্থনৈতিক ও নিয়ন্ত্রণমূলক আচরণ। সহিংসতার শিকার হলেও ৯৩ শতাংশ নারীই প্রতিকারমূলক কোনো আইনি পদক্ষেপের পথে হাঁটেননি। ৬২ শতাংশ নারী সহিংসতার কথা কখনও প্রকাশই করেননি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জরিপ প্রতিবেদনে নারীর সামাজিক বিপন্নতার এ চিত্র উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এক অনুষ্ঠানে জরিপের পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। ‘নারীর প্রতি সহিংসতা জরিপ ২০২৪’ শিরোনামে এটি পরিচালনায় সহায়তা দিয়েছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল-ইউএনএফপিএ। অনুষ্ঠানে এর বিস্তারিত তুলে ধরেন প্রকল্প পরিচালক মিনাক্ষী বিশ্বাস।

জাতিসংঘের স্বীকৃত পদ্ধতিতে দেশের খানাভিত্তিক শহর, গ্রাম, দুর্যোগপ্রবণ, বস্তি এলাকাসহ ২৭ হাজার ৪৭৬ নারীর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। তথ্য সংগ্রহ করা হয় গত বছরের মার্চ থেকে এ বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে।

গর্ভাবস্থায়ও সহিংসতা থেমে থাকেনি 
জরিপে জাতিসংঘের নির্ধারিত সহিংসতার ধরন ছাড়াও বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক আচরণ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এতে জরিপের সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়। জরিপে আরও দেখা যায়, ৫৪ শতাংশ অর্থাৎ অর্ধেকের বেশিসংখ্যক নারী জীবদ্দশায় স্বামীর হাতে শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। গর্ভাবস্থাতেও এ সহিংসতা থেমে থাকেনি। গর্ভ অবস্থায় ৭ দশমিক ২ শতাংশ নারী শারীরিক ও ৫ দশমিক ৩ শতাংশ যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন।

যুক্ত হয়েছে প্রযুক্তির সহিংসতাও 
নারীর প্রতি শারীরিক সহিংসতার বাইরে প্রযুক্তির সহিংসতাও যুক্ত হয়েছে। ৮ দশমিক ৩ শতাংশ নারী প্রযুক্তির মাধ্যমে জেন্ডারভিত্তিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে যৌন ব্ল্যাকমেইল, ছবি অপব্যবহার এবং ডিজিটাল নজরদারি। সহিংসতার শিকার নারীরা অর্থ ব্যয় এবং সামাজিক ভয়ে চিকিৎসা নেন না। জরিপ থেকে দেখা যায়, ৫২ শতাংশ নারী জানেন না কোথায় অভিযোগ জানাতে হয়।

প্রধান কারণ যৌতুক 
নারীর প্রতি সহিংসতার মূল কারণ যৌতুক প্রথা। এ ছাড়া স্বামীর মাদকাসক্তি, বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক ও শহুরে বস্তিতে বসবাস নারীদের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। অন্যদিকে, স্বামীর উচ্চতর শিক্ষা সহিংসতার আশঙ্কা কমায়।

সহিংসতা আগের তুলনায় ১৭ শতাংশ কমেছে 
জরিপে নারীর প্রতি সহিংসতা এখনও উচ্চ মাত্রায় রয়ে গেলেও আগের তুলনায় তা কিছুটা কমেছে। স্বামীর হাতে সহিংসতার শিকার নারীর হার ২০১৫ সালের জরিপে ছিল ৬৬ শতাংশ। সেখান থেকে কমে বর্তমানে ৪৯ শতাংশ হয়েছে।

আলোচনায় সব পক্ষকে দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ 
সহিংসতা রোধে সব পক্ষকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আলোচকরা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পরিকল্পনা কমিশনের আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. কাইয়ুম আরা বেগম বলেন, সামাজিক দায়িত্বহীনতা থেকেই অস্থিরতা ও সহিংসতা সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্র ও পরিবারকে সহিংসতা বন্ধে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।
ইউএনএফপিএ বাংলাদেশ প্রতিনিধি ক্যাথরিন ব্রিন কামকং বলেন, পরিসংখ্যানগুলো বাংলাদেশে নারীর বাস্তব চিত্র তুলে এনেছে। এগুলো শুধু পরিসংখ্যান নয়, বরং বাংলাদেশের মর্যাদার প্রশ্ন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের